পরিচ্ছেদঃ আমরা যা বর্ণনা করলাম, তা যদি কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থতার চিকিৎসা হিসেবে কাঁচা খায়, তাহলে তার এই অবস্থায় জামা‘আতে উপস্থিত হওয়াতে কোন দোষ নেই মর্মে বর্ণনা
২০৯২. মুগীরা বিন শু‘বা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি একবার রসূন খেয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুসল্লায় যাই। আমি গিয়ে দেখতে পাই তিনি এক রাকা‘আত সালাত পড়ে নিয়েছেন। অতঃপর যখন আমি বাকী সালাত পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাই, তখন তিনি রসূনের গন্ধ পেয়ে বলেন, “যে ব্যক্তি এই সবজি খায়, সে যেন এর গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের মাসজিদে না আসে।” মুগীরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “যখন আমি সালাত শেষ করি, তখন আমি বলি, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি মা‘যূর। আপনার হাতটি আমার দিকে বাড়িয়ে দিন। তিনি আমার দিকে তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন। আল্লাহর কসম, আমি তাকে কোমল পেলাম। তারপর আমি তাঁর হাত আমার জামার আস্তিনের মধ্য দিয়ে আমার বুক পর্যন্ত নিলাম। অতঃপর তিনি সেখানে পট্টি বাধা দেখতে পেলেন। তারপর তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই তোমার ওজর রয়েছে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমরা যেসব বিষয় উল্লেখ করলাম, সেগুলো হলো একটি ওজর, যা আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যা থাকলে ফরয সালাত জামা‘আতে আদায় না করলেও দোষনীয় হয় না। অবশ্য তার উপর জামা‘আতে না আসার পাপ বর্তাবে। কেননা এখানে দুটি ফরয রয়েছে: জামা‘আত ও ফরয সালাত আদায় করা। কাজেই যে ব্যক্তি আযান শোনার পর শুধু ফরয আদায় করে, তার উপর থেকে সালাত আদায়ের ফরয উঠে যাবে কিন্তু তার উপর জামা‘আত ত্যাগের জন্য গোনাহ হবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “যে ব্যক্তি আযান শুনে তাতে সাড়া না দেয়, তাহলে তার সালাত নেই। তবে যদি কোন ওজর থাকে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জামা‘আত ত্যাগের পাপ ছাড়া তার সালাত সম্পন্ন হয় না, যদি এতে উদ্দেশ্য থাকে তার নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত হওয়া, এটা উদ্দেশ্য নয় যে, তার সালাত মোটেও হবে না, যদিও সে মা‘যূর না হয়, যদি সে আল্লাহর আহবানকারীর আহবানে সাড়া না দেয়। এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই বাণীর মতোই “যে ব্যক্তি খুতবার সময় অসার কথা বলবে, তার জুমু‘আহ নেই” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো পাপ ছাড়া তার সালাত সংঘটিত হয় না, যে পাপ সে অসার কথা বলার কারণে উপার্জন করেছে।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীক আলা সহীহ ইবনু খুযাইমাহ: ৩/৮৬-৮৭/১৬৭২)
ذِكْرُ إِسْقَاطِ الْحَرَجِ عَنْ آكِلِ مَا وَصَفْنَا نَيِّئًا مَعَ شُهُودِهِ الْجَمَاعَةَ إِذَا كَانَ مَعْذُورًا مِنْ عِلَّةٍ يُدَاوَى بِهَا
2092 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ الْعَدَوِيِّ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ: قَالَ: أَكَلْتُ ثُومًا ثُمَّ أَتَيْتُ مُصَلَّى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي بِرَكْعَةٍ فَلَمَّا قُمْتُ أَقْضِي وَجَدَ رِيحَ الثُّومِ فَقَالَ: (مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا) قَالَ الْمُغِيرَةُ: فَلَمَّا قَضَيْتُ الصَّلَاةَ أَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي عُذْرًا فَنَاوِلْنِي يَدَكَ فَنَاوَلَنِي فَوَجَدْتُهُ وَاللَّهِ سَهْلًا فَأَدْخَلْتُهَا فِي كُمِّي إِلَى صَدْرِي فَوَجَدَهُ مَعْصُوبًا فَقَالَ: (إن لك عذراً)
الراوي : الْمُغِيرَة بْن شُعْبَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2092 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((التعليق على ((صحيح ابن خزيمة)))) (3/ 86 ـ 87/ 1672) , ((تخريج إصلاح المساجد)) (71)
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: هَذِهِ الْأَشْيَاءُ الَّتِي وَصَفْنَاهَا هِيَ الْعُذْرُ الَّذِي فِي خَبَرِ ابْنِ عَبَّاسٍ الَّذِي لَا حَرَجَ عَلَى مَنْ بِهِ حَالَةٌ مِنْهَا فِي تخلُّفِهِ عَنْ أَدَاءِ فَرْضِهِ جَمَاعَةً وَعَلَيْهِ إِثْمُ تَرْكِ إِتْيَانِ الْجَمَاعَةِ لِأَنَّهُمَا فَرْضَانِ اثْنَانِ: الْجَمَاعَةُ وَأَدَاءُ الْفَرْضِ فمن أدى الفرض وهو يسمع النداء فقط سَقَطَ عَنْهُ فَرْضُ أَدَاءِ الصَّلَاةِ وَعَلَيْهِ إِثْمُ تَرْكِ إِتْيَانِ الْجَمَاعَةِ.
وَقَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يُجب فَلَا صَلَاةَ لَهُ إِلَّا مِنْ عُذْرٍ) أَرَادَ بِهِ: فَلَا صَلَاةَ لَهُ مِنْ غَيْرِ إِثْمٍ يَرْتَكِبُهُ فِي تخلُّفه عَنْ إِتْيَانِ الْجَمَاعَةِ إِذَا كَانَ الْقَصْدُ فِيهِ ارْتِكَابُ النَّهْيِ لَا أَنَّ صَلَاتَهُ غَيْرُ مُجْزِئَةٍ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ بِمَعْذُورٍ إِذَا لَمْ يُجب دَاعِيَ اللَّهِ وَهَذَا كَقَوْلهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ لَغَا فَلَا جُمُعَةَ لَهُ) يُرِيدُ بِهِ: فَلَا جُمُعَةَ لَهُ مِنْ غَيْرِ إِثْمٍ يَرْتَكِبُهُ بِلَغْوِه.