পরিচ্ছেদঃ ৭. তালাক্বের বিবরণ - হায়েয অবস্থায় তালাকের বিধান

১০৭০। ’আবদুল্লাহ ইবন ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে স্বীয় স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় ত্বলাক (তালাক)্ব দেন। উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রসূলুল্লাহ বললেনঃ তাকে নির্দেশ দাও, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং নিজের কাছে রেখে দেয় যতক্ষণ না সে মহিলা পবিত্র হয়ে আবার ঋতুবতী হয় এবং আবার পবিত্র হয়। অতঃপর সে যদি ইচ্ছে করে, তাকে রেখে দিবে। আর যদি ইচ্ছে করে তবে সহবাসের পূর্বে তাকে ত্বলাক (তালাক)্ব দেবে। আর এটাই ত্বলাক (তালাক)্বের নিয়ম, যে নিয়মে আল্লাহ তা’আলা স্ত্রীদের ত্বলাক (তালাক)্ব দেয়ার বিধান দিয়েছেন।

মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এসেছে ’আপনি তাকে (ইবনু ’উমারকে) হুকুম দিন তার স্ত্রীকে সে ফেরত নিক তারপর পবিত্র অবস্থায় বা গর্ভাবস্থায় ত্বলাক (তালাক)্ব দিক।

বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, এতে তার একটি ত্বালাক্ব হিসেবে ধরা হয়েছিল। মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে- ইবনু ’উমার (রাঃ) কোন জিজ্ঞেসকারীকে বললেন, যদি তুমি তোমার স্ত্রীকে এক বা দু-তালাক্ব দাও। তাহলে এক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আদেশ করেছিলেন- যেন আমি তাকে ফেরত নিই তারপর তার অন্য একটি হায়িয হওয়া পর্যন্ত তাকে আমি ঐ অবস্থায় রেখে দিই। অতঃপর পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিই। তারপর তাকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক্ব দিই।

আর তুমি তাকে তিন তালাক্ব দিয়েছ। আর তুমি তোমার প্রভুর যে নির্দেশ তোমার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ব্যাপারে ছিল তার বিরুদ্ধাচরণ করেছ।

অন্য বর্ণনায় আছে- ’আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে স্ত্রী ফেরত দিয়েছিলেন আর হায়িয অবস্থার ঐ তালাক্বটিকে কোন ব্যাপার বলে মনে করেননি এবং তিনি বলেছিলেন যখন সে পবিত্র হবে তখন তালাক্ব দিবে অথবা (তালাক্ব না দিয়ে) রেখে দিবে।[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّهُ طَلَّقَ اِمْرَأَتَهُ - وَهِيَ حَائِضٌ - فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَسَأَلَ عُمَرُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: «مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا, ثُمَّ لْيُمْسِكْهَا حَتَّى تَطْهُرَ, ثُمَّ تَحِيضَ, ثُمَّ تَطْهُرَ, ثُمَّ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَ بَعْدُ, وَإِنْ شَاءَ طَلَّقَ بَعْدَ أَنْ يَمَسَّ, فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ أَنْ تُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: «مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا, ثُمَّ لْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا أَوْ حَامِلًا
وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى لِلْبُخَارِيِّ: «وَحُسِبَتْ عَلَيْهِ تَطْلِيقَةً
وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَهَا وَاحِدَةً أَوْ اثْنَتَيْنِ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَمَرَنِي أَنْ أُرَاجِعَهَا, ثُمَّ أُمْهِلَهَا حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى, وَأَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَهَا ثَلَاثًا, فَقَدْ عَصَيْتَ رَبَّكَ فِيمَا أَمَرَكَ مِنْ طَلَاقِ امْرَأَتِكَ
وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: فَرَدَّهَا عَلَيَّ, وَلَمْ يَرَهَا شَيْئًا, وَقَالَ: «إِذَا طَهُرَتْ فَلْيُطَلِّقْ أَوْ لِيُمْسِكْ

-

صحيح. رواه البخاري (5251)، ومسلم (1471) (1)

وعن ابن عمر رضي الله عنهما انه طلق امراته وهي حاىض في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فسال عمر رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك فقال مره فليراجعها ثم ليمسكها حتى تطهر ثم تحيض ثم تطهر ثم ان شاء امسك بعد وان شاء طلق بعد ان يمس فتلك العدة التي امر الله ان تطلق لها النساء متفق عليهوفي رواية لمسلم مره فليراجعها ثم ليطلقها طاهرا او حاملاوفي رواية اخرى للبخاري وحسبت عليه تطليقةوفي رواية لمسلم قال ابن عمر اما انت طلقتها واحدة او اثنتين فان رسول الله صلى الله عليه وسلم امرني ان اراجعها ثم امهلها حتى تحيض حيضة اخرى واما انت طلقتها ثلاثا فقد عصيت ربك فيما امرك من طلاق امراتكوفي رواية اخرى قال عبد الله بن عمر فردها علي ولم يرها شيىا وقال اذا طهرت فليطلق او ليمسك صحيح رواه البخاري 5251 ومسلم 1471 1

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ৮ঃ বিবাহ (كتاب النكاح) 8/ Marriage