আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ إِخْوَةٌ

অর্থাৎ, সকল ঈমানদাররা তো পরস্পর ভাই ভাই। (সূরা হুজরাত ১০)

তিনি নূহ (আঃ)-এর কথা উল্লেখ ক’রে বলেছেন,

وَأنْصَحُ لَكُمْ

অর্থাৎ, (নূহ বলল,) আমি তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি (বা হিতকামনা করছি)। (সূরা আ’রাফ ৬২)

তিনি হূদ (আঃ)-এর কথা উল্লেখ ক’রে বলেছেন,

وَأنَـا لَـكُمْ نَاصِـحٌ أمِـيْـنٌ

অর্থাৎ, (হূদ বলল,) আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত উপদেষ্টা (বা হিতাকাঙ্ক্ষী)। (সূরা ঐ ৬৮)

(৩৪৮৪) আবূ রুক্বাইয়াহ তামীম বিন আওস দারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দ্বীন হল কল্যাণ কামনা করার নাম। আমরা বললাম, ’কার জন্য?’ তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রসূলের জন্য, মুসলিমদের শাসকদের জন্য এবং মুসলিম জনসাধারণের জন্য।

(৩৪৮৫) জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নামায কায়েম করা, যাকাত দেওয়া ও সকল মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামনা করার উপর বায়আত করেছি।

(৩৪৮৬) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কেউ প্রকৃত ঈমানদার হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।

(৩৪৮৭) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, সে দোযখ থেকে নিস্তার লাভ করে জান্নাত প্রবেশ করবে সে ব্যক্তির জন্য উচিত, যেন তার মৃত্যু তার কাছে সেই সময় আসে, যে সময় সে আল্লাহতে ও পরকালে ঈমান রাখে। আর লোকেদের সাথে সেইরূপ ব্যবহার করে যেরূপ ব্যবহার সে নিজের জন্য পছন্দ করে।