আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

وَإِذَا سَأَلْتُمُوْهُنَّ مَتَاعًا فَاسْألُوْهُنَّ مِنْ وَّرَاءِ حِجَابٍ

অর্থাৎ, তোমরা তাদের নিকট হতে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল হতে চাও। (সূরা আহযাব ৫৩)

(২৬৭৪) উক্ববা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা (বেগানা) নারীদের নিকট (একাকী) যাওয়া থেকে বিরত থাক। (এ কথা শুনে) জনৈক আনসারী নিবেদন করল, ’স্বামীর আত্মীয় সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?’ তিনি বললেন, স্বামীর আত্মীয় তো মৃত্যুসম (বিপজ্জনক)। (বুখারী ৫২৩২, মুসলিম ২১৭২, তিরমিযী ১১৭১)

(২৬৭৫) জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা এমন মহিলাদের নিকট গমন করো না, যাদের স্বামী বর্তমানে উপস্থিত নেই। কারণ শয়তান তোমাদের প্রত্যেকের রক্ত-শিরায় প্রবাহিত হয়। আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আর আপনার?’ তিনি বললেন, আমারও। তবে আল্লাহ তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করেছেন, তাই আমি নিরাপদ থাকি।

(২৬৭৬) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মাহরামের উপস্থিতি ছাড়া কোন পুরুষ যেন কোন মহিলার সাথে নির্জনবাস না করে। (বুখারী ৫২৩৩, মুসলিম ৩৩৩৬)

(২৬৭৭) উমার বিন খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখনই কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে নির্জনতা অবলম্বন করে, তখনই শয়তান তাদের তৃতীয় সাথী (কোটনা) হয়।

(২৬৭৮) বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, স্বগৃহে অবস্থানকারী লোকেদের পক্ষে মুজাহিদদের স্ত্রীদের মর্যাদা তাদের নিজেদের মায়ের মর্যাদার মত। স্বগৃহে অবস্থানকারী লোকেদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদ ব্যক্তির পরিবারের প্রতিনিধিত্ব (দেখা-শুনা) করে, অতঃপর তাদের ব্যাপারে সে তার খেয়ানত করে বসে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে মুজাহিদের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে এবং সে তার নেকীসমূহ থেকে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছামত নেকী নিয়ে নেবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে বললেন, তোমাদের ধারণা কী? (সে কি তখন তার কাছ থেকে নেকী নিতে ছাড়বে?)

(২৬৭৯) বাহয বিন হাকীম তিনি তাঁর পিতা তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, একদা তিনি বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাদের গোপনাঙ্গ কী গোপন করব, আর কী বর্জন করব?’ তিনি বললেন, তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকটে লজ্জাস্থানের হিফাযত কর। সাহাবী বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! লোকেরা আপোসে এক জায়গায় থাকলে?’ তিনি বললেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পায়। সাহাবী বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! কেউ যদি নির্জনে থাকে?’ তিনি বললেন, মানুষ অপেক্ষা আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তাঁকে লজ্জা করা হবে।

(২৬৮০) আব্দুল্লাহ বিন জা’ফর বিন আবী তালেব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, (পুরুষের) নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত স্থান হল লজ্জাস্থান।

(২৬৮১) জারহাদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেন, হে জারহাদ! তুমি তোমার জাং ঢেকে নাও। কারণ, জাং হল লজ্জাস্থান।

(২৬৮২) য়্যা’লা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ আযযা অজাল্ল অতি লজ্জাশীল ও গোপনকারী। তিনি লজ্জাশীলতা ও গোপনীয়তাকে পছন্দ করেন। সুতরাং তোমাদের কেউ গোসল করলে সে যেন পর্দা করে নেয়।