পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

মহান আল্লাহ বলেন,

وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا

অর্থাৎ, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয় প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর। নিশ্চয় আল্লাহ আত্মম্ভরী দাম্ভিককে ভালবাসেন না। (সূরা নিসা ৩৬)


(২২০২) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’এক মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে সে মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে মহিলা তারই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, একটি বিড়ালের কারণে একজন মহিলাকে আযাব দেওয়া হয়েছে; যাকে সে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে মারাও গিয়েছিল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল তখন খেতেও দেয়নি ও পান করতেও দেয়নি। আর তাকে ছেড়েও দেয়নি; যাতে সে নিজে স্থলচর কীটপতঙ্গ (গঙ্গাফড়িং) ধরে খেত।

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتّٰـى مَاتَتْ فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ لَا هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَسَقَتْهَا إِذْ حَبَسَتْهَا وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ متفق عَلَيْهِ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما ان رسول الله ﷺ قال عذبت امراة في هرة سجنتها حتى ماتت فدخلت فيها النار لا هي اطعمتها وسقتها اذ حبستها ولا هي تركتها تاكل من خشاش الارض متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২০৩) সাহল বিন হানযালিয়্যাহ বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি উটকে দেখলেন, (ক্ষুধায়) তার পিঠের সাথে পেট লেগে গেছে। তা দেখে তিনি বললেন, তোমরা এই অবলা জন্তুদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। সুতরাং উত্তমভাবে তাতে সওয়ার হও এবং উত্তমভাবে তা খাও (বা তার পিঠ থেকে নেমে যাও)।

عَنْ سَهْلِ ابْنِ الْحَنْظَلِيَّةِ قَالَ : مَرَّ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِبَعِيرٍ قَدْ لَحِقَ ظَهْرُهُ بِبَطْنِهِ فَقَالَ اتَّقُوا اللهَ فِى هَذِهِ الْبَهَائِمِ الْمُعْجَمَةِ فَارْكَبُوهَا وَكُلُوهَا صَالِحَةً

عن سهل ابن الحنظلية قال مر رسول الله ﷺ ببعير قد لحق ظهره ببطنه فقال اتقوا الله فى هذه البهاىم المعجمة فاركبوها وكلوها صالحة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২০৪) আব্দুল্লাহ বিন জা’ফর (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি তার উটকে ঠিকমত খেতে দিত না, উপরন্তু কষ্ট দিত। তার পাশ দিয়ে রহমতের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পার হতে দেখে উটটি আওয়াজ দিল এবং তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল। তিনি উটের মালিককে ডেকে বললেন,

أَفَلاَ تَتَّقِى اللهَ فِى هَذِهِ الْبَهِيمَةِ الَّتِى مَلَّكَكَ اللهُ إِيَّاهَا فَإِنَّهُ شَكَى إِلَىَّ أَنَّكَ تُجِيعُهُ وَتُدْئِبُهُ

তুমি এই জন্তুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর না কেন, আল্লাহ তোমাকে যার মালিক বানিয়েছেন? ও তো আমার কাছে অভিযোগ করছে যে, তুমি ওকে ভুখা রাখ এবং কষ্ট দাও!

-


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২০৫) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি একবার কুরাইশ বংশের কতিপয় নবযুবকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় লক্ষ্য করলেন যে, তারা একটি পাখীকে বেঁধে (হাতের নিশানা ঠিক করার মানসে তার উপর নির্দয়ভাবে) তীর মারছে। তারা পাখীর মালিকের সাথে এই চুক্তি করেছিল যে, প্রতিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট তীর তার হয়ে যাবে। সুতরাং যখন তারা ইবনে উমার (রাঃ) কে দেখতে পেল, তখন ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে গেল। ইবনে উমার (রাঃ) বললেন, এ কাজ কে করেছে? যে এ কাজ করেছে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ। নিঃসন্দেহে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই ব্যক্তির উপর অভিশাপ করেছেন, যে কোন এমন জিনিসকে (তার তীরখেলার) লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, যার মধ্যে প্রাণ আছে।

وَعَنْ ابن عمر : أَنَّهُ مَرَّ بِفِتْيَانٍ مِنْ قُرَيْشٍ قَدْ نَصَبُوا طَيراً وَهُمْ يَرْمُونَهُ وَقَدْ جَعَلُوا لِصَاحِبِ الطَّيْرِ كُلَّ خَاطِئَةٍ مِنْ نَبْلِهمْ فَلَمَّا رَأَوْا ابْنَ عُمَرَ تَفَرَّقُوا فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ : مَنْ فَعَلَ هَذَا ؟ لَعَنَ اللهُ مَنْ فَعَلَ هَذَا، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ لَعَنَ مَنِ اتَّخَذَ شَيْئاً فِيهِ الرُّوحُ غَرَضاً متفق عَلَيْهِ

وعن ابن عمر انه مر بفتيان من قريش قد نصبوا طيرا وهم يرمونه وقد جعلوا لصاحب الطير كل خاطىة من نبلهم فلما راوا ابن عمر تفرقوا فقال ابن عمر من فعل هذا لعن الله من فعل هذا ان رسول الله ﷺ لعن من اتخذ شيىا فيه الروح غرضا متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২০৬) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীব-জন্তুদের বেঁধে রেখে (তীর বা বন্দুকের নিশানা ঠিক করার ইচ্ছায়) হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : نَهَى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنْ تُصْبَرَ البَهَائِمُ متفق عَلَيْهِ

وعن انس قال نهى رسول الله ﷺ ان تصبر البهاىم متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২০৭) আবূ আলী সুয়াইদ ইবনে মুক্বার্রিন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি যে, মুক্বাররিনের সাত ছেলের মধ্যে আমি সপ্তম ছিলাম। আমাদের একটি মাত্র দাসী ছিল। তাকে আমাদের ছোট ভাই চড় মেরেছিল। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তাকে মুক্ত করে দিতে আদেশ করলেন।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আমার ভাইদের মধ্যে আমি সপ্তম ছিলাম।

وَعَنْ أَبِـيْ عَليٍّ سُوَيدِ بن مُقَرِّنٍ قَالَ : لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ بَنِي مُقَرِّنٍ مَا لَنَا خَادِمٌ إِلاَّ وَاحِدَةٌ لَطَمَهَا أَصْغَرُنَا فَأَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنْ نُعْتِقَهَا رواه مسلم وفي روايةٍ سَابعَ إخْوَةٍ لِي

وعن ابي علي سويد بن مقرن قال لقد رايتني سابع سبعة من بني مقرن ما لنا خادم الا واحدة لطمها اصغرنا فامرنا رسول الله ﷺ ان نعتقها رواه مسلم وفي رواية سابع اخوة لي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২০৮) আবূ মাসঊদ বাদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা আমার একটি গোলামকে চাবুক মারছিলাম। ইত্যবসরে পিছন থেকে এই শব্দ শুনতে পেলাম জেনে রেখো, হে আবূ মাসঊদ! কিন্তু ক্রোধান্বিত অবস্থায় শব্দটা বুঝতে পারলাম না। যখন সেই (শব্দকারী) আমার নিকটবর্তী হল, তখন সহসা দেখলাম যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বলছিলেন, জেনে রেখো আবূ মাসঊদ! ওর উপর তোমার যতটা ক্ষমতা আছে, তোমার উপর আল্লাহ তাআলা আরো বেশি ক্ষমতাবান। তখন আমি বললাম, এরপর থেকে আমি আর কখনো কোন গোলামকে মারধর করব না।

এক বর্ণনায় আছে, তাঁর ভয়ে আমার হাত থেকে চাবুকটি পড়ে গেল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ওকে স্বাধীন করে দিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শোন! তুমি যদি তা না করতে, তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে অবশ্যই দগ্ধ অথবা স্পর্শ করত।

وَعَنْ أَبِـيْ مَسعُودٍ البَدْرِيِّ قَالَ: كُنْتُ أَضْرِبُ غُلامَاً لِي بِالسَّوْطِ، فَسَمِعْتُ صَوْتاً مِنْ خَلْفِي اِعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ فَلَمْ أَفْهَمِ الصَّوْتَ مِنَ الغَضَبِ فَلَمَّا دَنَا مِنِّي إِذَا هُوَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَإِذَا هُوَ يَقُوْلُ اِعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ أَنَّ اللهَ أَقْدَرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَى هَذَا الغُلامِ فَقُلتُ : لاَ أَضْرِبُ مَمْلُوكاً بَعْدَهُ أَبَداً وَفِي رِوَايَةٍ : فَسَقَطَ السَّوْطُ مِنْ يَدِي مِنْ هَيْبَتِهِ وَفِي رِوَايَةٍ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللهِ تَعَالَى فَقَالَ أَمَا لَوْ لَمْ تَفْعَلْ لَلَفَحَتْكَ النَّارُ أَوْ لَمَسَّتْكَ النَّارُ رواه مسلم بهذه الروايات

وعن ابي مسعود البدري قال كنت اضرب غلاما لي بالسوط فسمعت صوتا من خلفي اعلم ابا مسعود فلم افهم الصوت من الغضب فلما دنا مني اذا هو رسول الله ﷺ فاذا هو يقول اعلم ابا مسعود ان الله اقدر عليك منك على هذا الغلام فقلت لا اضرب مملوكا بعده ابدا وفي رواية فسقط السوط من يدي من هيبته وفي رواية فقلت يا رسول الله هو حر لوجه الله تعالى فقال اما لو لم تفعل للفحتك النار او لمستك النار رواه مسلم بهذه الروايات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২০৯) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ গোলামকে এমন অপরাধের সাজা দেয়, যা সে করেনি অথবা তাকে চড় মারে, তাহলে তার প্রায়শ্চিত্ত হল, সে তাকে মুক্ত করে দেবে।

وعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ مَنْ ضَرَبَ غُلاَمَاً لَهُ حَدّاً لَمْ يَأتِهِ أَوْ لَطَمَهُ فَإِنَّ كَفَّارَتَهُ أَنْ يُعْتِقَهُ رواه مسلم

وعن ابن عمر رضي الله عنهما ان النبي ﷺ قال من ضرب غلاما له حدا لم ياته او لطمه فان كفارته ان يعتقه رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১০) হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত, সিরিয়ায় এমন কিছু চাষী লোকের নিকট দিয়ে তাঁর যাত্রা হচ্ছিল, যাদেরকে রোদে দাঁড় করিয়ে তাদের মাথার উপর তেল ঢেলে দেওয়া হচ্ছিল। তিনি প্রশ্ন করলেন, ’ব্যাপার কী?’ বলা হল, ’ওদেরকে জমির কর (আদায় না দেওয়ার) জন্য সাজা দেওয়া হচ্ছে।’ অন্য বর্ণনায় আছে যে, ’রাজস্ব (আদায় না করার) কারণে ওদেরকে বন্দী করা হয়েছে।’ হিশাম বললেন, ’আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তাআলা সেসব লোকেদেরকে কষ্ট দেবেন, যারা লোকেদেরকে কষ্ট দেয়। অতঃপর হিশাম আমীরের নিকট গিয়ে এ হাদীসটি শুনালেন। তিনি তাদের সম্পর্কে নির্দেশ জারি করলেন এবং তাদেরকে মুক্ত করে দিলেন।

وَعَنْ هِشَامِ بنِ حَكِيمِ بنِ حِزَامٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّه مَرَّ بِالشَّامِ عَلَى أُنَاسٍ مِنَ الأَنْبَاطِ وَقَدْ أُقيِمُوا فِي الشَّمْسِ وَصُبَّ عَلَى رُؤُوسِهِمُ الزَّيْتُ فَقَالَ : مَا هَذَا ؟ قِيلَ : يُعَذَّبُونَ فِي الخَرَاجِ وَفِي رِوَايَةٍ : حُبِسُوا فِي الجِزْيَةِ فَقَالَ هِشَامٌ : أَشهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ إِنَّ اللهَ يُعَذِّبُ الَّذِينَ يُعَذِّبُونَ النَّاس فِي الدُّنْيَا فَدَخَلَ عَلَى الأَمِيرِ، فَحَدَّثَهُ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَخُلُّوا رواه مسلم

وعن هشام بن حكيم بن حزام رضي الله عنهما انه مر بالشام على اناس من الانباط وقد اقيموا في الشمس وصب على رووسهم الزيت فقال ما هذا قيل يعذبون في الخراج وفي رواية حبسوا في الجزية فقال هشام اشهد لسمعت رسول الله ﷺ يقول ان الله يعذب الذين يعذبون الناس في الدنيا فدخل على الامير فحدثه فامر بهم فخلوا رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১১) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি গাধা দেখতে পেলেন, যার চেহারা দাগা হয়েছিল। তা দেখে তিনি অত্যধিক অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। অতঃপর বললেন, আল্লাহর কসম! আমি ওর চেহারা থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী অঙ্গে দাগব। (আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে চিহ্ন দেব।) অতঃপর তিনি নিজ গাধা সম্পর্কে নির্দেশ করলেন এবং তার পাছায় দাগা হল। সুতরাং তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি (গাধার) পাছা দেগেছিলেন।

وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : رَأَى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ حِمَاراً مَوْسُومَ الوَجْهِ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ فَقَالَ واللهِ لاَ أَسِمُهُ إِلاَّ أَقْصَى شَيْءٍ مِنَ الوَجْهِ وَأمَرَ بِحِمَارِهِ فَكُوِيَ فِي جَاعِرَتَيْهِ فَهُوَ أَوَّلُ مَنْ كَوَى الجَاعِرَتَيْنِ رواه مسلم

وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال راى رسول الله ﷺ حمارا موسوم الوجه فانكر ذلك فقال والله لا اسمه الا اقصى شيء من الوجه وامر بحماره فكوي في جاعرتيه فهو اول من كوى الجاعرتين رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১২) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট দিয়ে একটি গাধা অতিক্রম করল, যার চেহারা দাগা হয়েছিল। তখন তিনি বললেন, যে এর চেহারা দেগেছে, তার প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত হোক।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চেহারায় মারতে ও দাগতে নিষেধ করেছেন।

وَعَن جَابِرٍ: أَنَّ النَّبيَّ ﷺ مَرَّ عَلَيْهِ حِـمَارٌ قَدْ وُسِمَ فِـي وَجْهِهِ فَقَالَ لَعَنَ اللهُ الَّذِيْ وَسَمَهُ رواه مسلم وفي رواية لِـمُسْلمٍ أَيضاً: نَهَى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَنِ الضَّرْبِ فِي الوَجْهِ وَعَنِ الوَسْمِ فِي الوَجْهِ

وعن جابر ان النبي ﷺ مر عليه حمار قد وسم في وجهه فقال لعن الله الذي وسمه رواه مسلم وفي رواية لمسلم ايضا نهى رسول الله ﷺ عن الضرب في الوجه وعن الوسم في الوجه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১৩) আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নিকট সব চাইতে বড় পাপিষ্ঠ সেই ব্যক্তি, যে কোন মহিলাকে বিবাহ করে, অতঃপর তার নিকট থেকে মজা লুটে নিয়ে তাকে তালাক দেয় এবং তার মোহরও আত্মসাৎ করে। (দ্বিতীয় হল) সেই ব্যক্তি, যে কোন লোককে মজুর খাটায়, অতঃপর তার মজুরী আত্মসাৎ করে এবং (তৃতীয় হল) সেই ব্যক্তি, যে খামোখা পশু হত্যা করে।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ أَعْظَمَ الذُّنُوبِ عِنْدَ اللهِ رَجُلٌ تَزَوَّجَ امْرَأَةً فَلَمَّا قَضَى حَاجَتَهُ مِنْهَا طَلَّقَهَا وَذَهَبَ بِمَهْرِهَا وَرَجُلٌ اسْتَعْمَلَ رَجُلاً فَذَهَبَ بِأُجْرَتِهِ وَآخَرُ يَقْتُلُ دَابَّةً عَبَثًا

عن ابن عمر رضى الله عنهما ان رسول الله ﷺ قال ان اعظم الذنوب عند الله رجل تزوج امراة فلما قضى حاجته منها طلقها وذهب بمهرها ورجل استعمل رجلا فذهب باجرته واخر يقتل دابة عبثا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১৪) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি অধিকার ছাড়া (অযথা) একটি বা তার বেশী চড়ুই হত্যা করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সে চড়ুই সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন। বলা হল, হে আল্লাহর রসূল! অধিকারটা কী (যে অধিকারে তাকে হত্যা করা বৈধ হবে)? তিনি বললেন, অধিকার হল এই যে, তা যবাই করে তা খাওয়া হবে এবং মাথা কেটে (হত্যা করে) ফেলে দেওয়া হবে না।

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ إِنْسَانٍ يَقْتُلُ عُصْفُوْرًا فَمَا فَوْقهَا بِغَيْر حَقّهَا إِلَّا سَأَلَهُ الله عَزَّ وَجَلَّ عَنْهَا قيل وَمَا حَقّهَا قَالَ يَذْبـَحُهَا وَيَأْكُلُهَا وَلَا يقطع رَأسَهَا ويَطرحها

وعن عبد الله بن عمرو رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما من انسان يقتل عصفورا فما فوقها بغير حقها الا ساله الله عز وجل عنها قيل وما حقها قال يذبحها وياكلها ولا يقطع راسها ويطرحها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১৫) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এক সফরে ছিলাম। তিনি নিজ প্রয়োজনে (সরে) গেলে আমরা ’হুম্মারাহ’ (নামক লাল রঙের চড়ুই জাতীয় একটি) পাখী দেখলাম। তার সাথে ছিল তার দুটি ছানা। আমরা সেই ছানা দুটিকে নিয়ে ফেললাম। পাখীটি আমাদের মাথার উপরে ঘুরে-ফিরে উড়তে লাগল। ইতিমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে তা দেখে বললেন, কে ওকে ওর ছানা নিয়ে কষ্ট দিয়েছে? ওর ছানা ওকে ফিরিয়ে দাও। একদা তিনি দেখলেন, পিঁপড়ের গর্তসমূহকে আমরা পুড়িয়ে ফেলেছি। তিনি তা দেখে বললেন, কে এই (পিঁপড়েগুলি)কে পুড়িয়ে ফেলেছে?’’ আমরা বললাম, ’আমরাই।’ তিনি বললেন, আগুনের মালিক (আল্লাহ) ছাড়া আগুন দ্বারা শাস্তি দেওয়া আর অন্য কারো জন্য সঙ্গত নয়।

عن عَبْدِ اللهِ بن مسعود قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فِى سَفَرٍ فَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ فَرَأَيْنَا حُمَّرَةً مَعَهَا فَرْخَانِ فَأَخَذْنَا فَرْخَيْهَا فَجَاءَتِ الْحُمَّرَةُ فَجَعَلَتْ تَفْرُشُ فَجَاءَ النَّبِىُّ ﷺ فَقَالَ مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِوَلَدِهَا رُدُّوا وَلَدَهَا إِلَيْهَا وَرَأَى قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حَرَّقْنَاهَا فَقَالَ مَنْ حَرَّقَ هَذِهِ قُلْنَا نَحْنُ قَالَ إِنَّهُ لاَ يَنْبَغِى أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلاَّ رَبُّ النَّارِ

عن عبد الله بن مسعود قال كنا مع رسول الله ﷺ فى سفر فانطلق لحاجته فراينا حمرة معها فرخان فاخذنا فرخيها فجاءت الحمرة فجعلت تفرش فجاء النبى ﷺ فقال من فجع هذه بولدها ردوا ولدها اليها وراى قرية نمل قد حرقناها فقال من حرق هذه قلنا نحن قال انه لا ينبغى ان يعذب بالنار الا رب النار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১৬) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’একদা একটি গাছের নিচে একজন নবীকে পিঁপড়ে কামড়ে দিলে তিনি গর্তসহ পিঁপড়ের দল পুড়িয়ে ফেললেন। আল্লাহ তাঁকে অহী করে বললেন, তোমাকে একটি পিঁপড়ে কামড়ে দিলে তুমি একটি এমন জাতিকে পুড়িয়ে মারলে, যে (আমার) তসবীহ পাঠ করত? তুমি মারলে তো একটিকেই মারলে না কেন, (যে তোমাকে কামড়ে দিয়েছিল)?

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ نَزَلَ نَبِىٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ فَأَمَرَ بِجِهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ تَحْتِهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللهُ إِلَيْهِ فَهَلاَّ نَمْلَةً وَاحِدَةً

عن ابى هريرة ان النبى ﷺ قال نزل نبى من الانبياء تحت شجرة فلدغته نملة فامر بجهازه فاخرج من تحتها ثم امر بها فاحرقت فاوحى الله اليه فهلا نملة واحدة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১৭) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচটি দুষ্ট প্রাণীকে ইহরাম ও হালাল অবস্থায় (অথবা হারাম সীমানার ভিতরে ও তার বাইরে) হত্যা করা হবে; সাপ (বিছা), (পিঠে অথবা বুকে সাদা দাগবিশিষ্ট এক প্রকার) কাক, ইঁদুর, হিংস্র কুকুর ও চিল।

عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها عَنِ النَّبِىِّ ﷺ أَنَّهُ قَالَ خَمْسٌ فَوَاسِقُ يُقْتَلْنَ فِى الْحِلِّ وَالْحَرَمِ الْحَيَّةُ وَالْغُرَابُ الأَبْقَعُ وَالْفَارَةُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ وَالْحُدَيَّا

عن عاىشة رضى الله عنها عن النبى ﷺ انه قال خمس فواسق يقتلن فى الحل والحرم الحية والغراب الابقع والفارة والكلب العقور والحديا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১৮) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতেই একটি টিকটিকি মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত সওয়াব; যে ব্যক্তি দ্বিতীয় আঘাতে তা মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত অপেক্ষাকৃত কম সওয়াব; আর যে ব্যক্তি তৃতীয় আঘাতে তা মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত অপেক্ষাকৃত আরো কম সওয়াব।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ قَتَلَ وَزَغَةً فِى أَوَّلِ ضَرْبَةٍ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً وَمَنْ قَتَلَهَا فِى الضَّرْبَةِ الثَّانِيَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً لِدُونِ الأُولَى وَإِنْ قَتَلَهَا فِى الضَّرْبَةِ الثَّالِثَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً لِدُونِ الثَّانِيَةِ

عن ابى هريرة قال قال رسول الله ﷺ من قتل وزغة فى اول ضربة فله كذا وكذا حسنة ومن قتلها فى الضربة الثانية فله كذا وكذا حسنة لدون الاولى وان قتلها فى الضربة الثالثة فله كذا وكذا حسنة لدون الثانية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২১৯) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সর্ব প্রকার (বিষধর) সর্প হত্যা কর। যে ব্যক্তি কোন (বিষধর) সাপ দেখে এবং তার হামলার ভয়ে তাকে মেরে না ফেলে, সে আমার দলভুক্ত নয়।

عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ كُلَّهُنَّ فَمَنْ خَافَ ثَأْرَهُنَّ فَلَيْسَ مِنِّى

عن ابن مسعود قال قال رسول الله ﷺ اقتلوا الحيات كلهن فمن خاف ثارهن فليس منى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ দাস-দাসী, পশু, নিজ স্ত্রী অথবা ছেলেমেয়েকে শরয়ী কারণ ছাড়া আদব দেওয়ার জন্য যতটুকু জরুরী তার থেকে বেশি শাস্তি দেওয়া নিষেধ

(২২২০) হামযা আসলামী কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আগুনের মালিক (আল্লাহ) ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া আর কারো জন্য সঙ্গত নয়।

عن حَمْزَةَ الأَسْلَمِىُّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّهُ لاَ يُعَذِّبُ بِالنَّارِ إِلاَّ رَبُّ النَّارِ

عن حمزة الاسلمى ان رسول الله ﷺ قال انه لا يعذب بالنار الا رب النار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে