পরিচ্ছেদঃ ঝড়-বাতাসকে গালি দেওয়া নিষেধ ও ঝড়ের সময় দু‘আ

(২০৯৫) আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হাওয়াকে অভিশাপ দিয়ো না। যেহেতু হাওয়া তো আদেশপ্রাপ্ত, (আল্লাহর) আজ্ঞাবহ। আর যে ব্যক্তি কোন নির্দোষ নিরপরাধ বস্তুকে অভিশাপ করে, তার প্রতিই সেই অভিশাপ প্রত্যাবৃত্ত হয়।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ النَّبِىُّ ﷺ لاَ تَلْعَنْ الريحَ فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ وَإِنَّهُ مَنْ لَعَنَ شَيْئًا لَيْسَ لَهُ بِأَهْلٍ رَجَعَتِ اللَّعْنَةُ عَلَيْهِ

عن ابن عباس قال النبى ﷺ لا تلعن الريح فانها مامورة وانه من لعن شيىا ليس له باهل رجعت اللعنة عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ ঝড়-বাতাসকে গালি দেওয়া নিষেধ ও ঝড়ের সময় দু‘আ

(২০৯৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, বায়ু আল্লাহর আশিস, যা রহমত আনে এবং আযাবও আনে। কাজেই তোমরা যখন তা বইতে দেখবে, তখন তাকে গালি দিও না। বরং আল্লাহর নিকট তার ইষ্ট প্রার্থনা কর এবং তার অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা কর।

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ الرِّيحُ مِنْ رَوحِ اللهِ تَأْتِي بِالرَّحْمَةِ، وَتَأتِي بِالعَذَابِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَلاَ تَسُبُّوهَا وَسَلُوا اللهَ خَيْرَهَا وَاسْتَعِيذُوا بِاللهِ مِنْ شَرِّهَا رَوَاهُ أَبُوْ دَاوُدَ بِإِسْنَادٍ حَسَنٍ

وعن ابي هريرة قال سمعت رسول الله ﷺ يقول الريح من روح الله تاتي بالرحمة وتاتي بالعذاب فاذا رايتموها فلا تسبوها وسلوا الله خيرها واستعيذوا بالله من شرها رواه ابو داود باسناد حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ ঝড়-বাতাসকে গালি দেওয়া নিষেধ ও ঝড়ের সময় দু‘আ

(২০৯৭) আবুল মুনযির উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা ঝড়কে গালি দিয়ো না। যখন তোমরা অপছন্দনীয় কিছু লক্ষ্য করবে, তখন এই দু’আ পড়বে। ’আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাযিহির রীহি অখাইরি মা ফীহা অখাইরি মা উমিরাত বিহ। অনাঊযু বিকা মিন শাররি হাযিহির রীহি অশাররি মা ফীহা অশাররি মা উমিরাত বিহ।

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এই ঝড়ের কল্যাণ, ওর মধ্যে নিহিত কল্যাণ এবং যার আদিষ্ট হয়েছে তার কল্যাণ। এবং তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি এই বায়ুর অনিষ্ট হতে ওর মধ্যে নিহিত অনিষ্ট এবং যার আদিষ্ট হয়েছে তার অনিষ্ট হতে।

عَن أَبِي الْمُنْذِرِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ تَسُبُّوا الرِّيحَ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مَا تَكْرَهُونَ فَقُولُوا : اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيحِ وَخَيْرِ مَا فِيهَا وَخَيْرِ مَا أُمِرَتْ بِهِ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيحِ وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ رَوَاهُ التِّرْمِذِيْ، وَقَالَ حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحَيْحٌ

عن ابي المنذر ابي بن كعب قال قال رسول الله ﷺ لا تسبوا الريح فاذا رايتم ما تكرهون فقولوا اللهم انا نسالك من خير هذه الريح وخير ما فيها وخير ما امرت به ونعوذ بك من شر هذه الريح وشر ما فيها وشر ما امرت به رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ ঝড়-বাতাসকে গালি দেওয়া নিষেধ ও ঝড়ের সময় দু‘আ

(২০৯৮)আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঝড়-তুফান চলা কালে আল্লাহর রসূল এই দু’আ করতেন, ’আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা অখাইরা মা ফীহা অখাইরা মা উরসিলাত বিহ, অআঊযু বিকা মিন শাররিহা অশাররি মা ফীহা অশাররি মা উরসিলাত বিহ।’

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি এর কল্যাণ, এর মধ্যে যা আছে তার কল্যাণ এবং যার সাথে এ প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ তোমার নিকট প্রার্থনা করছি। আর এর অনিষ্ট, এর মধ্যে যা আছে তার অনিষ্ট এবং যার সাথে এ প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি।

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ ﷺ إذَا عَصَفَتِ الرِّيحُ قَالَ اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْألُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ رَوَاهُ مُسْلِمُ

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت كان النبي ﷺ اذا عصفت الريح قال اللهم اني اسالك خيرها وخير ما فيها وخير ما ارسلت به واعوذ بك من شرها وشر ما فيها وشر ما ارسلت به رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে