পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

আল্লাহ তাআলা বলেন,

والَّذِينَ يُؤْذُونَ المُؤْمِنِينَ والْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتاناً وإثْماً مُبِيناً

অর্থাৎ, যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব ৫৮)

(২০৮১) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী (আল্লাহর অবাধ্যাচরণ) এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী।

وَعَنِ ابْنِ مَسعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتالُهُ كُفْرٌ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود قال قال رسول الله ﷺ سباب المسلم فسوق وقتاله كفر متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৮২) আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তিনি এ কথা বলতে শুনেছেন যে, যখন কোন মানুষ অন্য মানুষের প্রতি ’ফাসেক’ অথবা ’কাফের’ বলে অপবাদ দেয়, তখনই তা তার উপরেই বর্তায়; যদি তার প্রতিপক্ষ তা না হয়।

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالفِسْقِ أَوِ الكُفْرِ إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كذٰلِكَ رواه البخاري

وعن ابي ذر انه سمع رسول الله ﷺ يقول لا يرمي رجل رجلا بالفسق او الكفر الا ارتدت عليه ان لم يكن صاحبه كذلك رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৮৩) আবূ যার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জানা সত্ত্বেও পরের বাপকে বাপ বলে দাবী করে সে কুফরী করে, যে ব্যক্তি কোন এমন বস্তু কারো নিকট হতে দাবী করে যা তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয় এবং সে যেন নিজের বাসস্থান দোযখে বানিয়ে নেয়। আর যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে ’ফাসেক’ বলে অথবা ’আল্লাহর দুশমন’ বলে অথচ সে তা নয় তবে সে (বলা গালি) তারই উপর বর্তায়।

عَنْ أَبِى ذَرٍّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قال لَيْسَ مِنْ رَجُلٍ ادَّعَى لِغَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُهُ إِلاَّ كَفَرَ وَمَنِ ادَّعَى مَا لَيْسَ لَهُ فَلَيْسَ مِنَّا وَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنْ دَعَا رَجُلاً بِالْكُفْرِ أَوْ قَالَ عَدُوَّ اللهِ، وَلَيْسَ كَذٰلِكَ إِلاَّ حَارَ عَلَيْهِ

عن ابى ذر ان رسول الله ﷺ قال ليس من رجل ادعى لغير ابيه وهو يعلمه الا كفر ومن ادعى ما ليس له فليس منا وليتبوا مقعده من النار ومن دعا رجلا بالكفر او قال عدو الله وليس كذلك الا حار عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৮৪) বারা’ বিন আযেব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সূদ (খাওয়ার পাপ হল) ৭২ প্রকার। যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট পাপ হল মায়ের সাথে ব্যভিচার করার মত! আর সবচেয়ে বড় (পাপের) সূদ হল নিজ (মুসলিম) ভাইয়ের সম্ভ্রম নষ্ট করা।

وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ قَا :الرِّبَا اثْنانِ وَسَبْعُونَ بَاباً أدْنَاهَا مِثْلُ إِتْيانِ الرَّجُلِ أُمَّهُ وَإِنَّ أَرْبَى الرِّبَا اسْتِطالَةُ الرَّجُلِ فِي عَرْضِ أَخِيْهِ

وعن البراء بن عازب رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم قا الربا اثنان وسبعون بابا ادناها مثل اتيان الرجل امه وان اربى الربا استطالة الرجل في عرض اخيه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৮৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আপোসে গালাগালিতে রত দু’জন ব্যক্তি যে সব কুবাক্য উচ্চারণ করে, সে সব তাদের মধ্যে সূচনাকারীর উপরে বর্তায়; যতক্ষণ না অত্যাচারিত ব্যক্তি (প্রতিশোধ গ্রহণে) সীমা অতিক্রম করে।

وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ المُتَسَابَّانِ مَا قَالاَ فَعَلَى البَادِي مِنهُمَا حَتّٰـى يَعْتَدِي المَظْلُومُ رواه مسلم

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال المتسابان ما قالا فعلى البادي منهما حتى يعتدي المظلوم رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৮৬) ইয়ায বিন হিমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, ’হে আল্লাহর নবী! আমার চাইতে ছোট হয়েও আমার সম্প্রদায়ের কোন লোক যদি আমাকে গালি-গালাজ করে, তাহলে আমি তার প্রতিশোধ নিলে দোষ আছে কি?’ উত্তরে তিনি বললেন, উভয় গালমন্দকারী দুই শয়তান। এরা পরস্পরের উপর মিথ্যা দোষারোপ করে এবং অসত্য বলে।

عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِي يَشْتُمُنِي وَهُوَ دُونِي عَلَيَّ بَأْسٌ أَنْ أَنْتَصِرَ مِنْهُ؟ قَالَ الْمُسْتَبَّانِ شَيْطَانَانِ يَتَهَاتَرَانِ وَيَتَكَاذَبَانِ

عن عياض بن حمار قال قلت يا رسول الله رجل من قومي يشتمني وهو دوني علي باس ان انتصر منه قال المستبان شيطانان يتهاتران ويتكاذبان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৮৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদ পান করেছে এমন এক ব্যক্তিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাজির করা হল। তিনি আদেশ দিলেন, ’ওকে তোমরা মার।’ আবূ হুরাইরা বলেন, (তাঁর আদেশ অনুযায়ী আমরা তাকে মারতে আরম্ভ করলাম।) আমাদের কেউ তাকে হাত দ্বারা মারতে লাগল, কেউ আপন জুতা দ্বারা, কেউ নিজ কাপড় দ্বারা। অতঃপর যখন সে ফিরে যেতে লাগল, তখন কিছু লোক বলে উঠল, ’আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুক।’ তা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এরূপ বলো না এবং ওর বিরুদ্ধে শয়তানকে সহযোগিতা করো না।

وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ قَالَ : أُتِيَ النَّبِيُّ ﷺ بِرَجُلٍ قَدْ شرِبَ قَالَ اِضرِبُوهُ قَالَ أَبُو هُرَيرَةَ : فَمِنَّا الضَّارِبُ بيَدِهِ وَالضَّارِبُ بِنَعْلِهِ وَالضَّارِبُ بِثَوْبِهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ بَعْضُ القَوْمِ : أَخْزَاكَ اللهُ قَالَ لا تَقُولُوا هَذَا لاَ تُعِينُوا عَلَيْهِ الشَّيْطَان رواه البخاري

وعن ابي هريرة قال اتي النبي ﷺ برجل قد شرب قال اضربوه قال ابو هريرة فمنا الضارب بيده والضارب بنعله والضارب بثوبه فلما انصرف قال بعض القوم اخزاك الله قال لا تقولوا هذا لا تعينوا عليه الشيطان رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৮৮) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ মালিকানাধীন দাসের উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেবে, কিয়ামতের দিন তার উপর হদ্ (দণ্ডবিধি) প্রয়োগ করা হবে। তবে সে যা বলেছে, দাস যদি তাই হয় (তাহলে ভিন্ন কথা।)

وَعَنْهُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَنْ قَذَفَ مَمْلُوكَهُ بِالزِّنَى يُقَامُ عَلَيْهِ الحَدُّ يَومَ القِيَامَةِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ كَمَا قَالَ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

وعنه قال سمعت رسول الله ﷺ يقول من قذف مملوكه بالزنى يقام عليه الحد يوم القيامة الا ان يكون كما قال متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৮৯) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি তোমাকে তোমার সে বিষয় নিয়ে গালি দেয় যা সে জানে, তখন তুমি সেই ব্যক্তিকে সেই বিষয় ধরে গালি দিয়ো না, যা তুমি ওর মধ্যে আছে তা জান। এতে তোমার পূণ্য লাভ হবে এবং ওর উপর হবে পাপের বোঝা।

عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهُ ﷺ إِذَا سَبَّكَ رَجُلٌ بِمَا يَعْلَمُ مِنْكَ فلا تَسُبَّهُ بِما تَعْلَمُ مِنْهُ فَيَكُونَ أجْرُ ذٰلِكَ لَكَ وَوَبالُـهُ عَلَيْهِ

عن ابن عمر قال قال رسول الله ﷺ اذا سبك رجل بما يعلم منك فلا تسبه بما تعلم منه فيكون اجر ذلك لك ووباله عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

(২০৯০) জাবের বিন সুলাইম হুজাইমী (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...আর যদি কোন ব্যক্তি তোমাকে গালি দেয় এবং যে ত্রুটি তোমার মধ্যে নেই তা নিয়ে তোমাকে লজ্জা দেয়, তাহলে তুমি তাকে সেই ত্রুটি নিয়ে ওকে লজ্জা দিয়ো না, যা ওর মধ্যে আছে। ওকে উপেক্ষা করে চল। ওর পাপ ওর উপর এবং তোমার পুণ্য তোমার জন্য। আর অবশ্যই কাউকে গালি দিয়ো না।

عَنْ جَابِرِ بْنِ سَلِيْمِ الْهَجَيْمِيْ عَنِ النَّبِيِ ﷺ قَالَ: وإنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وعَيَّرَكَ بِأمْرٍ لَيْسَ هُوَ فِيكَ فَلَا تُعَيِّرْهُ بِأمْرٍ هُوَ فِيهِ ودَعْهُ يَكُونُ وَبَالُهُ عَلَيْه وأجْرُهُ لَكَ ولا تَسُبَّنَّ أحَداً

عن جابر بن سليم الهجيمي عن النبي ﷺ قال وان امرو شتمك وعيرك بامر ليس هو فيك فلا تعيره بامر هو فيه ودعه يكون وباله عليه واجره لك ولا تسبن احدا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে