পরিচ্ছেদঃ অপরের গোপনীয় দোষ সন্ধান করা, অপরের অপছন্দ সত্ত্বেও তার কথা কানাচি পেতে শোনা নিষেধ

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

وَلاَ تَجَسَّسُوا

অর্থাৎ, তোমরা অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। (সূরা হুজুরাত ১২)

والَّذِينَ يُؤْذُونَ المُؤْمِنِينَ والْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتاناً وإثْماً مُبِيناً

অর্থাৎ, যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব ৫৮)


(২০৪৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা কুধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাক। কারণ কুধারণা সব চাইতে বড় মিথ্যা কথা। অপরের গোপনীয় দোষ খুঁজে বেড়ায়ো না, অপরের জাসূসী করো না, একে অপরের সাথে (অসৎ কাজে) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করো না, পরস্পরে হিংসা করো না, পরস্পরে বিদ্বেষ পোষণ করো না, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হয়ো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও; যেমন তিনি তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন।

এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার প্রতি যুলুম করবে না, তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেবে না এবং তাকে তুচ্ছ ভাববে না। আল্লাহভীতি এখানে রয়েছে। আল্লাহভীতি এখানে রয়েছে। (তিনি নিজ বুকের দিকে ইঙ্গিত করলেন।) কোন মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ ভাবা একটি মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, সম্ভ্রম ও সম্পদ অপর মুসলিমের উপর হারাম। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের দেহ ও আকার-আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’তোমরা পরস্পর হিংসা করো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, অপরের জাসূসী করো না, অপরের গোপনীয় দোষ খুঁজে বেড়ায়ো না, পরস্পরের পণ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়ো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।’’

আর এক বর্ণনায় আছে, ’’তোমরা পরস্পর সম্পর্ক-ছেদ করো না, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হয়ো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করো না, পরস্পর হিংসা করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।’’

অন্য আরো এক বর্ণনায় আছে, ’’তোমরা একে অন্যের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো না এবং অপরের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় করো না।’’ (এ সবগুলি মুসলিম বর্ণনা করেছেন ৬৭০১-৬৭০৫ এবং এর অধিকাংশ বর্ণনা করেছেন বুখারী ৫১৪৩, ৬০৬৪, ৬০৬৬, ৬৭২৪)

وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الحَدِيثِ وَلاَ تَحَسَّسُوا وَلاَ تَجَسَّسُوا وَلاَ تَنَافَسُوا، وَلاَ تَحَاسَدُوا وَلاَ تَبَاغَضُوا وَلاَ تَدَابَرُوا وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَاناً كَمَا أَمَرَكُمْ المُسْلِمُ أَخُو المُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يَخْذُلُهُ وَلاَ يَحْقِرُهُ التَّقْوَى هاهُنَا التَّقْوَى هاهُنَا وَيُشِيرُ إِلَى صَدْرِهِ بِحَسْبِ امْرِىءٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ المُسْلِمَ كُلُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ حَرَامٌ : دَمُهُ وَعِرْضُهُ وَمَالُهُ إِنَّ اللهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَادِكُمْ وَلاَ إِلَى صُوَرِكُمْ وَلكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ
وَفِي رواية لاَ تَحَاسَدُوا، وَلاَ تَبَاغَضُوا وَلاَ تَجَسَّسُوا وَلاَ تَحَسَّسُوا وَلاَ تَنَاجَشُوا وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْواناً
وفي رواية لاَ تَقَاطَعُوا وَلاَ تَدَابَرُوا وَلاَ تَبَاغَضُوا وَلاَ تَحَاسَدُوا وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْواناً
وَفِي رِواية وَلاَ تَهَاجَرُوا وَلاَ يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ رواه مسلم بكلّ هذِهِ الروايات، وروى البخاريُّ أَكْثَرَهَا

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال اياكم والظن فان الظن اكذب الحديث ولا تحسسوا ولا تجسسوا ولا تنافسوا ولا تحاسدوا ولا تباغضوا ولا تدابروا وكونوا عباد الله اخوانا كما امركم المسلم اخو المسلم لا يظلمه ولا يخذله ولا يحقره التقوى هاهنا التقوى هاهنا ويشير الى صدره بحسب امرىء من الشر ان يحقر اخاه المسلم كل المسلم على المسلم حرام دمه وعرضه وماله ان الله لا ينظر الى اجسادكم ولا الى صوركم ولكن ينظر الى قلوبكم واعمالكم وفي رواية لا تحاسدوا ولا تباغضوا ولا تجسسوا ولا تحسسوا ولا تناجشوا وكونوا عباد الله اخوانا وفي رواية لا تقاطعوا ولا تدابروا ولا تباغضوا ولا تحاسدوا وكونوا عباد الله اخوانا وفي رواية ولا تهاجروا ولا يبع بعضكم على بيع بعض رواه مسلم بكل هذه الروايات وروى البخاري اكثرها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অপরের গোপনীয় দোষ সন্ধান করা, অপরের অপছন্দ সত্ত্বেও তার কথা কানাচি পেতে শোনা নিষেধ

(২০৪৭) মুআবিয়াহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ’’যদি তুমি মুসলিমদের গুপ্ত দোষগুলি খুঁজে বেড়াও, তাহলে তুমি তাদের মাঝে ফাসাদ সৃষ্টি ক’রে দেবে অথবা তাদের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি করার উপক্রম হবে।’’ (আবূ দাঊদ হা/৪৮৯০, বিশুদ্ধ সানাদ)

وَعَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ إِنَّكَ إِنِ اتَّبَعْتَ عَوْرَاتِ المُسْلِمينَ أَفْسَدْتَهُمْ أَوْ كِدْتَ أَنْ تُفْسِدَهُمْ حديث صحيح رواه أَبُو داود بإسناد صحيح

وعن معاوية قال سمعت رسول الله ﷺ يقول انك ان اتبعت عورات المسلمين افسدتهم او كدت ان تفسدهم حديث صحيح رواه ابو داود باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অপরের গোপনীয় দোষ সন্ধান করা, অপরের অপছন্দ সত্ত্বেও তার কথা কানাচি পেতে শোনা নিষেধ

(২০৪৮) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তাঁর নিকট একটি লোককে নিয়ে আসা হল এবং তার সম্পর্কে বলা হল যে, ’এ লোকটি অমুক, এর দাড়ি থেকে মদ ঝরছে।’ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বললেন, ’আমাদেরকে জাসূসী করতে (গুপ্ত দোষ খুঁজে বেড়াতে) নিষেধ করা হয়েছে। তবে যদি কোন (প্রমাণ) আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আমরা তা দিয়ে তাকে পাকড়াও করব।’

وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ أَنَّهُ أُتِيَ بِرَجُلٍ فَقِيلَ لَهُ : هَذَا فُلاَنٌ تَقْطُرُ لِحْيَتُهُ خَمْراً فَقَالَ : إنَّا قَدْ نُهِيْنَا عَنِ التَّجَسُّسِ، وَلَكِنْ إِنْ يَظْهَرْ لَنَا شَيْءٌ، نَأخُذْ بِهِ حديث حسن صحيح رواه أَبُو داود بإسنادٍ عَلَى شَرْطِ البخاري ومسلم

وعن ابن مسعود انه اتي برجل فقيل له هذا فلان تقطر لحيته خمرا فقال انا قد نهينا عن التجسس ولكن ان يظهر لنا شيء ناخذ به حديث حسن صحيح رواه ابو داود باسناد على شرط البخاري ومسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অপরের গোপনীয় দোষ সন্ধান করা, অপরের অপছন্দ সত্ত্বেও তার কথা কানাচি পেতে শোনা নিষেধ

(২০৪৯) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কথা কান পেতে শুনবে অথচ তারা তা অপছন্দ করে, সে ব্যক্তির উভয় কানে কিয়ামতের দিন গলিত সীসা ঢালা হবে।

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ وَمَنْ اسْتَمَعَ إِلَى حَدِيثِ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ أَوْ يَفِرُّونَ مِنْهُ صُبَّ فِي أُذُنِهِ الْآنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

عن ابن عباس عن النبي ﷺ قال ومن استمع الى حديث قوم وهم له كارهون او يفرون منه صب في اذنه الانك يوم القيامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে