পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৪৬) উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে তার কবরের মধ্যে তার জন্য মাতম করে কান্না করার দরুন শাস্তি দেওয়া হয়। (বুখারী ১২৯২, মুসলিম ২১৮২)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, যতক্ষণ তার জন্য মাতম ক’রে কান্না করা হয়, (ততক্ষণ মৃতব্যক্তির আযাব হয়।) (আবূ য়্যা’লা ১৫৬, বাযযার ১৪৬)

عَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ ﷺ المَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ وَفِيْ رِوَايَةٍمَا نِيحَ عَلَيْهِ متفق عليه

عن عمر بن الخطاب قال قال النبي ﷺ الميت يعذب في قبره بما نيح عليه وفي روايةما نيح عليه متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৪৭) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে (শোকের সময়) গালে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিঁড়ে এবং জাহেলিয়াতের ডাকের ন্যায় ডাক ছাড়ে।

(অর্থাৎ চিল্লে চিল্লে মৃত ব্যক্তির বীরত্ব, দানশীলতা ও বিভিন্ন গুণ বর্ণনা করে, যেমনঃ ও আমার বাঘ! ও আমার চাঁদ! ও আমার রাজা! ও আমার সাত কোদালের মুনিস! ইত্যাদি)

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الخُدُودَ وَشَقَّ الجُيُوبَ، وَدَعَا بِدَعْوَى الجَاهِلِيَّةِ متفق عليه

وعن ابن مسعود قال قال رسول الله ﷺ ليس منا من ضرب الخدود وشق الجيوب ودعا بدعوى الجاهلية متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৪৮) আবূ বুরদাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (তাঁর পিতা) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর (ঐ সময়) তাঁর মাথা তাঁর এক স্ত্রীর কোলে রাখা ছিল এবং সে চিৎকার করে কান্না করতে লাগল। তিনি (অজ্ঞান থাকার কারণে) তাকে বাধা দিতে পারলেন না। সুতরাং যখন তিনি চেতনা ফিরে পেলেন, তখন বলে উঠলেন, ’আমি সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত, যে মহিলা থেকে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন, যে শোকে উচ্চ স্বরে মাতম করে কান্না করে, মাথা মুণ্ডন করে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।

وَعَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ: وَجَعَ أَبُو مُوسَى فَغُشِيَ عَلَيْهِ وَرَأسُهُ فِي حِجْرِ امْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِهِ فَأَقْبَلَتْ تَصِيحُ بِرَنَّةٍ فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهَا شَيْئاً فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ : أَنَا بَرِيءٌ مِمَّنْ بَرِىءَ مِنْهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ بَرِيءٌ مِنَ الصَّالِقَةِ وَالحَالِقَةِ وَالشَّاقَّةِ متفق عليه

وعن ابي بردة قال وجع ابو موسى فغشي عليه وراسه في حجر امراة من اهله فاقبلت تصيح برنة فلم يستطع ان يرد عليها شيىا فلما افاق قال انا بريء ممن برىء منه رسول الله ﷺ ان رسول الله ﷺ بريء من الصالقة والحالقة والشاقة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৪৯) মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, যার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, তাকে কিয়ামতের দিনে তার জন্য মাতম করার দরুন শাস্তি দেওয়া হবে।

وَعَنِ المُغِيرَةِ بنِ شُعبَةَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺيَقُولُمَنْ نِيحَ عَلَيْهِ فَإِنَّهُ يُعَذَّبُ بِمَا نِيحَ عَلَيهِ يَومَ القِيَامَةِ متفق عليه

وعن المغيرة بن شعبة قال سمعت رسول الله ﷺيقولمن نيح عليه فانه يعذب بما نيح عليه يوم القيامة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৫০) উম্মে আত্বিআহ নুসাইবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বায়আতের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এই অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন যে, আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করব না।

وَعَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ نُسَيْبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا قَالَتْ : أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ عِندَ البَيْعَةِ أَنْ لاَ نَنُوحَ

وعن ام عطية نسيبة رضي الله عنها قالت اخذ علينا رسول الله ﷺ عند البيعة ان لا ننوح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৫১) নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহাহ (রাঃ) (একবার) অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর বোন কান্না করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, ’ও (আমার) পাহাড় গো! ও আমার এই গো! ও আমার ওই গো!’ এভাবে তাঁর একাধিক গুণ বর্ণনা করতে লাগলেন। সুতরাং যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বললেন, তুমি যা কিছু বলেছ, সে সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল যে, তুমি ঐরূপ ছিলে নাকি?

وَعَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : أُغْمِيَ عَلَى عَبدِ اللهِ بْنِ رَوَاحَةَ فَجَعَلَتْ أُخْتُهُ تَبْكِي، وَتَقُولُ : وَاجَبَلاهُ وَاكَذَا وَاكَذَا : تُعَدِّدُ عَلَيْهِ فقالَ حِينَ أَفَاقَ : مَا قُلْتِ شَيْئاً إِلاَّ قِيلَ لِي أَنْتَ كَذَلِكَ رواه البخاري

وعن النعمان بن بشير رضي الله عنهما قال اغمي على عبد الله بن رواحة فجعلت اخته تبكي وتقول واجبلاه واكذا واكذا تعدد عليه فقال حين افاق ما قلت شيىا الا قيل لي انت كذلك رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৫২) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সা’দ ইবনে উবাদাহ (রাঃ) একবার পীড়িত হলে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ, সা’দ ইবনে আবী অক্কাস এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট কুশল জিজ্ঞাসার জন্য গেলেন। যখন তিনি তাঁর নিকট উপস্থিত হলেন, তখন তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় পেলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ও কি মারা গেছে? লোকেরা জবাব দিল, হে আল্লাহর রসূল! না (মারা যায়নি)।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেঁদে ফেললেন। সুতরাং লোকেরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কান্না করতে দেখল, তখন তারাও কাঁদতে লাগল। তিনি বললেন, তোমরা কি শুনতে পাও না? নিঃসন্দেহে আল্লাহ চোখের অশ্রু ঝরাবার জন্য শাস্তি দেন না এবং আন্তরিক দুঃখ প্রকাশের জন্যও শাস্তি দেন না। কিন্তু তিনি তো এটার কারণে শাস্তি দেন অথবা দয়া করেন।’’ এই বলে তিনি নিজ জিভের প্রতি ইঙ্গিত করলেন।

وعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : اشْتَكَى سَعْدُ بنُ عُبَادَةَ شَكْوَى فَأَتَاهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَعُودُهُ مَعَ عَبدِ الرَّحمانِ بْنِ عَوفٍ وَسَعْدِ بنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ وَجَدَهُ فِي غَشْيَةٍ فَقَالَأَقَضَى ؟ قَالُوا : لاَ يَا رَسُولَ اللهِ فَبكَى رَسُولُ اللهِ ﷺ فَلَمَّا رَأَى القَوْمُ بُكَاءَ النَّبِيِّ ﷺ بَكَوْا قَالَأَلاَ تَسْمَعُونَ ؟ إِنَّ اللهَ لاَ يُعَذِّبُ بِدَمْعِ العَيْنِ وَلاَ بِحُزْنِ القَلْبِ، وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا - وَأَشَارَ إلَى لِسَانِهِ - أَو يَرْحَمُ متفق عليه

وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال اشتكى سعد بن عبادة شكوى فاتاه رسول الله ﷺ يعوده مع عبد الرحمان بن عوف وسعد بن ابي وقاص وعبد الله بن مسعود فلما دخل عليه وجده في غشية فقالاقضى قالوا لا يا رسول الله فبكى رسول الله ﷺ فلما راى القوم بكاء النبي ﷺ بكوا قالالا تسمعون ان الله لا يعذب بدمع العين ولا بحزن القلب ولكن يعذب بهذا واشار الى لسانه او يرحم متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৫৩) আবূ মালিক আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মাতমকারিণী মহিলা যদি মরণের পূর্বে তওবা না করে, তাহলে আল-কাতরার পায়জামা এবং পাঁচড়ার জামা পরিহিতা অবস্থায় তাকে কিয়ামতের দিনে দাঁড় করানো হবে।

وَعَن أَبِي مَالِكِ الأَشْعَرِي قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ النَّائِحَةُ إِذَا لَمْ تَتُبْ قَبلَ مَوْتِهَا تُقَامُ يَومَ القِيَامَةِ وَعَلَيْهَا سِربَالٌ مِنْ قَطِرَانٍ وَدِرْعٌ مِنْ جَرَبٍ رواه مسلم

وعن ابي مالك الاشعري قال قال رسول الله ﷺ الناىحة اذا لم تتب قبل موتها تقام يوم القيامة وعليها سربال من قطران ودرع من جرب رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৫৪) উসাইদ ইবনে আবূ উসাইদ তাবেয়ী, এমন এক মহিলা থেকে বর্ণনা করেন, যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বায়আতকারিণী মহিলাদের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব সৎকর্ম করতে ও তাতে তাঁর অবাধ্যতা না করতে আমাদের কাছে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, সে সবের মধ্যে এটিও ছিল যে, (শোকাহত হয়ে) আমরা চেহারা খামচাব না, ধ্বংস ও সর্বনাশ কামনা করব না, বুকের কাপড় ছিঁড়ব না এবং মাথার চুল আলুথালু করব না।

وَعَنْ أُسَيدِ بنِ أَبِي أُسَيدٍ التَّابِعِيِّ عَنِ امْرَأةٍ مِنَ المُبَايِعَاتِ قَالَتْ : كَانَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ فِي المَعْرُوفِ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ لاَ نَعْصِيَهُ فِيهِ : أَنْ لاَ نَخْمِشَ وَجْهَاً وَلاَ نَدْعُوَ وَيْلاً وَلاَ نَشُقَّ جَيْباً وَأَنْ لاَ نَنْشُرَ شَعْراً رواه أبو داود بإسناد حسن

وعن اسيد بن ابي اسيد التابعي عن امراة من المبايعات قالت كان فيما اخذ علينا رسول الله ﷺ في المعروف الذي اخذ علينا ان لا نعصيه فيه ان لا نخمش وجها ولا ندعو ويلا ولا نشق جيبا وان لا ننشر شعرا رواه ابو داود باسناد حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৫৫) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখনই কোন মৃত্যুগামী ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করে। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে রোদনকারিণী রোদন করে এবং বলে, ও আমার পাহাড় গো! ও আমার সর্দার গো! অথবা অনুরূপ আরো কিছু বলে, তখনই সেই মৃতের জন্য দু’জন ফিরিশতা নিযুক্ত করা হয়, যাঁরা তার বুকে ঘুষি মেরে বলতে থাকেন, তুই কি ঐ রকম ছিলি নাকি?

وَعَنْ أَبِي مُوسَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺقَالَمَا مِنْ مَيِّتٍ يَمُوْتُ فَيَقُوْمُ بَاكِيهِمْ فَيَقُولُ : وَاجَبَلاَهُ، وَاسَيِّدَاهُ أَو نَحْوَ ذَلِكَ إِلاَّ وُكِّلَ بِهِ مَلَكَانِ يَلْهَزَانِهِ : أَهَكَذَا كُنْتَ ؟ رواه الترمذي، وقال حديث حسن

وعن ابي موسى ان رسول الله ﷺقالما من ميت يموت فيقوم باكيهم فيقول واجبلاه واسيداه او نحو ذلك الا وكل به ملكان يلهزانه اهكذا كنت رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৫৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের মধ্যে দুটো আচরণ এমন পাওয়া যায়, যা তাদের ক্ষেত্রে কুফরীমূলক কর্ম; বংশে খোঁটা দেওয়া ও মৃতের জন্য মাতম ক’রে কান্না করা।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ اثْنَتَانِ فِي النَّاسِ هُمَا بِهِمْ كُفْرٌ : الطَّعْنُ فِي النَّسَبِ وَالنِّيَاحَةُ عَلَى المَيِّتِ رواه مسلم

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺ اثنتان في الناس هما بهم كفر الطعن في النسب والنياحة على الميت رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ

(১৩৫৭) উম্মে সালামাহ (রাঃ) বলেন, যখন (আমার স্বামী) আবূ সালামাহ (মক্কা থেকে মদীনায় এসে) মারা যান, তখন আমি বললাম, বিদেশী বিদেশে থেকেই মারা গেল! আমি তার জন্য এত কান্না কাঁদব যে, লোকমাঝে তার চর্চা হবে। এরপর আমি স্বামীর জন্য কাঁদার প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম। এমন সময় মদীনার পার্শ্ববর্তী পলস্নী থেকে এক মহিলা আমার মাতমে যোগদান করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হল।

কিন্তু আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সামনে এসে বললেন, যে ঘর থেকে আল্লাহ শয়তানকে বহিষ্কার করে দিয়েছেন সেই ঘরেই তুমি কি শয়তানকে পুনরায় প্রবেশ করাতে চাও। এরূপ তিনি দু’বার বললেন। ফলে কান্না করা হতে আমি বিরত হলাম, আর কাঁদলাম না।

عن أُمِّ سَلَمَةَ قالت: لَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ غَرِيبٌ وَفِى أَرْضِ غُرْبَةٍ لأَبْكِيَنَّهُ بُكَاءً يُتَحَدَّثُ عَنْهُ فَكُنْتُ قَدْ تَهَيَّأْتُ لِلْبُكَاءِ عَلَيْهِ إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الصَّعِيدِ تُرِيدُ أَنْ تُسْعِدَنِى فَاسْتَقْبَلَهَا رَسُولُ اللهِ ﷺ وَقَالَ أَتُرِيدِينَ أَنْ تُدْخِلِى الشَّيْطَانَ بَيْتًا أَخْرَجَهُ اللهُ مِنْهُ مَرَّتَيْنِ فَكَفَفْتُ عَنِ الْبُكَاءِ فَلَمْ أَبْكِ

عن ام سلمة قالت لما مات ابو سلمة قلت غريب وفى ارض غربة لابكينه بكاء يتحدث عنه فكنت قد تهيات للبكاء عليه اذ اقبلت امراة من الصعيد تريد ان تسعدنى فاستقبلها رسول الله ﷺ وقال اتريدين ان تدخلى الشيطان بيتا اخرجه الله منه مرتين فكففت عن البكاء فلم ابك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১২ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে