পরিচ্ছেদঃ বিনা চাওয়ায় এবং বিনা লোভ-লালসায় যে মাল পাওয়া যাবে, তা নেওয়া জায়েয

(৯১১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করলেন এবং আবূ বাকার (রাঃ) খলীফা নিযুক্ত হলেন। আর আরববাসীদের মধ্যে যার কাফের (মুরতাদ্দ) হবার ছিল সে কাফের (মুরতাদ্দ) হয়ে গেল, (এবং যারা সম্পূর্ণ ধর্মত্যাগ করেনি; বরং যাকাত দিতে অস্বীকার করছে মাত্র, তাদের বিরুদ্ধে আবূ বকর (রাঃ) সশস্ত্র সংগ্রামের সংকল্প প্রকাশ করলেন)।

তখন উমার (রাঃ) বললেন, ঐ (যাকাত দিতে নারাজ) লোকেদের বিরুদ্ধে কেমন করে যুদ্ধ করবেন অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, লোকেরা ’লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই) না বলা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। অতএব যে ব্যক্তি তা বলবে, সে ইসলামী অধিকার (অর্থদণ্ড ইত্যাদি) ছাড়া তার জান-মাল আমার নিকট থেকে নিরাপদ করে নেবে। আর তার (অন্তরের গভীরে কুফরী বা পাপ লুকানো থাকলে) হিসাব আল্লাহর যিম্মায়?

আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! যে ব্যক্তি নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, তার বিরুদ্ধে আমি লড়াই করব। কারণ, যাকাত মালের উপর আরোপিত হক। আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যে রশি আদায় করত, তা যদি আমাকে না দেয়, তাহলে তা না দেওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমি জিহাদ করবই। উমার (রাঃ) বললেন, ’আল্লাহর শপথ! অচিরেই আমি দেখলাম যে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ আবূ বকর (রাঃ) এর হৃদয়কে যুদ্ধের জন্য প্রশস্ত করেছেন। সুতরাং আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁর সিদ্ধান্তই যথার্থ।

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ العَرَبِ فَقَالَ عُمَرُ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولوُا لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ فَمَنْ قَالَهَا فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى الله فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ : وَاللهِ لأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ المَالِ وَاللهِ لَوْ مَنَعُونِي عِقَالاً كَانُوا يُؤدُّونَهُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ قَالَ عُمَرُ فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأيْتُ اللهَ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبي بَكْرٍ لِلقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الحَقُّ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة قال لما توفي رسول الله ﷺ وكان ابو بكر وكفر من كفر من العرب فقال عمر كيف تقاتل الناس وقد قال رسول الله ﷺ امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله فمن قالها فقد عصم مني ماله ونفسه الا بحقه وحسابه على الله فقال ابو بكر والله لاقاتلن من فرق بين الصلاة والزكاة فان الزكاة حق المال والله لو منعوني عقالا كانوا يودونه الى رسول الله ﷺ لقاتلتهم على منعه قال عمر فوالله ما هو الا ان رايت الله قد شرح صدر ابي بكر للقتال فعرفت انه الحق متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ বিনা চাওয়ায় এবং বিনা লোভ-লালসায় যে মাল পাওয়া যাবে, তা নেওয়া জায়েয

(১০২৪) সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার থেকে এবং তিনি উমার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে যখন কিছু দান করতেন, তখন আমি বলতাম, আমার চেয়ে যে বেশি অভাবী তাকে দিন। (একদা) তিনি বললেন, তুমি তা নিয়ে নাও। যখন তোমার কাছে এই মাল আসে, আর তোমার মনে লোভ না থাকে এবং তুমি তা যাচনাও না করে থাক, তাহলে তা গ্রহণ কর এবং তা নিজের মালের সাথে মিলিয়ে নাও। অতঃপর তোমার ইচ্ছা হলে তা খাও, নতুবা দান করে দাও। এ ছাড়া তোমার মনকে তাতে ফেলে রেখো না।

সালেম বিন আব্দুল্লাহ বিন উমার বলেন, এ কারণেই (আমার আব্বা) আব্দুল্লাহ কারো কাছে কিছু চাইতেন না এবং তাঁকে কেউ কিছু দিতে চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করতেন না। (বরং গ্রহণ করে নিতেন।)

عَن سَالِمِ بنِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ عَن أَبِيهِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ عَن عَمَرَ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يُعْطِيني العَطَاءَ فَأقُولُ: أَعطِهِ مَنْ هُوَ أفْقَرُ إِلَيْهِ مِنّي فَقَالَ خُذْهُ إِذَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا المَالِ شَيْءٌ وَأنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ وَلاَ سَائِلٍ فَخُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ فَإنْ شِئْتَ كُلْهُ، وَإنْ شِئْتَ تَصَدَّقْ بِهِ وَمَا لاَ فَلاَ تُتبِعهُ نَفْسَكَ قَالَ سَالِمٌ: فَكَانَ عَبدُ الله لاَ يَسألُ أحَداً شَيْئاً وَلاَ يَرُدُّ شَيْئاً أُعْطِيَه متفقٌ عَلَيْهِ

عن سالم بن عبد الله بن عمر عن ابيه عبد الله بن عمر عن عمر قال كان رسول الله ﷺ يعطيني العطاء فاقول اعطه من هو افقر اليه مني فقال خذه اذا جاءك من هذا المال شيء وانت غير مشرف ولا ساىل فخذه فتموله فان شىت كله وان شىت تصدق به وما لا فلا تتبعه نفسك قال سالم فكان عبد الله لا يسال احدا شيىا ولا يرد شيىا اعطيه متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ বিনা চাওয়ায় এবং বিনা লোভ-লালসায় যে মাল পাওয়া যাবে, তা নেওয়া জায়েয

(১০২৫) আয়েয বিন আমর কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যাকে যাচনা না করা ও তার মনে কোন লোভ ছাড়াই এই মাল থেকে কোন কিছু দেওয়া হয়, সে যেন তা নিয়ে তার রুজি বাড়িয়ে নেয়। অতঃপর সে যদি তার অমুখাপেক্ষী হয়, তাহলে সে যেন এমন লোককে এ মাল দিয়ে দেয়, যাকে সে নিজের চেয়েও বেশী অভাবী মনে করে।

عَنْ عَائِذِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ عَرَضَ لَهُ شَيْءٌ مِنْ هَذَا الرِّزْقِ مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ وَلَا إِشْرَافٍ فَلْيُوَسِّعْ بِهِ فِي رِزْقِهِ فَإِنْ كَانَ عَنْهُ غَنِيًّا فَلْيُوَجِّهْهُ إِلَى مَنْ هُوَ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنْهُ

عن عاىذ بن عمرو عن النبي ﷺ قال من عرض له شيء من هذا الرزق من غير مسالة ولا اشراف فليوسع به في رزقه فان كان عنه غنيا فليوجهه الى من هو احوج اليه منه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে