পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

মহান আল্লাহ বলেন,

وَمَا أنْفَقْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ

অর্থাৎ, তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন। (সূরা সাবা’ ৩৯ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ خَيْرٍ فَلأنْفُسِكُمْ وَمَا تُنْفِقُونَ إِلاَّ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأنْتُمْ لاَ تُظْلَمُونَ

অর্থাৎ, তোমরা যা কিছু ধন-সম্পদ দান কর, তা নিজেদের উপকারের জন্যই। আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে তোমরা দান করো না। আর তোমরা যা দান কর, তার পুরস্কার পূর্ণভাবে প্রদান করা হবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না। (সূরা বাক্বারাহ ২৭২ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেন,

وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ خَيْرٍ فإنَّ اللهَ بِهِ عَلِيمٌ

অর্থাৎ, আর তোমরা যা কিছু ধন-সম্পদ দান কর, আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত। (সূরা বাকারাহ ২৭৩)


(৯২৪) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেবলমাত্র দু’টি বিষয়ে ঈর্ষা করা যায় (১) ঐ ব্যক্তির প্রতি যাকে মহান আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, অতঃপর তাকে হক পথে অকাতরে দান করার ক্ষমতা দান করেছেন এবং (২) ঐ ব্যক্তির প্রতি যাকে মহান আল্লাহ হিকমত দান করেছেন, অতঃপর সে তার দ্বারা ফায়সালা করে ও তা শিক্ষা দেয়।

وعَن ابنِ مَسْعُوْدٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لا حَسَدَ إِلاَّ في اثْنَتَيْنِ : رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً فَسَلَّطَهُ عَلَى هَلَكَتِهِ في الحَقّ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ حِكْمَةً فَهُوَ يَقْضِي بِهَا ويُعَلِّمُهَا متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود عن النبي ﷺ قال لا حسد الا في اثنتين رجل اتاه الله مالا فسلطه على هلكته في الحق ورجل اتاه الله حكمة فهو يقضي بها ويعلمها متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯২৫) উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে প্রশ্ন করলেন, তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে আছে, যে নিজের সম্পদের চেয়ে তার ওয়ারেসের সম্পদকে বেশি প্রিয় মনে করে? তাঁরা জবাব দিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মাঝে এমন কোন ব্যক্তি কেউ নেই, যে তার নিজের সম্পদকে বেশি প্রিয় মনে করে না। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মানুষের নিজের সম্পদ তাই, যা সে আগে পাঠিয়েছে। আর এ ছাড়া যে মাল বাকী থাকবে, তা হল ওয়ারেসের মাল।

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺأيُّكُم مَالُ وَارِثِهِ أحبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِهِ ؟ قَالُوْا: يَا رَسُولَ اللهِ مَا مِنَّا أحَدٌ إِلاَّ مَالُهُ أحَبُّ إِلَيْهِ قَالَ فإنَّ مَالَهُ مَا قَدَّمَ وَمَالَ وَارِثِهِ مَا أخَّرَ رواه البخاري

وعنه قال قال رسول الله ﷺايكم مال وارثه احب اليه من ماله قالوا يا رسول الله ما منا احد الا ماله احب اليه قال فان ماله ما قدم ومال وارثه ما اخر رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯২৬) আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়! (যদি এক টুকরা খেজুরও না পাও, তবে উত্তম কথা বলে।)

عَن عَدِي بنِ حَاتِمٍ قَالَ : سَمِعْتُ النَّبيَّ ﷺ يَقُولُ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ مُتَّفَقٌ عليه

عن عدي بن حاتم قال سمعت النبي ﷺ يقول اتقوا النار ولو بشق تمرة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯২৭) উম্মে বুজাইদ (রাঃ) বলেন, একদা আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! অনেক সময় মিসকীন আমার দরজায় দাঁড়ায়, কিন্তু আমি তাকে দেওয়ার মত কোন জিনিস পাই না। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি একটি পোড়া খুর ছাড়া দেওয়ার মত আর কিছু না পাও, তাহলে তার হাতে তাই দিয়েই বিদায় দাও।

عَن أُمِّ بُجَيْدٍ قَالَتْ: قلت يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ إِنَّ الْمِسْكِينَ لَيَقُومُ عَلَى بَابِى فَمَا أَجِدُ لَهُ شَيْئًا أُعْطِيهِ إِيَّاهُ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنْ لَمْ تَجِدِى لَهُ شَيْئًا تُعْطِينَهُ إِيَّاهُ إِلاَّ ظِلْفًا مُحْرَقًا فَادْفَعِيهِ إِلَيْهِ فِى يَدِهِ

عن ام بجيد قالت قلت يا رسول الله صلى الله ان المسكين ليقوم على بابى فما اجد له شيىا اعطيه اياه فقال لها رسول الله ﷺ ان لم تجدى له شيىا تعطينه اياه الا ظلفا محرقا فادفعيه اليه فى يده

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু বুজাইদ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯২৮) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন কোন জিনিসই চাওয়া হয়নি, যা জবাব দিয়ে তিনি না বলেছেন।

وَعَن جَابِرٍ قَالَ : مَا سُئِلَ رَسُولُ اللهِ ﷺ شَيْئاً قَطُّ فَقَالَ : لاَ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن جابر قال ما سىل رسول الله ﷺ شيىا قط فقال لا متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯২৯) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতিদিন সকালে দু’জন ফিরিশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের বিনিময় দিন। আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস দিন।

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺمَا مِنْ يَوْمٍ يُصبِحُ العِبَادُ فِيهِ إِلاَّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ فَيَقُولُ أحَدُهُمَا: اَللّٰهُمَّ أعْطِ مُنْفِقاً خَلَفاً وَيَقُولُ الآخَرُ : اَللّٰهُمَّ أعْطِ مُمْسِكاً تَلَفاً متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺما من يوم يصبح العباد فيه الا ملكان ينزلان فيقول احدهما اللهم اعط منفقا خلفا ويقول الاخر اللهم اعط ممسكا تلفا متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩০) উক্ত রাবী কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি (অভাবীকে) দান কর, আল্লাহ তোমাকে দান করবেন।

وَعَنْهُ : أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ قَالَ الله تَعَالَى : أنفِق يَا ابْنَ آدَمَ يُنْفَقْ عَلَيْكَ متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه ان رسول الله ﷺ قال قال الله تعالى انفق يا ابن ادم ينفق عليك متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩১) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করল, ইসলামের কোন্ কাজটি উত্তম? তিনি জবাব দিলেন, তুমি অন্নদান করবে এবং পরিচিত ও অপরিচিত সবাইকে সালাম দেবে।

وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَجُلاً سَألَ رَسُولَ اللهِ ﷺ : أيُّ الإِسلاَمِ خَيْرٌ ؟ قَالَ تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما ان رجلا سال رسول الله ﷺ اي الاسلام خير قال تطعم الطعام وتقرا السلام على من عرفت ومن لم تعرف متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩২) উক্ত রাবী কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চল্লিশটি সৎকর্ম আছে, তার মধ্যে উচ্চতম হল, দুধ পানের জন্য (কোন দরিদ্রকে) ছাগল সাময়িকভাবে দান করা। যে কোন আমলকারী এর মধ্য হতে যে কোন একটি সৎকর্মের উপর প্রতিদানের আশা করে ও তার প্রতিশ্রুত পুরস্কারকে সত্য জেনে আমল করবে, তাকে আল্লাহ তার বিনিময়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

وَعَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺأرْبَعُونَ خَصْلَةً : أعْلاَهَا مَنيحَةُ العَنزِ مَا مِنْ عَامِلٍ يَعْمَلُ بِخَصْلَة مِنْهَا رَجَاءَ ثَوَابِهَا وتَصْدِيقَ مَوْعُودِهَا إلاَّ أدْخَلَهُ اللهُ بِهَا الجَنَّةَ رواه البخاري

وعنه قال قال رسول الله ﷺاربعون خصلة اعلاها منيحة العنز ما من عامل يعمل بخصلة منها رجاء ثوابها وتصديق موعودها الا ادخله الله بها الجنة رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩৩) আবূ উমামাহ সুদাই বিন আজলান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে আদম সন্তান! প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাল (আল্লাহর পথে) খরচ করা তোমার জন্য মঙ্গল এবং তা আটকে রাখা তোমার জন্য অমঙ্গল। আর প্রয়োজন মত মালে তুমি নিন্দিত হবে না। প্রথমে তাদেরকে দাও, যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে। আর উপরের (উপুড়) হাত নিচের (চিৎ) হাত অপেক্ষা উত্তম।

وَعَنْ أَبيْ أُمَامَة صُدّيِّ بنِ عَجْلانَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَا ابْنَ آدَمَ إنَّكَ أن تَبْذُلَ الفَضلَ خَيْرٌ لَكَ وَأن تُمْسِكَه شَرٌّ لَكَ وَلاَ تُلاَمُ عَلَى كَفَافٍ وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ وَاليَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى رواه مسلم

وعن ابي امامة صدي بن عجلان قال قال رسول الله ﷺ يا ابن ادم انك ان تبذل الفضل خير لك وان تمسكه شر لك ولا تلام على كفاف وابدا بمن تعول واليد العليا خير من اليد السفلى رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (পীড়িত) বিলাল (রাঃ)-কে দেখতে গেলেন। বিলাল তাঁর জন্য এক স্তূপ খেজুর বের করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে বিলাল! একি?! বিলাল বললেন, আমি আপনার জন্য ভরে রেখেছিলাম, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, তুমি কি ভয় কর না যে, তোমার জন্য জাহান্নামের আগুনে বাষ্প তৈরী করা হবে? হে বিলাল! তুমি খরচ করে যাও। আর আরশ-ওয়ালার নিকটে (মাল) কম হয়ে যাওয়ার ভয় করো না।

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ عَادَ بِلالا فَأَخْرَجَ لَهُ صُبْرًا مِنْ تَمْرٍ فَقَالَ مَا هَذَا يَا بِلالُ قَالَ : ادَّخَرْتُهُ لَكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ أَمَا تَخْشَ أَنْ يُجْعَلَ لَكَ بُخَارٌ فِي نَارِ جَهَنَّمَ أَنْفِقْ بِلالُ وَلا تَخْشَ مِنْ ذِي الْعَرْشِ إِقْلالا

عن ابي هريرة ان النبي ﷺ عاد بلالا فاخرج له صبرا من تمر فقال ما هذا يا بلال قال ادخرته لك يا رسول الله قال اما تخش ان يجعل لك بخار في نار جهنم انفق بلال ولا تخش من ذي العرش اقلالا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩৫) আনাস (রাঃ) বলেন, ইসলামের স্বার্থে (অর্থাৎ নও মুসলিমের পক্ষ থেকে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যা চাওয়া হত, তিনি তা-ই দিতেন। (একবার) তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এল। তিনি তাকে দুই পাহাড়ের মধ্যস্থলের সমস্ত বকরীগুলো দিয়ে দিলেন। অতঃপর সে তার সম্প্রদায়ের নিকট গিয়ে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর। কেননা, মুহাম্মাদ ঐ ব্যক্তির মত দান করেন, যার দরিদ্রতার ভয় নেই। যদিও কোন ব্যক্তি কেবলমাত্র দুনিয়া অর্জন করার জন্য ইসলাম গ্রহণ করত। কিন্তু কিছুদিন পরেই ইসলাম তার নিকট দুনিয়া এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু থেকে প্রিয় হয়ে যেত।

وَعَن أَنَسٍ قَالَ : مَا سُئِلَ رَسُولُ اللهِ ﷺ عَلَى الإسْلاَمِ شَيْئاً إِلاَّ أعْطَاهُ وَلَقَدْ جَاءَهُ رَجُلٌ فَأعْطَاهُ غَنَماً بَيْنَ جَبَلَيْنِ فَرجَعَ إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ : يَا قَوْمِ أسْلِمُوا فإِنَّ مُحَمَّداً يُعطِي عَطَاءَ مَن لاَ يَخْشَى الفَقْر وَإنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيُسْلِمُ مَا يُريدُ إِلاَّ الدُّنْيَا فَمَا يَلْبَثُ إِلاَّ يَسِيراً حَتَّى يَكُونَ الإسْلاَمُ أحَبَّ إِلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا رواه مسلم

وعن انس قال ما سىل رسول الله ﷺ على الاسلام شيىا الا اعطاه ولقد جاءه رجل فاعطاه غنما بين جبلين فرجع الى قومه فقال يا قوم اسلموا فان محمدا يعطي عطاء من لا يخشى الفقر وان كان الرجل ليسلم ما يريد الا الدنيا فما يلبث الا يسيرا حتى يكون الاسلام احب اليه من الدنيا وما عليها رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩৬) উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু মাল বন্টন করলেন। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! অন্য লোকেরা এদের চেয়ে এ মালের বেশি হকদার ছিল। তিনি বললেন, এরা আমাকে দু’টি কথার মধ্যে একটা না একটা গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। হয় তারা আমার নিকট অভদ্রতার সাথে চাইবে (আর আমাকে তা সহ্য করে তাদেরকে দিতে হবে) অথবা তারা আমাকে কৃপণ আখ্যায়িত করবে। অথচ, আমি কৃপণ নই।

وَعَن عُمَرَ قَالَ: قَسَمَ رَسُولُ اللهِ ﷺ قَسْماً فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ لَغَيْرُ هؤلاَءِ كَانُوا أحَقَّ بِهِ مِنْهُمْ؟ فَقَالَ إنَّهُمْ خَيَّرُونِي أنْ يَسأَلُوني بِالفُحْشِ أَوْ يُبَخِّلُونِي وَلَسْتُ بِبَاخِلٍ رواه مسلم

وعن عمر قال قسم رسول الله ﷺ قسما فقلت يا رسول الله لغير هولاء كانوا احق به منهم فقال انهم خيروني ان يسالوني بالفحش او يبخلوني ولست بباخل رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩৭) জুবাইর ইবনে মুত্বইম (রাঃ) বলেন, তিনি হুনাইনের যুদ্ধ থেকে ফিরার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আসছিলেন। (পথিমধ্যে) কতিপয় বেদুঈন তাঁর নিকট অনুনয়-বিনয় করে চাইতে আরম্ভ করল, এমন কি শেষ পর্যন্ত তারা তাঁকে বাধ্য করে একটি বাবলা গাছের কাছে নিয়ে গেল। যার ফলে তাঁর চাদর (গাছের কাঁটায়) আটকে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেমে গেলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে আমার চাদরখানি দাও। যদি আমার নিকট এসব (অসংখ্য) কাঁটা গাছের সমান উঁট থাকত, তাহলে আমি তা তোমাদের মধ্যে বন্টন করে দিতাম। অতঃপর তোমরা আমাকে কৃপণ, মিথ্যুক বা কাপুরুষ পেতে না।

وَعَن جُبَيرِ بنِ مُطعِمٍ قَالَ : بَيْنَمَا هُوَ يَسِيرُ مَعَ النَّبيِّ ﷺ مَقْفَلَهُ مِنْ حُنَيْن فَعَلِقَهُ الأعْرَابُ يَسْألُونَهُ حَتَّى اضْطَرُّوهُ إِلَى سَمُرَةٍ فَخَطِفَت رِدَاءَهُ فَوَقَفَ النَّبيُّ ﷺ فَقَالَ أعْطُونِي رِدَائي فَلَوْ كَانَ لِي عَدَدُ هذِهِ العِضَاهِ نَعَماً لَقَسَمْتُهُ بَينَكُمْ ثُمَّ لاَ تَجِدُونِي بَخِيلاً وَلاَ كَذّاباً وَلاَ جَبَاناً رواه البخاري

وعن جبير بن مطعم قال بينما هو يسير مع النبي ﷺ مقفله من حنين فعلقه الاعراب يسالونه حتى اضطروه الى سمرة فخطفت رداءه فوقف النبي ﷺ فقال اعطوني رداىي فلو كان لي عدد هذه العضاه نعما لقسمته بينكم ثم لا تجدوني بخيلا ولا كذابا ولا جبانا رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সাদকাহ করলে মাল কমে যায় না এবং ক্ষমা করার বিনিময়ে আল্লাহ তা’আলা (ক্ষমাকারীর) সম্মান বৃদ্ধি করেন। আর কেউ আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য বিনয়ী হলে, আল্লাহ আয্যা অজাল্ল তাকে উচ্চ করেন।

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللهُ عَبْداً بِعَفْوٍ إِلاَّ عِزّاً وَمَا تَواضَعَ أحَدٌ للهِ إِلاَّ رَفَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ رواه مسلم

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال ما نقصت صدقة من مال وما زاد الله عبدا بعفو الا عزا وما تواضع احد لله الا رفعه الله عز وجل رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৩৯) আবূ কাবশাহ আমর ইবনে সা’দ আনসারী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, আমি তিনটি জিনিসের ব্যাপারে শপথ করছি এবং তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি তা স্মরণ রাখোঃ (১) কোন বান্দার মাল সাদকাহ করলে কমে যায় না। (২) কোন বান্দার উপর কোন প্রকার অত্যাচার করা হলে এবং সে তার উপর ধৈর্য-ধারণ করলে আল্লাহ নিশ্চয় তার সম্মান বাড়িয়ে দেন, আর (৩) কোন বান্দা যাঞ্চার (ভিক্ষার) দুয়ার উদঘাটন করলে আল্লাহ তার জন্য দরিদ্রতার দরজা উদঘাটন করে দেন। অথবা এই রকম অন্য শব্দ তিনি ব্যবহার করলেন।

আর তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি তা স্মরণ রাখো। তিনি বললেন, দুনিয়ায় চার প্রকার লোক আছে; (১) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ ধন ও (ইসলামী) জ্ঞান দান করেছেন। অতঃপর সে তাতে আল্লাহকে ভয় করে এবং তার মাধ্যমে নিজ আত্মীয়তা বজায় রাখে। আর তাতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তা সে জানে। অতএব সে (আল্লাহর কাছে) সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্তরে অবস্থান করবে। (২) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ (ইসলামী) জ্ঞান দান করেছেন; কিন্তু মাল দান করেননি। সে নিয়তে সত্যনিষ্ঠ, সে বলে যদি আমার মাল থাকত, তাহলে আমি (পূর্বোক্ত) অমুকের মত কাজ করতাম। সুতরাং সে নিয়ত অনুসারে বিনিময় পাবে; এদের উভয়ের প্রতিদান সমান।

(৩) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ মাল দান করেছেন; কিন্তু (ইসলামী) জ্ঞান দান করেননি। সুতরাং সে না জেনে অবৈধরূপে নির্বিচারে মাল খরচ করে; সে তাতে আল্লাহকে ভয় করে না, তার মাধ্যমে নিজ আত্মীয়তা বজায় রাখে না এবং তাতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তাও সে জানে না। অতএব সে (আল্লাহর কাছে) সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরে অবস্থান করবে। আর (৪) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ ধন ও (ইসলামী) জ্ঞান কিছুই দান করেননি। কিন্তু সে বলে, যদি আমার নিকট মাল থাকত, তাহলে আমিও (পূর্বোক্ত) অমুকের মত কাজ করতাম। সুতরাং সে নিয়ত অনুসারে বিনিময় পাবে; এদের উভয়ের পাপ সমান।

وَعَنْ أَبيْ كَبشَةَ عَمرِو بنِ سَعدٍ الأنمَارِي أنّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً فَاحْفَظُوهُ : مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلَمَةً صَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللهُ عِزّاً وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسألَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا (وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً فَاحْفَظُوهُ) قَالَ إنَّمَا الدُّنْيَا لأرْبَعَةِ نَفَرٍ : عَبْدٍ رَزَقَهُ اللهُ مَالاً وَعِلماً فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ للهِ فِيهِ حَقَّاً فَهَذَا بِأَفضَلِ المَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقهُ اللهُ عِلْماً وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ : لَوْ أنَّ لِي مَالاً لَعَمِلتُ بِعَمَلِ فُلانٍ فَهُوَ بنيَّتِهِ فأجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ الله مَالاً وَلَمَ يَرْزُقْهُ عِلْماً فَهُوَ يَخبطُ في مَالِهِ بغَيرِ عِلْمٍ لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلاَ يَعْلَمُ للهِ فِيهِ حَقّاً فَهذَا بِأَخْبَثِ المَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللهُ مَالاً وَلاَ عِلْماً فَهُوَ يَقُولُ : لَوْ أنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح

وعن ابي كبشة عمرو بن سعد الانماري انه سمع رسول الله ﷺ يقول ثلاثة اقسم عليهن واحدثكم حديثا فاحفظوه ما نقص مال عبد من صدقة ولا ظلم عبد مظلمة صبر عليها الا زاده الله عزا ولا فتح عبد باب مسالة الا فتح الله عليه باب فقر او كلمة نحوها واحدثكم حديثا فاحفظوه قال انما الدنيا لاربعة نفر عبد رزقه الله مالا وعلما فهو يتقي فيه ربه ويصل فيه رحمه ويعلم لله فيه حقا فهذا بافضل المنازل وعبد رزقه الله علما ولم يرزقه مالا فهو صادق النية يقول لو ان لي مالا لعملت بعمل فلان فهو بنيته فاجرهما سواء وعبد رزقه الله مالا ولم يرزقه علما فهو يخبط في ماله بغير علم لا يتقي فيه ربه ولا يصل فيه رحمه ولا يعلم لله فيه حقا فهذا باخبث المنازل وعبد لم يرزقه الله مالا ولا علما فهو يقول لو ان لي مالا لعملت فيه بعمل فلان فهو بنيته فوزرهما سواء رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ কাবশাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৪০) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা তাঁরা একটি ছাগল জবাই করলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ছাগলটির কতটা (মাংস) অবশিষ্ট আছে? (আয়েশা) বললেন, কেবলমাত্র কাঁধের মাংস ছাড়া তার কিছুই বাকী নেই। তিনি বললেন, (বরং) কাঁধের মাংস ছাড়া সবটাই বাকী আছে।

* অর্থাৎ, আয়েশা (রাঃ) বললেন, তার সবটুকু মাংসই সাদকা করে দেওয়া হয়েছে এবং কেবলমাত্র কাঁধের মাংস বাকী রয়ে গেছে। উত্তরে তিনি বললেন, কাঁধের মাংস ছাড়া সবই আখেরাতে আমাদের জন্য বাকী আছে। (আসলে যা দান করা হয়, তাই বাকী থাকে।)

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أنَّهُمْ ذَبَحُوا شَاةً فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ مَا بَقِيَ مِنْهَا قَالَت: مَا بَقِيَ مِنْهَا إِلاَّ كَتِفُها قَالَ بَقِيَ كُلُّهَا غَيْرُ كَتِفِهَا رواه الترمذي وقال حديث صحيح

وعن عاىشة رضي الله عنها انهم ذبحوا شاة فقال النبي ﷺ ما بقي منها قالت ما بقي منها الا كتفها قال بقي كلها غير كتفها رواه الترمذي وقال حديث صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৪১) আসমা বিনতে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তুমি সম্পদ বেঁধে (জমা করে) রেখো না, এরূপ করলে তোমার নিকট (আসা থেকে) তা বেঁধে রাখা হবে। অন্য এক বর্ণনায় আছে, খরচ কর, গুনে গুনে রেখো না, এরূপ করলে আল্লাহও তোমাকে গুনে গুনে দেবেন। আর তুমি জমা করে রেখো না, এরূপ করলে আল্লাহও তোমার প্রতি (খরচ না করে) জমা করে রাখবেন।

وَعَن أَسمَاءَ بِنتِ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَت : قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ تُوكِي فَيُوكَى عَلَيْكِ وَفِي رِوَايَةٍ أنفقي أَوِ انْفَحِي أَوْ انْضَحِي وَلاَ تُحصِي فَيُحْصِي اللهُ عَلَيْكِ وَلاَ تُوعي فَيُوعي اللهُ عَلَيْكِ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن اسماء بنت ابي بكر الصديق رضي الله عنهما قالت قال لي رسول الله ﷺ لا توكي فيوكى عليك وفي رواية انفقي او انفحي او انضحي ولا تحصي فيحصي الله عليك ولا توعي فيوعي الله عليك متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৪২) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, কৃপণ ও দানশীলের দৃষ্টান্ত এমন দুই ব্যক্তির মত, যাদের পরিধানে দু’টি লোহার বর্ম রয়েছে। যা তাদের বুক থেকে টুটি পর্যন্ত বিস্তৃত। সুতরাং দানশীল যখন দান করে, তখনই সেই বর্ম তার সারা দেহে বিস্তৃত হয়ে যায়, এমনকি (তার ফলে) তা তার আঙ্গুলগুলোকেও ঢেকে ফেলে এবং তার পদচিহ্ন (পাপ বা ত্রুটি) মুছে দেয়। পক্ষান্তরে কৃপণ যখনই কিছু দান করার ইচ্ছা করে, তখনই বর্মের প্রতিটি আংটা যথাস্থানে এঁটে যায়। সে তা প্রশস্ত করতে চাইলেও তা প্র্রশস্ত হয় না।

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أنَّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ مَثَل البَخِيلِ وَالمُنْفِقِ كَمَثَلِ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا جُنَّتَانِ مِنْ حَدِيدٍ مِنْ ثُدِيِّهِمَا إِلَى تَرَاقِيهِمَا فَأَمَّا المُنْفِقُ فَلاَ يُنْفِقُ إِلاَّ سَبَغَتْ أَوْ وَفَرَتْ - عَلَى جِلْدِهِ حَتَّى تُخْفِيَ بَنَانَهُ وَتَعْفُو أثرَهُ وأمَّا البَخِيلُ فَلاَ يُرِيدُ أَنْ يُنْفِقَ شَيْئاً إِلاَّ لَزِقَتْ كُلُّ حَلْقَةٍ مَكَانَهَا فَهُوَ يُوسِّعُهَا فَلاَ تَتَّسِعُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة انه سمع رسول الله ﷺ يقول مثل البخيل والمنفق كمثل رجلين عليهما جنتان من حديد من ثديهما الى تراقيهما فاما المنفق فلا ينفق الا سبغت او وفرت على جلده حتى تخفي بنانه وتعفو اثره واما البخيل فلا يريد ان ينفق شيىا الا لزقت كل حلقة مكانها فهو يوسعها فلا تتسع متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা

পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

(৯৪৩) আবূ যার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ধনবানরা কিয়ামতের দিন সর্বনিম্ন মানের হবে। তবে সে নয়, যে তার মাল দান করবে এবং তার উপার্জন হবে পবিত্র।

عَنْ أَبيْ ذَرٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الأَكْثَرُونَ هُمُ الأَسْفَلُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ مَنْ قَالَ بِالْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا وَكَسَبَهُ مِنْ طَيِّبٍ

عن ابي ذر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الاكثرون هم الاسفلون يوم القيامة الا من قال بالمال هكذا وهكذا وكسبه من طيب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৭/ যাকাত ও সাদকা
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »