(৫৩৪) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’টি অভিসম্পাত আনয়নকারী কর্ম থেকে দূরে থাক। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, দু’টি অভিসম্পাত আনয়নকারী কর্ম কী কী? তিনি (উত্তরে) বললেন, যে ব্যক্তি মানুষের রাস্তায় এবং তাদের ছায়ার স্থলে পায়খানা করে (তার এ দু’টি কাজ অভিসম্পাতের কারণ)।

(৫৩৫) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তিনটি অভিশাপ আনয়নকারী কর্ম থেকে বাঁচ; আর তা হল, ঘাটে, মাঝ-রাস্তায় এবং ছায়ায় পায়খানা করা।

(৫৩৬) হুযাইফা বিন উসাইদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাস্তার ব্যাপারে মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয়, সে ব্যক্তির উপরে তাদের অভিশাপ অনিবার্য হয়ে যায়।

(৫৩৭) মাকহূল (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের দরজায় পেশাব করতে নিষেধ করেছেন।

(৫৩৮) আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পায়খানা করার সময়ে তোমরা কিবলাকে সম্মুখ অথবা পশ্চাৎ করে বসো না। বরং পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে মুখ অথবা পিঠ করে বসো।

[* এ নির্দেশ তাদের জন্য যাদের ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা) উত্তর বা দক্ষিণ দিকে।]

(৫৩৯) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মলত্যাগ করার সময় কেবলামুখে অথবা কেবলাকে পিছন করে না বসে, তার জন্য এর দরুন একটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয় এবং একটি গোনাহ মোচন করে দেওয়া হয়।

(৫৪০) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন, ঐ দুই কবরবাসীর আযাব হচ্ছে। অবশ্য ওদেরকে কোন বড় ধরনের অপরাধ (বা কোন কঠিন কাজের) জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না। (তারপর বললেন,) হ্যাঁ, অপরাধ তো বড়ই ছিল। ওদের একজন (লোকের) চুগলী করে বেড়াত। আর অপরজন পেশাবের ছিটা থেকে বাঁচত না।

(৫৪১) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা প্রস্রাব থেকে সাবধানতা অবলম্বন কর। কারণ, অধিকাংশ কবরের আযাব এই প্রস্রাব (থেকে সাবধান না হওয়ার) ফলেই হয়ে থাকে।

(৫৪২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অধিকাংশ কবরের আযাব প্রস্রাবের (ছিটা গায়ে লাগার) কারণে হবে।

(৫৪৩) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদ্ধ পানিতে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন।

(৫৪৪) যায়দ বিন আরকাম কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই প্রস্রাব-পায়খানার জায়গাসমূহে শয়তান জ্বিন উপস্থিত থাকে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে কেউ যখন সেখানে আসে, তখন সে যেন ’আঊযু বিল্লাহি মিনাল খবুসি অলখাবাইস’ বলে।

(৫৪৫) আয়েশা (রাঃ) বলেন, ’যে ব্যক্তি তোমাদেরকে বলবে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পেশাব করতেন, তার কথা বিশ্বাস করো না। যেহেতু তিনি বসে বসেই পেশাব করতেন।’ (তিরমিযী ১২, নাসাঈ ২৯, ইবনে মাজাহ ৩০৭)

(৫৪৬) আবূ কাতাদাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন প্রস্রাব করবে, তখন সে যেন নিজ লিঙ্গ ডান হাত দ্বারা না ধরে এবং ডান হাত দ্বারা ইস্তিনজা (প্রস্রাব-পায়খানা পরিষ্কার) না করে ...। প্রস্রাব করার সময় তোমাদের কেউ যেন নিজ লিঙ্গ ডান হাত দ্বারা অবশ্যই না ধরে এবং ডান হাত দ্বারা যেন পায়খানা পরিষ্কার না করে...।

(৫৪৭) আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডান হাত তাঁর পবিত্রতা ও খাবারের জন্য ছিল এবং তাঁর বাম হাত ছিল প্রস্রাব-পায়খানা ও ঘৃণিত জিনিসের জন্য।

(৫৪৮) সালমান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন তিনটির কম ঢেলা দ্বারা প্রস্রাব-পায়খানা পরিষ্কার না করে।

(৫৪৯) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন (প্রস্রাব-পায়খানার পর) ঢেলা ব্যবহার করে, তখন সে যেন বেজোড় ঢেলা ব্যবহার করে।

(৫৫০) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা গোবর বা হাড় দ্বারা প্রস্রাব-পায়খানা পরিষ্কার করো না, কারণ তা তোমাদের জ্বিন ভাইদের খাদ্য।