পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৫২-[৪] উম্মু কুর্‌য (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ তোমরা পাখিকে তার বাসায় অবস্থান করতে দাও। উম্মু কুর্য বলেন, আমি তাঁকে এমনও বলতে শুনেছি যে, ছেলের পক্ষ হতে দু’টি বকরী এবং মেয়ের পক্ষ হতে একটি বকরী দিতে হয় এবং সেগুলো ছাগ বা ছাগী হওয়ার মধ্যে কোন দোষ নেই। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]

আর নাসায়ী ’’ছেলের পক্ষ থেকে দু’টি ছাগল’’- এ শব্দাবলীতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিরমিযী হাদীসটি সহীহ বলেছেন।

عَن أُمِّ كُرْزٍ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَقِرُّوا الطَّيْرَ عَلَى مَكِنَاتِهَا» . قَالَتْ: وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «عَنِ الْغُلَامِ شَاتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ وَلَا يَضُرُّكُمْ ذُكْرَانًا كُنَّ أَوْ إِنَاثًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وللترمذي وَالنَّسَائِيّ من قَوْله: يَقُول: «عَن الْغُلَام» إِلَّا آخِره وَقَالَ التِّرْمِذِيّ: هَذَا صَحِيح

عن ام كرز قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول اقروا الطير على مكناتها قالت وسمعته يقول عن الغلام شاتان وعن الجارية شاة ولا يضركم ذكرانا كن او اناثا رواه ابو داود وللترمذي والنساىي من قوله يقول عن الغلام الا اخره وقال الترمذي هذا صحيح

ব্যাখ্যাঃ জাহিলী জামানার কোন লোক যখন কোন প্রয়োজনে বাহিরে যাওয়ার ইচ্ছা করত তখন পাখির কাছে যেয়ে তাকে তাড়িয়ে দিত, যদি পাখিটি ডানদিকে উড়ে যেত তাহলে ব্যক্তি তার প্রয়োজনে বেড়িয়ে পরতো, আর যদি পাখিটি বাম দিকে উড়াল দিত তাহলে সে বাড়ীতে ফিরে যেত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা নিষেধ করে বলেছেন, তোমরা তাকে তাড়িয়ে দিও না তাকে তার নিজ স্থানে থাকতে দাও। কারণ পাখি কোন ক্ষতি কিংবা উপকার কিছুই করতে পারে না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৩২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু কুর্‌য (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৫৩-[৫] হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শিশু ’আক্বীকার সাথে জড়িত থাকে। জন্মের সপ্তম দিন তার পক্ষ হতে পশু যাবাহ করবে এবং তার নাম রাখবে, তার মাথা মুড়াবে। (আহমাদ, তিরমিযী)[1]

তবে আবূ দাঊদ ও নাসায়ী’র রিওয়ায়াত مُرْتَهِنٌ ’’মুরতাহানুন’’-এর পরিবর্তে رَهِينَةٌ ’’রহীনাতুন’’ উল্লেখ রয়েছে। আর আহমাদ ও আবূ দাঊদ-এর রিওয়ায়াতে يُسَمّٰى ’’ইউসাম্মা-’’ (নাম রাখবে)-এর স্থলে يُدْمٰى ’’ইউদ্মা-’’ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আবূ দাঊদ বলেনঃ يُسَمّٰى ’’ইউসাম্মা-’’ শব্দটি অধিক সহীহ।

وَعَن الحسنِ عَن سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْغُلَامُ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُسَمَّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ لَكِنْ فِي رِوَايَتِهِمَا «رَهِينَةٌ» بدل «مرتهنٌ» وَفِي رِوَايَة لِأَحْمَد وَأبي دَاوُد: «وَيُدْمَى» مَكَانَ: «وَيُسَمَّى» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: «وَيُسَمَّى» أصحُّ

وعن الحسن عن سمرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الغلام مرتهن بعقيقته تذبح عنه يوم السابع ويسمى ويحلق راسه رواه احمد والترمذي وابو داود والنساىي لكن في روايتهما رهينة بدل مرتهن وفي رواية لاحمد وابي داود ويدمى مكان ويسمى وقال ابو داود ويسمى اصح

ব্যাখ্যাঃ উল্লেখিত হাদীসে এ মর্মে দলীল রয়েছে যে, নবজাতকের ‘আক্বীকাহ্ সপ্তম দিনেই করতে হবে, এর আগে কিংবা পরে কোনটাই শারী‘আতসম্মত নয়। তবে কোন কোন ‘উলামা বলেন যে, দ্বিতীয় সপ্তম কিংবা তৃতীয় সপ্তম দিনে দিলেও যথেষ্ট হবে। বায়হাক্বীতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুরয়দাহ্ কর্তৃক তার বাবা থেকে বর্ণিত রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আক্বীকাহ্ যাবাহ করতে হবে সপ্তম দিনে, ১৪ দিনে এবং ২১ দিনে। সুবুলুস্ সালামে তা উল্লেখ রয়েছে।

ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বিদ্বানগণ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বিদ্বানগণ বলেছেনঃ সপ্তম দিনে ‘আক্বীকাহ্ করাটা মুস্তাহাব। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ দিনে দেয়া যাবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৩৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৫৪-[৬] মুহাম্মাদ ইবনু ’আলী ইবনু হুসায়ন (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত যে, ’আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এর পক্ষ হতে একটি বকরী দ্বারা ’আক্বীকাহ্ করলেন এবং বললেনঃ হে ফাতিমা! তার মাথাটি মুড়িয়ে দাও আর চুলের ওজন পরিমাণ রূপা সাদাকা করো। (’আলী (রাঃ) বলেনঃ) আমরা তার চুলগুলো ওজন করলাম। তার ওজন এক দিরহাম বা তার চেয়ে কিছু কম ছিল। (তিরমিযী)[1]

আর তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং গরীব, এটার সনদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। কেননা মুহাম্মাদ ইবনু ’আলী ইবনু হুসায়ন (রহিমাহুল্লাহ) ’আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেননি।

وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ عَليّ بن أبي طَالب قَالَ: عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ وَقَالَ: «يَا فَاطِمَةُ احْلِقِي رَأْسَهُ وَتَصَدَّقِي بِزِنَةِ شَعْرِهِ فِضَّةً» فَوَزَنَّاهُ فَكَانَ وَزْنُهُ دِرْهَمًا أَوْ بَعْضَ دِرْهَمٍ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَإِسْنَادُهُ لَيْسَ بِمُتَّصِلٍ لِأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ

وعن محمد بن علي بن حسين عن علي بن ابي طالب قال عق رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الحسن بشاة وقال يا فاطمة احلقي راسه وتصدقي بزنة شعره فضة فوزناه فكان وزنه درهما او بعض درهم رواه الترمذي وقال هذا حديث حسن غريب واسناده ليس بمتصل لان محمد بن علي بن حسين لم يدرك علي بن ابي طالب

ব্যাখ্যাঃ হাফিয ‘আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) ‘‘আত্ তালযিস’’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ফাতিমা বিনতু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)-এর মাথার চুল ওজন করেছিলেন। আর যায়নাব ও উম্মু কুলসূম (রাঃ) ওজন অনুপাতে রৌপ্য মুদ্রা সাদাকা করেছিলেন।

আবূ রাফি' (রাঃ) হতে বর্ণিত, ফাতিমা (রাঃ) যখন হাসান (রাঃ)-কে জন্ম দিলেন তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার ছেলের মাথার চুল কি রক্ত দ্বারা মালিশ করে দিবো না? তিনি বললেন, না বরং তার চুল মুড়িয়ে ফেলো এবং উক্ত চুল ওজন করে সমপরিমাণ রৌপ্য মুদ্রা সাদাকা কর আহলুস্ সুফফাবাসীদের ওপর। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫১৯)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৫৫-[৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসায়ন-এর পক্ষ হতে এক একটি দুম্বা ’আক্বীকাহ্ করেছেন। (আবূ দাঊদ)[1]আর নাসায়ী বর্ণনা করেছেন, দু’ দু’টি বকরী।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنِ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ كَبْشًا كَبْشًا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَعِنْدَ النَّسَائِيِّ: كبشين كبشين

وعن ابن عباس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم عق عن الحسن والحسين كبشا كبشا رواه ابو داود وعند النساىي كبشين كبشين

ব্যাখ্যাঃ ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) এ হাদীস থেকে দলীল গ্রহণ করেছেন যে, ছেলে এবং মেয়ে শিশুর পক্ষ হতে একটি করে ছাগল দ্বারা ‘আক্বীকাহ্ করতে হবে। হাফিয (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ মতের স্বপক্ষে নির্ভরযোগ্য এমন কোন দলীল নেই। ‘ইকরামাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তাতে দু’টি করে দুম্বা বা ছাগলের কথা বলা হয়েছে। ‘আমর ইবনু শু‘আয়ব  হতে অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে।

একাধিক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, ছেলের জন্য দু’টি ছাগল দ্বারা ‘আক্বীকাহ্ দিতে হবে এ মর্মে পূর্ণ দলীল রয়েছে, তা আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় উল্লেখিত হাদীসে নেই। বরং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, আবূ দাঊদে বর্ণিত হাদীসটি নির্ধারিত সংখ্যার কম (অর্থাৎ দুই ছাগলের পরিবর্তে একটি ছাগল) দ্বারা ‘আক্বীকাহ্ দেয়া বৈধ। কারণ সংখ্যা ‘আক্বীকার জন্য শর্ত নয় অর্থাৎ ছেলের জন্য দু’টি ছাগল দিতেই হবে ব্যাপারটা সেটা নয় বরং তা মুস্তাহাব। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৩৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৫৬-[৮] ’আমর ইবনু শু’আয়ব (রহঃ) তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’আক্বীকাহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা ’উকূক (নাফরমানীকে) পছন্দ করেন না। যেন ’আক্বীকাহ্’ শব্দটি ব্যবহার করাকে তিনি পছন্দ করেননি। অতঃপর তিনি বললেনঃ যার কোন সন্তান জন্মায়, আর সে তার পক্ষ হতে কোন পশু যাবাহ করতে চায়, তবে সে যেন অবশ্যই ছেলের পক্ষ হতে দু’টি এবং মেয়ের পক্ষ হতে একটি বকরী যাবাহ করে। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْعَقِيقَةِ فَقَالَ: «لَا يُحِبُّ اللَّهُ الْعُقُوقَ» كَأَنَّهُ كَرِهَ الِاسْمَ وَقَالَ: «مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَنْسِكَ عَنْهُ فَلْيَنْسِكْ عَنِ الْغُلَامِ شَاتَيْنِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةً» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده قال سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن العقيقة فقال لا يحب الله العقوق كانه كره الاسم وقال من ولد له ولد فاحب ان ينسك عنه فلينسك عن الغلام شاتين وعن الجارية شاة رواه ابو داود والنساىي

ব্যাখ্যাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা ‘‘আল্লাহ عُقُوقٌ ‘উকূক’ বলাটা পছন্দ করেন না’’ এটা দ্বারা ‘আক্বীকার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘‘আক্বীকাহ্’’ নামের প্রতি অপছন্দনীয়তাই প্রমাণিত হয়। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথা (فَلْيَنْسِكْ) বা ‘সে যেন কুরবানী করে’ এ কথার দ্বারা বুঝা যায় যে, ‘আক্বীকাহ্ শব্দটি পরিবর্তন করে النَّسِيكَةِ ‘‘আন্ নাসিকাহ্’’ শব্দ ব্যবহার করা উত্তম।

অন্যদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বলা কথা, ছেলের জন্য একটি ‘আক্বীকাহ্ এটা ‘আক্বীকাহ্ শব্দ বলার বৈধতার উপর প্রমাণ করে।

ইমাম শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘আক্বীকাহ্ শব্দটি বাতিল নয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসাকারীর বলা বাক্য অনুযায়ী ‘আক্বীকাহ্ শব্দটির কারাহিয়াত বা অপছন্দনীয়তা ব্যক্ত করেছেন, সুতরাং উভয় হাদীসের মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৩৯)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৫৭-[৯] আবূ রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ)-কে যখন ফাতিমা (রাঃ) প্রসব করলেন, তখন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার কানে সালাতের আযানের ন্যায় আযান দিতে দেখেছি। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

وَعَن أبي رافعٍ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أذَّنَ فِي أُذُنِ الحسنِ ابنِ عليٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصَّلَاةِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَيْثُ حسن صَحِيح

وعن ابي رافع قال رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم اذن في اذن الحسن ابن علي حين ولدته فاطمة بالصلاة رواه الترمذي وابو داود وقال الترمذي هذا حيث حسن صحيح

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে এ মর্মে দলীল রয়েছে যে, জন্মের পর নবজাতক শিশুর কানে আযান দেয়া সুন্নাত।

তবে ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, নবজাতকের ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামাত দিতে হবে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫১৪)

কিন্তু ‘আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহিমাহুল্লাহ) ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামাত সংক্রান্ত বর্ণনাটিকে মাওযূ‘ বা জাল বলেছেন। (আয্ য‘ঈফাহ্ ৩২১)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাফি‘ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে