পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২৩-[২০] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘিয়ের মধ্যে ইঁদুর পড়ে গেলে, যদি তা জমাট হয়, তখন ইঁদুর ও তার আশেপাশের ঘি ফেলে দাও। আর যদি তা তরল হয়, তখন তার কাছেও যেও না। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وَقَعَتِ الْفَأْرَةُ فِي السَّمْنِ فَإِنْ كَانَ جَامِدًا فَأَلْقُوهَا وَمَا حَوْلَهَا وَإِنْ كَانَ مَائِعًا فَلَا تَقْرَبُوهُ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا وقعت الفارة في السمن فان كان جامدا فالقوها وما حولها وان كان ماىعا فلا تقربوه رواه احمد وابو داود

ব্যাখ্যাঃ ইবনুল ‘আরাবী (রহিমাহুল্লাহ) অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, এটা জমাটবাঁধা ঘি ছিল। তিনি বলেন, যদি এটা তরল জাতীয় হত, তবে শুধু পতিত ইঁদুরের চতুর পাশ থেকে ফেলে দিলে হবে না। কেননা জীবিত ইঁদুর তার ইচ্ছামত পাত্রের চতুর্দিকে ঘুরতে পারে কাজেই তখন তার চতুস্পার্শ্বে সমস্ত ঘি ফেলে দিতে হবে।

আলোচ্য হাদীস থেকে ইবনুল ‘আরাবী (রহিমাহুল্লাহ) দলীল গ্রহণ করেছেন যে, পানি জাতীয় খাদ্যে নাপাকি পড়লে তা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত নাপাক হবে না। ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) এ মতকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। মালিকী মাযহাবের ইবনু নাফি‘ (রহিমাহুল্লাহ)-এর মত এটাই। ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত রয়েছে...... ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে ঘিতে ইঁদুর পরে মারা যাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি বললেন, ইঁদুর ও তার চারপাশ থেকে ঘি ফেলে দিতে হবে। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, এর প্রভাব সমস্ত ঘিতে পড়েনি? তিনি বললেন, যদি ইঁদুর জীবিত থাকত তবে এটা হত, এটাকে যেখানে পেয়েছ সেখানেই মারা গেছে। এ হাদীসের রাবীগণ শক্তিশালী। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮৩৭)


হাদিসের মানঃ শা'জ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২৪-[২১] আর দারিমী এ হাদীসটি ইবনু ’আব্বাস হতে বর্ণনা করেছেন।

وَرَوَاهُ الدَّارمِيّ عَن ابْن عَبَّاس

ورواه الدارمي عن ابن عباس

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২৫-[২২] সাফীনাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হুবারা-এর মাংস খেয়েছি। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ سَفِينَةَ قَالَ: أَكَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَحْمَ حُبَارَى. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن سفينة قال اكلت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم لحم حبارى رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হুবারা বা বন্য পাখির গোশত হালাল। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮২৮)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাফীনাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২৬-[২৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাল্লালার মাংস খেতে এবং তার দুধ পান করতে নিষেধ করেছেন। (তিরমিযী)[1]

আর আবূ দাঊদ-এর রিওয়ায়াতের মধ্যে আছে, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জাল্লালায় সওয়ার হতেও নিষেধ করেছেন।

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْلِ الْجَلَّالَةِ وَأَلْبَانِهَا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ: قَالَ: نُهِيَ عَنْ ركوبِ الْجَلالَة

وعن ابن عمر قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن اكل الجلالة والبانها رواه الترمذي وفي رواية ابي داود قال نهي عن ركوب الجلالة

ব্যাখ্যাঃ (الْجَلَّالَةِ) ‘জাল্লালাহ্’ হলো যে প্রাণী নাপাক খায়, অর্থাৎ মল খায়। আর এটা গরু, ছাগল, উট, ছাড়াও হাঁস, মুরগীসহ অন্যান্য প্রাণী হতে পারে। মল খেক প্রাণীর গোশত ও দুধ খাওয়া যাবে কিনা- এ ব্যাপারে ‘উলামার মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। আসহাবুর্ রায়, ইমাম শাফি‘ঈ, আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহিমাহুল্লাহ) এটা মাকরূহ বলেছেন। তারা বলেছেন, এ ধরনের প্রাণী কয়েকদিন আটকে না রেখে খাওয়া বৈধ নয়। কয়েকদিন বেঁধে রাখার ফলে গোশত কোন নাপাকীর চিহ্ন না থাকলে তা খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। অবশ্য একটি হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, গরু ৪০ দিন আটকে রেখে নাপাকীর আলামত নষ্ট হয়ে গেলে তা খাওয়াতে কোন দোষ নেই। ইবনু ‘উমার (রাঃ) মুরগী তিনদিন আটকে রাখতেন, এরপর তা যাবাহ করতেন। ইসহক বলেনঃ এ ধরনের প্রাণীগুলো উত্তমরূপে গোসল করানোর পর তার গোশত খাওয়াতে কোন দোষের কিছু নেই। হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) মল খেক প্রাণীর গোশত খাওয়াতে কোন দোষ মনে করতেন না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭৮১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২৭-[২৪] ’আবদুর রহমান ইবনু শিবল (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দব্বের মাংস খেতে নিষেধ করেছেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن عبدِ الرَّحمنِ بنِ شِبْلٍ: أَنَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ أَكْلِ لَحْمِ الضَّبِّ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

وعن عبد الرحمن بن شبل ان النبي صلى الله عليه وسلم نهى عن اكل لحم الضب رواه ابو داود

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২৮-[২৫] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিড়াল খেতে এবং তার মূল্য ভোগ করতে নিষেধ করেছেন। (আবূ দাঊদ ও তিরমিযী)[1]

وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ أَكْلِ الْهِرَّةِ وَأَكْلِ ثَمَنِهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ

وعن جابر رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم نهى عن اكل الهرة واكل ثمنها رواه ابو داود والترمذي

ব্যাখ্যাঃ উল্লেখিত হাদীসে প্রমাণিত হয় যে, বিড়াল খাওয়া কিংবা কেনা বেচা করা উভয় হরাম। এ ক্ষেত্রে গৃহপালিত ও বন্য বিড়ালের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮০৩)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২৯-[২৬] উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধের দিন গৃহপালিত গাধা, খচ্চরের মাংস, প্রত্যেক (তীক্ষ্ণ) দাঁতওয়ালা হিংস্র জানোয়ার এবং পাঞ্জাবিশিষ্ট (শিকারি) পাখি খাওয়া হারাম করেছেন। (তিরমিযী, আর তিনি বলেছেনঃ এ হাদীসটি গরীব)[1]

وَعنهُ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي يَوْمَ خَيْبَرَ الْحُمُرَ الْإِنْسِيَّةَ وَلُحُومَ الْبِغَالِ وَكُلَّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَكُلَّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب

وعنه حرم رسول الله صلى الله عليه وسلم يعني يوم خيبر الحمر الانسية ولحوم البغال وكل ذي ناب من السباع وكل ذي مخلب من الطير رواه الترمذي وقال هذا حديث غريب

ব্যাখ্যাঃ এখানে এ মর্মে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে, খচ্চরের গোশত খাওয়া হারাম আর অধিকাংশ ‘উলামার মত এটাই এবং এটাই যথার্থ। তবে হাসান বাসরী-এর বিপরীত মত দিয়েছেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, ১৪৭৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩০-[২৭] খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া, খচ্চর এবং গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

وَعَن خالدِ بْنِ الْوَلِيدِ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الْخَيْلِ والبِغالِ والحميرِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وعن خالد بن الوليد ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن اكل لحوم الخيل والبغال والحمير رواه ابو داود والنساىي

ব্যাখ্যাঃ দারাকুত্বনীতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত রয়েছে, সেখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়ার গোশত খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইমাম ত্বহাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরূহ বলেছেন, তবে তার ছাত্রদ্বয় ইমাম ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রহিমাহুমাল্লাহ)-সহ অন্যান্যরা এটাকে জায়িয বলেছেন। তারা ঘোড়ার গোশত হালাল হওয়ার ব্যাপারে মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭৮৫)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩১-[২৮] উক্ত রাবী [খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বার যুদ্ধের দিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে শরীক ছিলাম। (এ সময়) ইয়াহূদীরা এসে এ অভিযোগ করল যে, (যুদ্ধরত) লোকেরা তাদের ফলা-ফলাদির প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করলেন: সাবধান! সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ এমন লোকেদের মাল-সম্পদ ন্যায্য অধিকার ছাড়া হালাল নয়। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْهُ قَالَ: غَزَوْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ فَأَتَتِ الْيَهُودُ فَشَكَوْا أَنَّ النَّاسَ قَدْ أَسْرَعُوا إِلَى خَضَائِرِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا لَا يَحِلُّ أَمْوَالُ المعاهِدينَ إِلاَّ بحقِّها» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعنه قال غزوت مع النبي صلى الله عليه وسلم يوم خيبر فاتت اليهود فشكوا ان الناس قد اسرعوا الى خضاىرهم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم الا لا يحل اموال المعاهدين الا بحقها رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ হাদীসটি মানসূখ। ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি মুনকার। ইমাম নাসায়ী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আলোচ্য হাদীসের পূর্ববর্তী হাদীস অর্থাৎ জাবির (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি অধিক বিশুদ্ধ। তাছাড়া এ হাদীস যদি সহীহও হয়ে থাকে তারপরও তা মানসুখ। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আর এ মর্মে দলীলও রয়েছে।

দারাকুত্বনী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটির সানাদ মুযত্বারাব। ‘আল্লামা ওয়াকিদী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এ হাদীসটি সহীহ নয়। কারণ খালিদ  মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম কবুল করেছেন। ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ খালিদ খায়বারে উপস্থিত ছিলেন না। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ খালিদ  খায়বারের উপস্থিত ছিলেন না, কারণ তিনি মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮০২)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩২-[২৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’ প্রকারের মৃত এবং দু’ প্রকারের রক্ত আমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। সে মৃত দু’টি হলো, মাছ ও টিড্ডি। আর দু’ প্রকারের রক্ত হলো যকৃৎ ও প্লীহা। (আহমাদ, ইবনু মাজাহ ও দারাকুত্বনী)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ وَدَمَانِ: الْمَيْتَتَانِ: الْحُوتُ وَالْجَرَادُ وَالدَّمَانِ: الْكَبِدُ وَالطِّحَالُ . رَوَاهُ أحمدُ وابنُ مَاجَه وَالدَّارَقُطْنِيّ

وعن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احلت لنا ميتتان ودمان الميتتان الحوت والجراد والدمان الكبد والطحال رواه احمد وابن ماجه والدارقطني

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩৩-[৩০] আবুয্ যুবায়র (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (জাবির) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মাছ সমুদ্র তীরের দিকে ফেলে দেয় এবং তা হতে (ভাটার সময়) পানি সরে যায়, তা তোমরা খাবে। আর যে মাছ পানিতে মরে ভেসে উঠে তা খেও না। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

ইমাম মুহয়িইউস্ সুন্নাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অধিকাংশের মতে এ হাদীসটি জাবির (রাঃ) হতে মাওকূফ হিসেবে বর্ণিত।

وَعَن أبي الزُّبيرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «مَا ألقاهُ البحرُ وجزر عَنْهُ الْمَاءُ فَكُلُوهُ وَمَا مَاتَ فِيهِ وَطَفَا فَلَا تَأْكُلُوهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
وَقَالَ مُحْيِي السُّنَّةِ: الْأَكْثَرُونَ عَلَى أَنَّهُ مَوْقُوفٌ على جَابر

وعن ابي الزبير عن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما القاه البحر وجزر عنه الماء فكلوه وما مات فيه وطفا فلا تاكلوه رواه ابو داود وابن ماجهوقال محيي السنة الاكثرون على انه موقوف على جابر

ব্যাখ্যাঃ যারা মরে পানির উপরে ভেসে ওঠা মাছ খাওয়া মাকরূহ মনে করেন তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মরার পর পানিতে ভেসে ওঠা মাছ খাওয়া বৈধ। আর এটা আবূ বকর ও আবূ আইয়ূব আল আনসারী -সহ একাধিক সহাবায়ে কিরামগণ থেকে প্রমাণিত।

‘আওনুল মা‘বূদ গ্রন্থকার বলেনঃ মরার পর পানিতে ভেসে ওঠা মাছ খাওয়া যে বৈধ এটা প্রমাণ করবে জাবির কর্তৃক বর্ণিত হাদীস, তিনি [জাবির (রাঃ)] বলেন, আমরা ‘‘জায়শুল খায়ত’’ নামক যুদ্ধে ছিলাম আর আমাদের নেতা ছিল আবূ ‘উবায়দাহ্ (রাঃ)। অতঃপর আমরা চরমভাবে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লাম। সে পরিস্থিতিতে সমুদ্র একটি মরা মাছ কিনারায় ফেলে দিলো। আমরা এমন মাছ ইতোপূর্বে কখনও দেখিনি, যাকে ‘আম্বার বলা হয়ে থাকে। আমরা এ মাছ থেকে অর্ধ মাস যাবৎ খেয়েছি, অতঃপর যখন আমরা মদীনায় ফিরলাম, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পূর্ণ ঘটনা ব্যক্ত করলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য যে রিজিক বের করে দিয়েছেন তা তোমরা খাও এবং যদি তোমাদের কাছে কিছু থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকেও খাওয়াও। অতঃপর তাদের কেউ উক্ত মাছ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দিল এবং তিনি তা খেয়ে নিলেন- (বুখারী ও মুসলিম)।

আলোচ্য হাদীস প্রমাণ করে যে, সমুদ্রের মরা মাছ চাই তা পানিতে ডুবে মারা যাক অথবা শিকারীর কারণে মারা যাক উভয় অবস্থাতেই তা খাওয়া বৈধ। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮১১)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুয্ যুবায়র (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩৪-[৩১] সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে টিড্ডি (খাওয়া) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেনঃ আল্লাহর এমন বহু সৃষ্টজীব জাতি আছে, যা আমি খাইও না এবং হারামও বলি না। (আবূ দাঊদ)[1]

ইমাম মুহয়িইউস্ সুন্নাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এ হাদীসটি দুর্বল।

وَعَن سلمَان قَالَ: سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْجَرَادِ فَقَالَ: «أَكْثَرُ جُنُودِ اللَّهِ لَا آكُلُهُ وَلَا أُحَرِّمُهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدُ وَقَالَ محيي السّنة: ضَعِيف

وعن سلمان قال سىل النبي صلى الله عليه وسلم عن الجراد فقال اكثر جنود الله لا اكله ولا احرمه رواه ابو داود وقال محيي السنة ضعيف

ব্যাখ্যাঃ উল্লেখিত হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম টিড্ডি খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন, যেমন তিনি দব্ব খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তারপরও হাদীসটি মুরসাল। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৩৮০৯)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩৫-[৩২] যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোরগকে গালি দিতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, তা সালাতের জন্য আযান দেয়। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَن زيدِ بن خالدٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ سَبِّ الدِّيكِ وَقَالَ: «إِنَّهُ يُؤَذِّنُ للصَّلاةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن زيد بن خالد قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن سب الديك وقال انه يوذن للصلاة رواه ابو داود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩৬-[৩৩] উক্ত রাবী [যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মোরগকে গালি দিয়ো না। কেননা তা সালাতের জন্য সজাগ (আহবান) করে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَسُبُّوا الدِّيكَ فَإِنَّهُ يُوقِظُ للصلاةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسبوا الديك فانه يوقظ للصلاة رواه ابو داود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩৭-[৩৪] ’আবদুর রহমান ইবনু আবূ লায়লা (রহিমাহুল্লাহ) আবূ লায়লা হতে বর্ণনা করেছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমাদের গৃহে সাপ দেখা যায়, তখন তাকে লক্ষ্য করে বলো, আমরা তোমাকে নূহ (আ.)এবং সুলায়মান ইবনু দাঊদ (আ.)-এর সাথে কৃত অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে বলছি, আমাদেরকে কষ্ট দেবে না। কিন্তু যদি এর পরেও ফিরে আসে, তখন তাকে মেরে ফেলব।
(তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: قَالَ أَبُو لَيْلَى: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا ظَهَرَتِ الْحَيَّةُ فِي الْمَسْكَنِ فَقُولُوا لَهَا: إِنَّا نَسْأَلُكِ بِعَهْدِ نُوحٍ وَبِعَهْدِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ أَنْ لَا تُؤْذِينَا فَإِنْ عَادَتْ فَاقْتُلُوهَا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ

وعن عبد الرحمن بن ابي ليلى قال قال ابو ليلى قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا ظهرت الحية في المسكن فقولوا لها انا نسالك بعهد نوح وبعهد سليمان بن داود ان لا توذينا فان عادت فاقتلوها رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যাঃ এখানে নূহ (আ.)-এর প্রতি অঙ্গীকার বলতে সম্ভবত যখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার তৈরি নৌকায় সকল জাতের প্রাণী উঠাচ্ছিলেন তখন সাপকে বলেছিলেন (لَا تُؤْذِينَا) অর্থাৎ আমাদের কোন কষ্ট দিও না। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৮৫)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩৮-[৩৫] ’ইকরামাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাপ মেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দিতেন। তিনি আরো বলেছেনঃ প্রতিশোধ গ্রহণের ভয়ে যে ব্যক্তি তাদেরকে ছেড়ে দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَن عكرمةَ عَن ابنِ عبَّاسٍ قَالَ: لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا رَفَعَ الْحَدِيثَ: أَنَّهُ كَانَ يَأْمُرُ بِقَتْلِ الْحَيَّاتِ وَقَالَ: «مَنْ تَرَكَهُنَّ خَشْيَةَ ثَائِرٍ فَلَيْسَ مِنَّا» . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السّنة

وعن عكرمة عن ابن عباس قال لا اعلمه الا رفع الحديث انه كان يامر بقتل الحيات وقال من تركهن خشية ثاىر فليس منا رواه في شرح السنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইকরিমা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩৯-[৩৬] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন হতে আমরা তাদের (সাপের) সঙ্গে লড়াই করা আরম্ভ করেছি, তখন হতে আমরা আর কখনও তাদের সাথে আপোষ করিনি। তখন যে ব্যক্তি ভয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়, সে আমাদের দলের অন্তরভুক্ত নয়। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا سَالَمْنَاهُمْ مُنْذُ حَارَبْنَاهُمْ وَمَنْ تَرَكَ شَيْئًا مِنْهُمْ خِيفَةً فَلَيْسَ منَّا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما سالمناهم منذ حاربناهم ومن ترك شيىا منهم خيفة فليس منا رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ অর্থাৎ যেদিন থেকে আমাদের ও তাদের (সাপের) মাঝে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। কারণ সাপ এবং মানুষের মাঝে শত্রুতা ও যুদ্ধ অনেক কঠিন। কেননা উভয়ই একে অপরকে হত্যা করার সুযোগ সন্ধানে থাকে। কেউ কেউ বলেন, আদম এবং সাপের মাঝের শত্রুতার ব্যাপারে যা বলা যায়, তা হলো ইবলীস জান্নাতে প্রবেশ করতে চাইলে জান্নাতের প্রহরী তাকে বাধা দেয়। সাপ তাকে মুখে বহন করে জান্নাতে প্রবেশ করায় এবং সে (ইবলীস) আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়াতে প্ররোচিত করে। অতঃপর তাদের দু’জনকেই জান্নাত থেকে বের করে দেয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫২৩৯)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৪০-[৩৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সমস্ত সাপ মেরে ফেলো। যে ব্যক্তি তাদের পক্ষ হতে প্রতিশোধ গ্রহণের আশঙ্কা রাখে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ كُلَّهُنَّ فَمَنْ خَافَ ثَأْرَهُنَّ فَلَيْسَ مِنِّي» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ

وعن ابن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقتلوا الحيات كلهن فمن خاف ثارهن فليس مني رواه ابو داود والنساىي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৪১-[৩৮] ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : হে আল্লাহর রসূল! আমরা যম্যম্ কূপটি পরিষ্কার করতে ইচ্ছা পোষণ করি। কিন্তু তার মধ্যে জিন্নান (ছোট ছোট সাপ) আছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেগুলোকে মেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দিলেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن العبَّاسِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نُرِيدُ أَنْ نَكْنُسَ زَمْزَمَ وَإِنَّ فِيهَا مِنْ هَذِهِ الْجِنَّانِ يَعْنِي الْحَيَّاتِ الصِّغَارِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِهِنَّ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن العباس رضي الله عنه قال يا رسول الله انا نريد ان نكنس زمزم وان فيها من هذه الجنان يعني الحيات الصغار فامر رسول الله صلى الله عليه وسلم بقتلهن رواه ابو داود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৪২-[৩৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রূপার চুড়ির ন্যায় সাদা বর্ণের ছোট ছোট সাপ ব্যতীত অন্যান্য সকল সাপ মেরে ফেলো। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: «اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ كُلَّهَا إِلَّا الْجَانَّ الْأَبْيَضَ الَّذِي كَأَنَّهُ قضيب فضَّة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابن مسعود رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اقتلوا الحيات كلها الا الجان الابيض الذي كانه قضيب فضة رواه ابو داود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) 20. Game and Animals Which May Be Slaughtered
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »