হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪১৩৩

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১৩৩-[৩০] আবুয্ যুবায়র (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (জাবির) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মাছ সমুদ্র তীরের দিকে ফেলে দেয় এবং তা হতে (ভাটার সময়) পানি সরে যায়, তা তোমরা খাবে। আর যে মাছ পানিতে মরে ভেসে উঠে তা খেও না। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

ইমাম মুহয়িইউস্ সুন্নাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অধিকাংশের মতে এ হাদীসটি জাবির (রাঃ) হতে মাওকূফ হিসেবে বর্ণিত।

وَعَن أبي الزُّبيرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «مَا ألقاهُ البحرُ وجزر عَنْهُ الْمَاءُ فَكُلُوهُ وَمَا مَاتَ فِيهِ وَطَفَا فَلَا تَأْكُلُوهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ مُحْيِي السُّنَّةِ: الْأَكْثَرُونَ عَلَى أَنَّهُ مَوْقُوفٌ على جَابر

ব্যাখ্যাঃ যারা মরে পানির উপরে ভেসে ওঠা মাছ খাওয়া মাকরূহ মনে করেন তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মরার পর পানিতে ভেসে ওঠা মাছ খাওয়া বৈধ। আর এটা আবূ বকর ও আবূ আইয়ূব আল আনসারী -সহ একাধিক সহাবায়ে কিরামগণ থেকে প্রমাণিত।

‘আওনুল মা‘বূদ গ্রন্থকার বলেনঃ মরার পর পানিতে ভেসে ওঠা মাছ খাওয়া যে বৈধ এটা প্রমাণ করবে জাবির কর্তৃক বর্ণিত হাদীস, তিনি [জাবির (রাঃ)] বলেন, আমরা ‘‘জায়শুল খায়ত’’ নামক যুদ্ধে ছিলাম আর আমাদের নেতা ছিল আবূ ‘উবায়দাহ্ (রাঃ)। অতঃপর আমরা চরমভাবে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লাম। সে পরিস্থিতিতে সমুদ্র একটি মরা মাছ কিনারায় ফেলে দিলো। আমরা এমন মাছ ইতোপূর্বে কখনও দেখিনি, যাকে ‘আম্বার বলা হয়ে থাকে। আমরা এ মাছ থেকে অর্ধ মাস যাবৎ খেয়েছি, অতঃপর যখন আমরা মদীনায় ফিরলাম, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পূর্ণ ঘটনা ব্যক্ত করলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য যে রিজিক বের করে দিয়েছেন তা তোমরা খাও এবং যদি তোমাদের কাছে কিছু থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকেও খাওয়াও। অতঃপর তাদের কেউ উক্ত মাছ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দিল এবং তিনি তা খেয়ে নিলেন- (বুখারী ও মুসলিম)।

আলোচ্য হাদীস প্রমাণ করে যে, সমুদ্রের মরা মাছ চাই তা পানিতে ডুবে মারা যাক অথবা শিকারীর কারণে মারা যাক উভয় অবস্থাতেই তা খাওয়া বৈধ। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮১১)