পরিচ্ছেদঃ ১৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জরায়ু মুক্তকরণ বা পবিত্রকরণ

৩৩৪০-[৪] ইমাম মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঋতুবতী বাঁদীদের সাথে এক ঋতু ’ইসতিবরা’ (পবিত্রকরণ ব্যবস্থা) করার নির্দেশ দিতেন। আর ঋতুবতী না হলে তিন মাসের অপেক্ষমাণ হতে এবং অপরের শস্যক্ষেত্রে নিজের পানি সিঞ্চন করতে নিষেধ করতেন।[1]

عَن مَالِكٍ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ بِاسْتِبْرَاءِ الْإِمَاءِ بِحَيْضَةٍ إِنْ كَانَتْ مِمَّنْ تَحِيضُ وَثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ إِنْ كَانَت مِمَّن تحيض وَينْهى عَن سقِِي مَاء الْغَيْر

عن مالك قال: بلغني أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يأمر باستبراء الإماء بحيضة إن كانت ممن تحيض وثلاثة أشهر إن كانت ممن تحيض وينهى عن سقي ماء الغير

ব্যাখ্যা: বর্ণিত হাদীসে হায়িয হয় না এমন দাসী নারীর ইসতিব্রার ক্ষেত্রে তিন মাসের কথা বলা হয়েছে। উপরে আমরা দেখেছি যে, হায়িয হয় না এমন দাসীর ক্ষেত্রে অধিকাংশের মতে এক মাস ইসতিব্রার জন্য যথেষ্ট। এক হায়িযের উপর ক্বিয়াস করে তারা এক মাসের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। জুমহূর ‘উলামার মতে হয়ত বর্ণিত হাদীসটি প্রশ্নবিদ্ধ। তাই তারা এ হাদীস বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য ক্বিয়াসের আশ্রয় নেন। যথাসাধ্য অনুসন্ধানের পরও হাদীসটি বিশুদ্ধতা সম্পর্কে জানতে পারিনি। তাই অধিকাংশ ‘আলিমের মতে হায়িয হয় না এমন নারীর ইসতিব্রা এক মাস হওয়াটাই অগ্রগণ্য বলে মনে হয়।


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জরায়ু মুক্তকরণ বা পবিত্রকরণ

৩৩৪১-[৫] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে বাঁদীর সাথে সহবাস করা হয় ঐ বাঁদী দান, বিক্রয় অথবা মুক্ত করা হলে এক ঋতুস্রাব দ্বারা তার ’ইসতিবরা’ (জরায়ুমুক্ত বা পবিত্রকরণ) করতে হবে। তবে কুমারী জরায়ুমুক্ত কিনা, তা নিস্প্রয়োজন। (উপরোক্ত হাদীস দু’টি রযীন বর্ণনা করেন)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ قَالَ: إِذَا وُهِبَتْ الْوَلِيدَةُ الَّتِي تُوطَأُ أَوْ بِيعَتْ أَوْ أُعْتِقَتْ فَلْتَسْتَبْرِئْ رَحِمَهَا بِحَيْضَةٍ وَلَا تُسْتَبْرَئُ الْعَذْرَاءُ. رَوَاهُمَا رزين

وعن ابن عمر: أنه قال: إذا وهبت الوليدة التي توطأ أو بيعت أو أعتقت فلتستبرئ رحمها بحيضة ولا تستبرئ العذراء. رواهما رزين

ব্যাখ্যা: (وَلَا تُسْتَبْرَئُ الْعَذْرَاءُ) কুমারী মেয়ে ইসতিবরা করবে না অর্থাৎ দাসী কুমারী হলে ইসতিবরা বা গর্ভাশয়ের পবিত্রতা দেখার জন্য অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। আমরা দেখছি যে, এটি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর মত। ইমাম নববীর বরাত দিয়ে মিরকাতুল মাফাতীহে লিখেন, ‘‘নববী বলেনঃ ইসতিব্রার কারণ হলো কারো মালিকানা অর্জিত হওয়া। অতএব যে ব্যক্তি কোনো দাসীর মালিক হলো, মীরাস, উপঢৌকন অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে; তবে দাসীর জন্য ইসতিবরা করা জরুরী। চাই মালিকানার পরিবর্তন এমন ব্যক্তির নিকট থেকে হোক যার বীর্য এই দাসীর গর্ভে থাকার সম্ভাবনা আছে বা নাই, যেমন কোনো বাচ্চা বা নারী এই দাসীর মালিক ছিল এবং চাই দাসী ছোট হোক বা বৃদ্ধা হোক, চাই কুমারী হোক বা কুমারী না হোক, চাই বিক্রেতা বিক্রির পূর্বেই ইসতিবরা করে নিক বা না নিক।’’ (মিরকাতুল মাফাতীহ)

ইমাম নববীর কথা গ্রহণযোগ্য। কেননা একটা মেয়ে কুমারী কিনা তা গোপন বিষয়। গোপন বিষয়ের উপর শারী‘আতের বাহ্যিক হুকুম লাগানো হয় না। যেমন কোনো মেয়ে বিয়ে হওয়ার পরও প্রকৃতভাবে কুমারী থাকতে পারে, তবুও তাকে ‘ইদ্দত পালন করতে হয়। কেননা গোপন বিষয়ের উপর শারী‘আতের বাহ্যিক আহকাম নির্ভর করে না। তাই যে কোনো দাসীর জন্য তার ইসতিব্রার বিধি মোতাবেক ইসতিবরা করা জরুরী।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে