পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

২৭৪৭-[২০] সুলায়মান ইবনু আবূ ’আব্দুল্লাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) কে দেখলাম, তিনি জনৈক ব্যক্তির জামা-কাপড় কেড়ে নিয়েছেন, (কারণ) সে মদীনার হারামে শিকার করছিল, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হারাম (শিকার নিষিদ্ধ) করে দিয়েছিলেন। অতঃপর লোকটির অভিভাবকগণ এসে তার সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করলে তিনি উত্তরে বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হারামকে হারাম (সম্মানিত) ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, যে ব্যক্তি এতে কাউকে শিকার করতে দেখে সে যেন তার জামা-কাপড় ও অস্ত্র কেড়ে নেয়। তাই আমি তোমাদেরকে এমন খাবার ফিরিয়ে দিতে পারি না, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে খেতে দিয়েছেন। তবে হ্যাঁ, তোমরা যদি চাও তাহলে আমি তোমাদেরকে এর মূল্য দিতে পারি। (আবূ দাঊদ)[1]

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: رَأَيْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ أَخَذَ رَجُلًا يَصِيدُ فِي حَرَمِ الْمَدِينَةِ الَّذِي حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَبَهُ ثِيَابَهُ فَجَاءَهُ مَوَالِيهِ فَكَلَّمُوهُ فِيهِ فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ هَذَا الْحَرَمَ وَقَالَ: «مَنْ أَخَذَ أَحَدًا يَصِيدُ فِيهِ فَلْيَسْلُبْهُ» . فَلَا أَرُدُّ عَلَيْكُمْ طُعْمَةً أَطْعَمَنِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَكِنْ إِنْ شِئْتُمْ دفعتُ إِليكم ثمنَه. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

عن سليمان بن أبي عبد الله قال: رأيت سعد بن أبي وقاص أخذ رجلا يصيد في حرم المدينة الذي حرم رسول الله صلى الله عليه وسلم فسلبه ثيابه فجاءه مواليه فكلموه فيه فقال: إن رسول الله صلى الله عليه وسلم حرم هذا الحرم وقال: «من أخذ أحدا يصيد فيه فليسلبه» . فلا أرد عليكم طعمة أطعمنيها رسول الله صلى الله عليه وسلم ولكن إن شئتم دفعت إليكم ثمنه. رواه أبو داود

ব্যাখ্যা: সা‘দ (রাঃ)-সহ কতিপয় সাহাবীর এ বিশ্বাস বা ই‘তিক্বদ ছিল যে, মদীনার নিষিদ্ধতা মক্কার নিষিদ্ধতার মতই, কিন্তু অন্যান্য সাহাবীগণ তা মনে করতেন না। মদীনার নিষিদ্ধ এলাকায় কেউ শিকার করলে তার পোষাক-পরিচ্ছদ ছিনিয়ে নিতে হবে।

হাদীসের প্রকাশ্য অর্থে দেখা যায় সকল কাপড়ই নিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ‘আল্লামা মাওয়ারদী (রহঃ) বলেন, তার ছতরে মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় রেখে দিতে হবে, ইমাম নাবাবী (রহঃ) এটাকে সহীহ বলেছেন এবং শাফি‘ঈদের এক জামা‘আত এটা পছন্দ করেছেন।

‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, সা‘দ (রাঃ)-এর কিসসা শুনে ইমাম শাফি‘ঈর মদীনাহ্ এলাকায় শিকার ও বৃক্ষ কর্তনকারীর সবকিছু ফেড়ে নেয়ার মতটি পুরাতন মত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك) 11. The Rites of Pilgrimage

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

২৭৪৮-[২১] সালিহ (রহঃ) [তাওয়ামার মুক্তদাস] সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) এর একটি মুক্ত দাস হতে বর্ণনা করেন, একদিন সা’দ মদীনার কিছু দাসকে মদীনার কোন গাছ কাটতে দেখে তাদের আসবাবপত্র কেড়ে নিলেন। আর (তাদের অভিভাবকগণ ফেরত চাইলে) তিনি তাদেরকে বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদীনার কোন গাছ-পালা কাটার নিষিদ্ধতার কথা শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মদীনার কোন গাছ কাটবে, তাকে যে ধরতে পারবে, সে তার জামা-কাপড় কেড়ে নেবে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ صَالِحٍ مَوْلًى لِسَعْدٍ أَنَّ سَعْدًا وَجَدَ عَبِيدًا مِنْ عَبِيدِ الْمَدِينَةِ يَقْطَعُونَ مِنْ شَجَرِ الْمَدِينَةِ فَأَخَذَ مَتَاعَهُمْ وَقَالَ يَعْنِي لِمَوَالِيهِمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ينْهَى أَنْ يُقْطَعَ مِنْ شَجَرِ الْمَدِينَةِ شَيْءٌ وَقَالَ: «مَنْ قَطَعَ مِنْهُ شَيْئًا فَلِمَنْ أَخَذَهُ سَلَبُهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن صالح مولى لسعد أن سعدا وجد عبيدا من عبيد المدينة يقطعون من شجر المدينة فأخذ متاعهم وقال يعني لمواليهم سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم ينهى أن يقطع من شجر المدينة شيء وقال: «من قطع منه شيئا فلمن أخذه سلبه» . رواه أبو داود

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের ব্যাখ্যা পূর্বের হাদীসের মতই।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك) 11. The Rites of Pilgrimage

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

২৭৪৯-[২২] যুবায়র ইবনুল ’আও্ওয়াম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ওয়াজ্জ-এর শিকার করা ও এর কাঁটাযুক্ত গাছ কেটে ফেলা আল্লাহর পক্ষ থেকে হারাম করা হারাম। [আবূ দাঊদ; মুহয়্যিইউস্ সুন্নাহ্ বলেন, وَجٌّ (ওয়াজ্জ) হলো ত্বয়িফের একটি অঞ্চল। ইমাম খাত্ত্বাবী (রহঃ) أَنَّهَا এর স্থলে إِنَّه বলেছেন।][1]

وَعَنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ صَيْدَ وَجٍّ وَعِضَاهَهُ حِرْمٌ مُحَرَّمٌ لِلَّهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ مُحْيِي السُّنَّةِ: «وَجٌّ» ذَكَرُوا أَنَّهَا مِنْ نَاحِيَةِ الطَّائِف وَقَالَ الْخطابِيّ: «إِنَّه» بدل «إِنَّهَا»

وعن الزبير قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إن صيد وج وعضاهه حرم محرم لله» . رواه أبو داود وقال محيي السنة: «وج» ذكروا أنها من ناحية الطائف وقال الخطابي: «إنه» بدل «إنها»

ব্যাখ্যা: (وَجٌّ) ‘‘ওয়াজ্জ’’ হলো ত্বয়িফ কিংবা ত্বয়িফের একটি এলাকা, কেউ বলেছেন ত্বয়িফের একটি দূর্গের নাম ‘‘ওয়াজ্জ’’। ইমাম শাফি‘ঈর একদল অনুসারী এখানকার শিকার ধরা ও বৃক্ষ কর্তন মাকরূহ মনে করেন। এদেরই আরেকদল মাকরূহ তো মনে করেনই সেটা মাকরূহে তাহরীমী। তারা বলেন, ইমাম শাফি‘ঈ এটাকে যে মাকরূহ মনে করতেন সেটা মাকরূহে তাহরীমীই।

ত্বয়িফের এ ‘‘ওয়াজ্জ’’ নামক স্থানের শিকার ও বৃক্ষ কর্তনের নিষিদ্ধতা কি স্থায়ী, না সাময়িক? এ প্রশ্নের উত্তরে ‘উলামাগণ বলেছেন, এ নিষিদ্ধতা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছিল। অতঃপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। জানা যায় একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সেনাগণ ত্বয়িফ অবরোধ করেছিল এ সময় অন্য সর্বসাধারণের জন্য শিকার ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছিল, যাতে সেনাদের শিকার ধরা সহজসাধ্য হয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك) 11. The Rites of Pilgrimage

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

২৭৫০-[২৩] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক মদীনায় মৃত্যবরণ করতে (সমর্থ হয়) পারে, সে যেন সেখানেই মৃত্যুবরণ করে; কেননা যে লোক মদীনায় মৃত্যুবরণ করবে আমি তার জন্যে (পরিপূর্ণরূপে) সুপারিশ করবো। (আহমাদ, তিরমিযী; তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ, তবে সানাদ হিসেবে গরীব)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَمُوت بالمدية فليمت لَهَا فَإِنِّي أَشْفَعُ لِمَنْ يَمُوتُ بِهَا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيح غَرِيب إِسْنَادًا

وعن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من استطاع أن يموت بالمدية فليمت لها فإني أشفع لمن يموت بها» . رواه أحمد والترمذي وقال: هذا حديث حسن صحيح غريب إسنادا

ব্যাখ্যা: মদীনায় দীর্ঘদিন অবস্থান করা বা স্থায়ীভাবে বসবাস করা যাতে সেখানেই মৃত্যু হয়। এটা মদীনার ওপর ভালবাসার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ‘‘আমি তার সুপারিশকারী হব’’। ইবনু মাজাহ্’র এক বর্ণনায় ‘‘আমি তার জন্য সাক্ষ্য হব’’, শব্দ এসেছে, এটা ঐ ব্যক্তির জন্য যে মদীনায় ইন্তিকাল করবেন।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এখানে মৃত্যুর জন্য হুকুম বা নির্দেশ করেছেন, অথচ সেটা কারো ক্ষমতা বা আয়ত্বের মধ্যে নয় বরং তা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর আয়ত্বে ও ক্ষমতায়। এ প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় হুকুম দ্বারা এখানে মৃত্যু গ্রহণ নয় বরং মদীনাকে আমৃত্যু গ্রহণ ও বরণ করে নিয়ে সেখানে বসবাস করা এবং কখনো মদীনাহ্ ত্যাগ না করা যাতে মদীনায়ই তার নিশ্চিত মৃত্যু হয়।

এটা আল্লাহ তা‘আলার ঐ কথার ন্যায় যাতে তিনি বলেছেনঃ ‘‘তোমরা মুসলিম না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করো না।’’ (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ৯৭)

এ হাদীসের দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় যে, মদীনায় বসবাস মক্কায় বসবাসের চেয়ে উত্তম। এজন্য আল্লাহর নাবী মক্কা বিজয়ের পরও জীবনের বাকী অংশটুকু মদীনায় কাটিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহর নাবী অপেক্ষাকৃত উত্তম বস্ত্তটিই গ্রহণ করেছেন। ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী আল কারী (রহঃ) বলেন, মদীনাহ্ মক্কার চেয়ে উত্তম মুত্বলাক্বভাবে, এ হাদীস তার সরীহ বা স্পষ্ট দলীল নয়। কেননা কখনো অপেক্ষাকৃত অনুত্তমের মধ্যেও এমন বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য থাকে যার কারণে সে উত্তমের উপর শ্রেষ্ঠত্ব রাখে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك) 11. The Rites of Pilgrimage

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

২৭৫১-[২৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (কিয়ামতের সন্নিকটবর্তী সময়ে) ইসলামী জনপদসমূহের মধ্যে সর্বশেষে ধ্বংস হবে মদীনাহ্। (তিরমিযী; তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান গরীব)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «آخِرُ قَرْيَةٍ مِنْ قُرَى الْإِسْلَامِ خَرَابًا الْمَدِينَةُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

وعن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «آخر قرية من قرى الإسلام خرابا المدينة» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث حسن غريب

ব্যাখ্যা: মদীনাহ্ শব্দটি সাধারণভাবে শহর অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এতে সকল শহরকেই মদীনাহ্ বলা যায়। তবে শব্দটি ‘আলিফ লাম’ যুক্ত করে, অর্থাৎ- الْمَدِينَةُ ব্যবহার হলে সেটি সাধারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদীনাকেই বুঝানো হয় না। এজন্য এ শহরের অধিবাসীকে মাদানী বলা হয় অন্য শহরের অধিবাসীকে মাদীনী বলা হয়। ক্বিয়ামাতের আগে সকল ইসলামী শহরের নির্মাণশৈলী, দালান-কোঠা সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। সর্বশেষে ধ্বংস হবে মদীনার দালান-কোঠা ও নির্মিত অট্টালিকাসমূহ। এটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তথায় অবস্থানের কারণে হবে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك) 11. The Rites of Pilgrimage

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

২৭৫২-[২৫] জারীর ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমার কাছে ওয়াহী নাযিল করেছিলেন যে, এ তিনটি জায়গায় যে কোনটিতে আপনি অবতরণ করবেন সেটিই হবে আপনার হিজরতের স্থল- মদীনাহ্, বাহরায়ন ও ক্বিন্নাস্‌রীন (দেশের নাম)। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَيَّ: أَيَّ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةِ نَزَلْتَ فَهِيَ دَارُ هِجْرَتِكَ الْمَدِينَةِ أَوِ الْبَحْرَيْنِ أَوْ قِنَّسْرِينَ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن جرير بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: إن الله أوحى إلي: أي هؤلاء الثلاثة نزلت فهي دار هجرتك المدينة أو البحرين أو قنسرين . رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিনটি শহরের যে কোন একটি শহরে হিজরত করা এবং সেখানে বসবাসের অধিকার দেয়া হয়েছিল। এর একটি হলো বাহরায়ন, আরেকটি মদীনাহ্ এবং অপরটি হলো কিন্নাসরীন। বাহরায়ন হলো বুসরাহ্ এবং ‘আম্মান-এর মধ্যবর্তী একটি স্থান, কেউ কেউ ইয়ামানের একটি প্রসিদ্ধ শহরকে বাহরায়ন বলে মতামত করেছেন। ‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ ওমান সাগরের একটি উপদ্বীপকে বাহরায়ন বলা হয়। কিন্নাসরীন হলো সিরিয়ার একটি শহর।

মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেন, এটি একটি মুশকিল বিষয়, কেননা এর চেয়ে অধিক সহীহ হাদীসে আছে- নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার হিজরতের যে স্থান দেখানো হয়েছে অথবা তাকে নির্দেশ করা হয়েছিল সেটি ছিল মদীনাহ্। এ সমস্যার সমাধানে মুহাদ্দিসগণ বলেন, প্রথমে তাকে তিনটি শহরের যে কোন একটি শহরকে গ্রহণের ইখতিয়ার দেয়া হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে মদীনাকেই নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় যা হলো শ্রেষ্ঠ স্থান।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك) 11. The Rites of Pilgrimage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে