২৭৫২

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

২৭৫২-[২৫] জারীর ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমার কাছে ওয়াহী নাযিল করেছিলেন যে, এ তিনটি জায়গায় যে কোনটিতে আপনি অবতরণ করবেন সেটিই হবে আপনার হিজরতের স্থল- মদীনাহ্, বাহরায়ন ও ক্বিন্নাস্‌রীন (দেশের নাম)। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَيَّ: أَيَّ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةِ نَزَلْتَ فَهِيَ دَارُ هِجْرَتِكَ الْمَدِينَةِ أَوِ الْبَحْرَيْنِ أَوْ قِنَّسْرِينَ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিনটি শহরের যে কোন একটি শহরে হিজরত করা এবং সেখানে বসবাসের অধিকার দেয়া হয়েছিল। এর একটি হলো বাহরায়ন, আরেকটি মদীনাহ্ এবং অপরটি হলো কিন্নাসরীন। বাহরায়ন হলো বুসরাহ্ এবং ‘আম্মান-এর মধ্যবর্তী একটি স্থান, কেউ কেউ ইয়ামানের একটি প্রসিদ্ধ শহরকে বাহরায়ন বলে মতামত করেছেন। ‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ ওমান সাগরের একটি উপদ্বীপকে বাহরায়ন বলা হয়। কিন্নাসরীন হলো সিরিয়ার একটি শহর।

মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেন, এটি একটি মুশকিল বিষয়, কেননা এর চেয়ে অধিক সহীহ হাদীসে আছে- নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার হিজরতের যে স্থান দেখানো হয়েছে অথবা তাকে নির্দেশ করা হয়েছিল সেটি ছিল মদীনাহ্। এ সমস্যার সমাধানে মুহাদ্দিসগণ বলেন, প্রথমে তাকে তিনটি শহরের যে কোন একটি শহরকে গ্রহণের ইখতিয়ার দেয়া হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে মদীনাকেই নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় যা হলো শ্রেষ্ঠ স্থান।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ