পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম

৫৩৫-[১০] আবুল জুহায়ম ইবনুল হারিস ইবনুস্ সিম্মাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামাল নামক কুয়ার দিক হতে আসলেন। তখন জনৈক লোক তাঁর সাথে দেখা করে তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের উত্তর দিলেন না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এগিয়ে একটি দেয়ালের কাছে এসে চেহারা ও হাত মাসাহ করলেন, তারপর লোকটির সালামের জবাব দিলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

عَن أبي الْجُهَيْم الْأنْصَارِيّ قَالَ: أَقْبَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ نَحْوِ بِئْرِ جَمَلٍ فَلَقِيَهُ رَجُلٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَقْبَلَ عَلَى الْجِدَارِ فَمَسَحَ بِوَجْهِهِ وَيَدَيْهِ ثُمَّ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَام

عن ابي الجهيم الانصاري قال اقبل النبي صلى الله عليه وسلم من نحو بىر جمل فلقيه رجل فسلم عليه فلم يرد عليه النبي صلى الله عليه وسلم حتى اقبل على الجدار فمسح بوجهه ويديه ثم رد عليه السلام

ব্যাখ্যা: বর্ণিত হাদীস হতে প্রমাণ হয় যে, পাথর দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়িয আছে, কেননা মদীনায় তখন দেওয়াল ছিল পাথরের তৈরি। আর সালামের উত্তর নেয়ার জন্য উযূ (ওযু/ওজু/অজু) না করেও তায়াম্মুম করা জায়িয আছে। এছাড়া জুনুবী অবস্থায় উযূ না করে সালামের জবাব না দেবার মাস্আলাহ্ এ হাদীস হতে পাওয়া যায়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম

৫৩৬-[১১] ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে অবস্থানকালে পানি না থাকার কারণে ফজরের (ফজরের) সালাতের জন্য মাটি দিয়ে মাসাহ করলেন। তারা তাদের হাতকে মাটিতে মারলেন, তারপর একবার তাদের চেহারা মাসাহ করলেন। আবার মাটিতে হাত মারলেন এবং সম্পূর্ণ হাত বাহুমূল পর্যন্ত এবং হাতের ভিতর দিকে বগল পর্যন্ত মাসাহ করলেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن عمار بن يَاسر: أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّهُمْ تَمَسَّحُوا وَهُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّعِيدِ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ الصَّعِيدَ ثُمَّ مَسَحُوا وُجُوههم مَسْحَةً وَاحِدَةً ثُمَّ عَادُوا فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ الصَّعِيدَ مَرَّةً أُخْرَى فَمَسَحُوا بِأَيْدِيهِمْ كُلِّهَا إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالْآبَاطِ مِنْ بُطُونِ أَيْدِيهِمْ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

وعن عمار بن ياسر انه كان يحدث انهم تمسحوا وهم مع رسول الله صلى الله عليه وسلم بالصعيد لصلاة الفجر فضربوا باكفهم الصعيد ثم مسحوا وجوههم مسحة واحدة ثم عادوا فضربوا باكفهم الصعيد مرة اخرى فمسحوا بايديهم كلها الى المناكب والاباط من بطون ايديهم رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: এ হাদীস প্রমাণ করে যে, তায়াম্মুমের ক্ষেত্রে দু’ বার হাত মাটিতে মারতে হবে। প্রথমবার চেহারার জন্য, দ্বিতীয়বার দু’ হাতের জন্য। আর দু’ হাত কনুই ও বগল সহকারে মাসাহ করবে। এ হাদীস সম্পর্কে শায়খুল হাদীস মুহাঃ ইসহাক দেহলভী বলেনঃ এটি ইসলামের শুরুতে সাহাবীগণের ক্বিয়াস ছিল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বয়ানের পূর্বে। অতঃপর যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বয়ান করলেন, তখন তারা তায়াম্মুমের নিয়ম বুঝতে পারলেন।

সাহাবী ‘আম্মার (রাঃ) বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তায়াম্মুম করেছি কাঁধ ও বগল পর্যন্ত। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে, চেহারা ও দু’ কব্জির কথা। আর দু’ হাদীসের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কারণ ‘আম্মার (রাঃ) উল্লেখ করেননি যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এরূপ আদেশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, আমরা এরূপ এরূপ করেছি। কিন্তু এটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ ছিল না। অতঃপর যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হয় তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আদেশ করেন চেহারা ও দু’ কব্জি মাসাহ করবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে