পরিচ্ছেদঃ ৮. (মুশরিকদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পূর্বে তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানানো

২৪৮১. সুলাইমান ইবনু বুরাইদা তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সেনাদলের উপর কাউকে আমীর (সেনাপতি) নিযুক্ত করে পাঠাতেন, তখন আমীরকে লক্ষ্য করে (একথা বলে) উপদেশ দিতেন: “যখন তুমি তোমার মুশরিক শত্রুদের সাক্ষাত পাবে তখন তাদেরকে তিনটি বিষয়ের মধ্য হতে যে কোন একটি গ্রহণ করার জন্য আহবান জানাবে। আর যে কোন একটি গ্রহণ করলে তুমি তাতে সায় দিবে এবং তাদের উপর আত্রমণ চালানো হতে বিরত থাকবে।

১. তুমি (প্রথমে) তাদেরকে ইসলামের দিকে আহবান জানাবে। যদি এতে সাড়া দেয়, তুমি মেনে নিবে আর তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হতে বিরত থাকবে। তারপর তাদেরকে নিজ দেশে ছেড়ে মুহাজিরদের দেশে অর্থাৎ মদীনায় হিজরত করার আহবান জানাবে। আর তাদেরকে অবহিত করে দিবে যে, হিজরত করার পর মুহাজিরগণ যে সকল সুযোগ-সুবিধাভোগ করেন, তারাও সে সকল সুবিধা ভোগ করবে। আর (জিহাদের) যে সকল দায়- দায়িত্ব মুহাজিরদের ওপর বর্তায়, তাদের ওপরও তা সমভাবে বর্তাবে। তারা যদি এ প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানায় (রাযী না হয় বা প্রত্যাখ্যান করে আর নিজ দেশেই অবস্থান করতে চায়) তবে তাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, তারা হবে বেদুঈন মুসলিমগণের মতো। তাদেরকে আল্লাহ আদেশ- নিষেধ ও বিধি- বিধান মেনে চলতে হবে যেরূপে মুসলিমগণ তা মেনে চলেন। ’ফাই’ ও গনিমতের (যুদ্ধলব্ধ সম্পদের) কোন ভাগ তারা পাবে না, যদি মুজাহিদগণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে।

২. আর যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তবে (তাদের নিরাপত্তার জন্য) জিয্ইয়া প্রদান করার প্রস্তাব দিবে। যদি তারা তা প্রদান করে, তবে তুমি মেনে নিবে এবং তাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না।

৩. যদি তারা (জিযইয়া দিতে) অস্বীকার করে তবে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। আর যখন তুমি কোন শত্রুর দূর্গ অবরোধ করবে আর তারা তাদের ব্যাপারে তোমার নিকট আল্লাহ্ ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র যিম্মাহ’ বা প্রতিশ্রুতি/অঙ্গীকার কামনা করে, তবে তাদেরকে আল্লাহ্ ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র যিম্মাহ’ বা আশ্রয় প্রদান করবে না। তবে তুমি তোমার, তোমার পিতার ও তোমার সঙ্গী-সাথীদের ’যিম্মা বা প্রতিশ্রুতি প্রদান করতে পার। কেননা, আল্লাহ্ ও রাসূলের যিম্মাহ’ বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার চেয়ে তোমাদের ও তোমাদের পিতা-পিতামহের যিম্মা বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা তোমাদের জন্য সহজতর। আর যদি তুমি কোন শত্রুর দূর্গ অবরোধ করো, আর তখন তারা আল্লাহর বিধান ভিত্তিতে দুর্গ হতে অবতরণের ইচ্ছা প্রকাশ করবে, তখন তুমি আ্লাহ্ অথবা রাসূলের নির্দেশের ভিত্তিতে তাদের অবতরণ করাবে না বরং তোমার নিজ সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে অবতরণ করাবে। কারণ, তোমার জানা নেই তাদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ তুমি ঠিকমত কার্যকর করলে কী-না। এরপরে তাদের ব্যাপারে তোমার ইচ্ছানুযায়ী ফয়সালা করবে।”[1]

بَاب فِي الدَّعْوَةِ إِلَى الْإِسْلَامِ قَبْلَ الْقِتَالِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَمَّرَ رَجُلًا عَلَى سَرِيَّةٍ أَوْصَاهُ إِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنْ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلَاثِ خِلَالٍ أَوْ خِصَالٍ فَأَيَّتُهُمْ مَا أَجَابُوكَ إِلَيْهَا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ فَإِنْ هُمْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَخْبِرْهُمْ إِنْ هُمْ فَعَلُوا أَنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَأَنَّ عَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يَجْرِي عَلَيْهِمْ حُكْمُ اللَّهِ الَّذِي يَجْرِي عَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَلَيْسَ لَهُمْ فِي الْفَيْءِ وَالْغَنِيمَةِ نَصِيبٌ إِلَّا أَنْ يُجَاهِدُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا أَنْ يَدْخُلُوا فِي الْإِسْلَامِ فَسَلْهُمْ إِعْطَاءَ الْجِزْيَةِ فَإِنْ فَعَلُوا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَقَاتِلْهُمْ وَإِنْ حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَإِنْ أَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّهِ فَلَا تَجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَلَا ذِمَّةَ نَبِيِّهِ وَلَكِنْ اجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ وَذِمَّةَ أَبِيكَ وَذِمَّةَ أَصْحَابِكَ فَإِنَّكُمْ إِنْ تُخْفِرُوا بِذِمَّتِكُمْ وَذِمَّةِ آبَائِكُمْ أَهْوَنُ عَلَيْكُمْ مِنْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ رَسُولِهِ وَإِنْ حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ اللَّهِ فَلَا تُنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ وَلَكِنْ أَنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِكَ فَإِنَّكَ لَا تَدْرِي أَتُصِيبُ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ أَمْ لَا ثُمَّ اقْضِ فِيهِمْ بِمَا شِئْتَ

اخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن علقمة بن مرثد عن سليمان بن بريدة عن ابيه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا امر رجلا على سرية اوصاه اذا لقيت عدوك من المشركين فادعهم الى احدى ثلاث خلال او خصال فايتهم ما اجابوك اليها فاقبل منهم وكف عنهم ثم ادعهم الى الاسلام فان هم اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ثم ادعهم الى التحول من دارهم الى دار المهاجرين واخبرهم ان هم فعلوا ان لهم ما للمهاجرين وان عليهم ما على المهاجرين فان هم ابوا فاخبرهم انهم يكونون كاعراب المسلمين يجري عليهم حكم الله الذي يجري على المومنين وليس لهم في الفيء والغنيمة نصيب الا ان يجاهدوا مع المسلمين فان هم ابوا ان يدخلوا في الاسلام فسلهم اعطاء الجزية فان فعلوا فاقبل منهم وكف عنهم فان هم ابوا فاستعن بالله وقاتلهم وان حاصرت اهل حصن فان ارادوك ان تجعل لهم ذمة الله وذمة نبيه فلا تجعل لهم ذمة الله ولا ذمة نبيه ولكن اجعل لهم ذمتك وذمة ابيك وذمة اصحابك فانكم ان تخفروا بذمتكم وذمة اباىكم اهون عليكم من ان تخفروا ذمة الله وذمة رسوله وان حاصرت حصنا فارادوك ان ينزلوا على حكم الله فلا تنزلهم على حكم الله ولكن انزلهم على حكمك فانك لا تدري اتصيب حكم الله فيهم ام لا ثم اقض فيهم بما شىت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)

পরিচ্ছেদঃ ৮. (মুশরিকদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পূর্বে তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানানো

২৪৮২. নু’মান ইবনু মুক্বাররিন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

بَاب فِي الدَّعْوَةِ إِلَى الْإِسْلَامِ قَبْلَ الْقِتَالِ

قَالَ عَلْقَمَةُ فَحَدَّثْتُ بِهِ مُقَاتِلَ بْنَ حَيَّانَ فَقَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ هَيْصَمٍ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

قال علقمة فحدثت به مقاتل بن حيان فقال حدثني مسلم بن هيصم عن النعمان بن مقرن عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)

পরিচ্ছেদঃ ৮. (মুশরিকদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পূর্বে তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানানো

২৪৮৩. ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ক্বওমকে (ইসলামের দিকে) দাওয়াত না দেওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করেননি।”[1]

بَاب فِي الدَّعْوَةِ إِلَى الْإِسْلَامِ قَبْلَ الْقِتَالِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَا قَاتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمًا حَتَّى دَعَاهُمْ قَالَ عَبْد اللَّهِ سُفْيَانُ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ يَعْنِي هَذَا الْحَدِيثَ

اخبرنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن ابن ابي نجيح عن ابيه عن ابن عباس قال ما قاتل رسول الله صلى الله عليه وسلم قوما حتى دعاهم قال عبد الله سفيان لم يسمع من ابن ابي نجيح يعني هذا الحديث

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে