পরিচ্ছেদঃ ৩. কুরবানীতে যা জায়েয নয়

১৯৮৭. বারাআ ইবনু আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ধরণের পশু কোরবানী করা পরিহারযোগ্য সেই সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাস করা হলো। তিনি বললেন, (চার প্রকারের পশু কোরবানী করলে তা যথেষ্ট হবে না:) “এক চোখ অন্ধ পশু যার অন্ধত্ব সুস্পষ্ট, খোঁড়া পশু যার পঙ্গুত্ব সুস্পষ্ট, রুগ্ন পশু যার রোগ সুস্পষ্ট, এবং কৃশকায় দুর্বল পশু, যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে।”[1]

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ فَيْرُوزَ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُتَّقَى مِنْ الضَّحَايَا قَالَ الْعَوْرَاءُ الْبَيِّنُ عَوَرُهَا وَالْعَرْجَاءُ الْبَيِّنُ ظَلْعُهَا وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لَا تُنْقِي

اخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن عمرو بن الحارث عن عبيد بن فيروز عن البراء بن عازب قال سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم ما يتقى من الضحايا قال العوراء البين عورها والعرجاء البين ظلعها والمريضة البين مرضها والعجفاء التي لا تنقي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)

পরিচ্ছেদঃ ৩. কুরবানীতে যা জায়েয নয়

১৯৮৮. উবাইদ ইবনে ফাইরূয রাহি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ধরনের পশু কোরবানী করতে নিষেধ করেছেন, আমি বারাআ ইবনু আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে সেই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেন: “চার প্রকারের পশু কোরবানী করলে তা যথেষ্ট হবে না। অন্ধ পশু যার অন্ধত্ব সুস্পষ্ট, খোঁড়া পশু যার পঙ্গুত্ব সুস্পষ্ট, রুগ্ন পশু যার রোগ সুস্পষ্ট এবং কৃশকায় দুর্বল পশু যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে।” উবাইদ রাহি. বলেন, আমি দাঁত ভাঙা, ত্রুটিযুক্ত কানবিশিষ্ট ও শিং ভাঙা পশু কোরবানী করা অপছন্দ করি। বারাআ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ধরনের পশু তুমি নিজে অপছন্দ করো তা পরিহার করো, কিন্তু অন্যদের জন্য তা হারাম করো না।[1]

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ فَيْرُوزَ قَالَ سَأَلْتُ الْبَرَاءَ عَمَّا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْأَضَاحِيِّ فَقَالَ أَرْبَعٌ لَا يُجْزِئْنَ الْعَوْرَاءُ الْبَيِّنُ عَوَرُهَا وَالْعَرْجَاءُ الْبَيِّنُ ظَلْعُهَا وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا وَالْكَسِيرُ الَّتِي لَا تُنْقِي قَالَ قُلْتُ لِلْبَرَاءِ فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يَكُونَ فِي السِّنِّ نَقْصٌ وَفِي الْأُذُنِ نَقْصٌ وَفِي الْقَرْنِ نَقْصٌ قَالَ فَمَا كَرِهْتَ فَدَعْهُ وَلَا تُحَرِّمْهُ عَلَى أَحَدٍ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن سليمان بن عبد الرحمن عن عبيد بن فيروز قال سالت البراء عما نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم من الاضاحي فقال اربع لا يجزىن العوراء البين عورها والعرجاء البين ظلعها والمريضة البين مرضها والكسير التي لا تنقي قال قلت للبراء فاني اكره ان يكون في السن نقص وفي الاذن نقص وفي القرن نقص قال فما كرهت فدعه ولا تحرمه على احد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)

পরিচ্ছেদঃ ৩. কুরবানীতে যা জায়েয নয়

১৯৮৯. হুজাইয়া ইবনু আদী রাহি. বলেন, এক ব্যক্তি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে প্রশ্ন করেন। লোকটি বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! গরুর (ব্যাপারে আপনার মত কি)? তিনি বলেন, (গরু) সাতজনের পক্ষ হতে (কুরবানী করা যায়)। আমি বললাম, আর শিং (ভাঙা হলে)? আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। আমি বললাম, আর খোঁড়া বা খঞ্জ (পশু হলে)? তিনি বললেন, যদি সেটি কুরবানীর স্থানে পৌঁছে যায় (তবে কুরবানী করে দেবে)। এরপর তিনি (’আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে (কোরবানীর পশুর) চোখ ও কান উত্তমরূপে পরীক্ষা করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।[1]

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ قَالَ سَمِعْتُ حُجَيَّةَ بْنَ عَدِيٍّ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا وَسَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ الْبَقَرَةُ فَقَالَ عَنْ سَبْعَةٍ قُلْتُ الْقَرْنُ قَالَ لَا يَضُرُّكَ قَالَ قُلْتُ الْعَرَجُ قَالَ إِذَا بَلَغَتْ الْمَنْسَكَ ثُمَّ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَ وَالْأُذُنَ

اخبرنا ابو الوليد حدثنا شعبة عن سلمة بن كهيل قال سمعت حجية بن عدي قال سمعت عليا وساله رجل فقال يا امير المومنين البقرة فقال عن سبعة قلت القرن قال لا يضرك قال قلت العرج قال اذا بلغت المنسك ثم قال امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان نستشرف العين والاذن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)

পরিচ্ছেদঃ ৩. কুরবানীতে যা জায়েয নয়

১৯৯০. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদেশ করেছেন, আমরা যেন (কুরবানী পশুর) চোখ ও কান ভালরূপে দেখে নেই। আর আমরা যেন এমন পশু কুরবানী না করি যা কানা, যার কানের একদিক কাটা, যার কানের গোড়া কাটা এবং ফাঁড়া কান ওয়ালা এবং কান উৎপাটিত। আর ’মুকাবালা’ হল যে পশুর (সামনের দিকে) কানের এক পাশ কাটা, ’মুদাবারা’ হল যে পশুর (পিছনের দিকে) কানের এক পাশ কাটা, ’খারকা’ হল যে পশুর কানে ছিদ্র আছে, ’শারকা’ হল যে পশুর লম্বালম্বিভাবে কান ছেঁড়া।[1]

بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْأَضَاحِيِّ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ شُرَيْحِ بْنِ النُّعْمَانِ الصَّائِدِيِّ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَ وَالْأُذُنَ وَأَنْ لَا نُضَحِّيَ بِمُقَابَلَةٍ وَلَا مُدَابَرَةٍ وَلَا خَرْقَاءَ وَلَا شَرْقَاءَ فَالْمُقَابَلَةُ مَا قُطِعَ طَرَفُ أُذُنِهَا وَالْمُدَابَرَةُ مَا قُطِعَ مِنْ جَانِبِ الْأُذُنِ وَالْخَرْقَاءُ الْمَثْقُوبَةُ وَالشَّرْقَاءُ الْمَشْقُوقَةُ

اخبرنا عبيد الله بن موسى عن اسراىيل عن ابي اسحق عن شريح بن النعمان الصاىدي عن علي رضي الله عنه قال امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان نستشرف العين والاذن وان لا نضحي بمقابلة ولا مدابرة ولا خرقاء ولا شرقاء فالمقابلة ما قطع طرف اذنها والمدابرة ما قطع من جانب الاذن والخرقاء المثقوبة والشرقاء المشقوقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
৬. কুরবানী অধ্যায় (كتاب الأضاحي)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে