পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২৪/১. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ

(23) سُوْرَةُ الْمُؤْمِنُوْنَ

’সূরাহ (২৩) : মু’মিনীন

قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ (سَبْعَ طَرَآئِقَ) سَبْعَ سَمَوَاتٍ (لَهَا سَابِقُوْنَ) سَبَقَتْ لَهُمْ السَّعَادَةُ (قُلُوْبُهُمْ وَجِلَةٌ) خَائِفِيْنَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ) بَعِيْدٌ بَعِيْدٌ (فَاسْأَلْ الْعَادِّيْنَ) قال : الْمَلَائِكَةَ.(تَنْكُصُوْنَ) : تَسْتَأخِرُوْنَ]. (لَنَاكِبُوْنَ) لَعَادِلُوْنَ (كَالِحُوْنَ) عَابِسُوْنَ وَقَالَ غَيْرُهُ (مِنْسُلَالَةٍ) الْوَلَدُ وَالنُّطْفَةُ السُّلَالَةُ (وَالْجِنَّةُ)وَالْجُنُوْنُ وَاحِدٌ (وَالْغُثَاءُ) الزَّبَدُ وَمَا ارْتَفَعَ عَنِ الْمَاءِ وَمَا لَا يُنْتَفَعُ بِهِ يَجْأَرُوْنَ يَرْفَعُوْنَ أَصْوَاتَهُمْ كَمَا تَجْأَرُ الْبَقَرَةُ عَلَى أَعْقَابِكُمْ رَجَعَ عَلَى عَقِبَيْهِ سَامِرًا مِنْ السَّمَرِ وَالْجَمِيْعُ السُّمَّارُ وَالسَّامِرُ هَا هُنَا فِيْ مَوْضِعِ الْجَمْعِ تُسْحَرُوْنَ تَعْمَوْنَ مِنْ السِّحْرِ.

ইবনু ’উয়াইনাহ বলেন, سَبْعَ طَرَآئِقَ সাত আকাশ। لَهَا سَابِقُوْنَ সৌভাগ্য তাদের ওপর অগ্রগামী। قُلُوْبُهُمْ وَجِلَةٌ তাদের অন্তর সব সময় ভীত ও সন্ত্রস্ত। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ বহুদূর, বহুদূর। فَاسْأَلْ الْعَادِّيْنَ মালায়িকাদের জিজ্ঞেস করুন। لَنَاكِبُوْنَ তারা (সরল পথ থেকে) বিচ্যুত। كَالِحُوْنَ বীভৎস হয়ে যাবে। مِنْ سُلَالَةٍ সন্তান। نُّطْفَةُ নির্গত বীর্য। وَالْجِنَّةُ وَالْجُنُوْنُ এ দু’টি একই অর্থে ব্যবহৃত (অর্থাৎ পাগল)। وَالْغُثَآءُ অর্থ ফেনা, যা পানির ওপরে ভাসে এবং তা কোন উপকারে আসে না। يَجْأَرُوْنَ তারা গাভীর ন্যায় তাদের আওয়াজ উঁচু করে, عَلٓٓى أَعْقَابِكُمْপশ্চাতগমন করা, سَامِرًاশব্দটির উৎপত্তি হচ্ছে السَّمَرِ মাসদার হতে, السُّمَّارُ وَالسَّامِرُশব্দগুলো এখানে বহুবচন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, تُسْحَرُوْنَ তোমরা ব্যাপকভাবে মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছ।

(24) سُوْرَةُ النُّوْرِ

সূরাহ (২৪) : নূর

(مِنْ خِلَالِهِ) مِنْ بَيْنِ أَضْعَافِ السَّحَابِ (سَنَا بَرْقِهٰ) وَهُوَ الضِّيَاءُ (مُذْعِنِيْنَ) يُقَالُ لِلْمُسْتَخْذِيْ مُذْعِنٌ (أَشْتَاتًا) وَشَتَّى وَشَتَاتٌ وَشَتٌّ وَاحِدٌ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (سُوْرَةٌ أَنْزَلْنَاهَا) بَيَّنَّاهَا وَقَالَ غَيْرُهُ سُمِّيَ الْقُرْآنُ لِجَمَاعَةِ السُّوَرِ وَسُمِّيَتْ السُّوْرَةُ لِأَنَّهَا مَقْطُوْعَةٌ مِنْ الْأُخْرَى فَلَمَّا قُرِنَ بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ سُمِّيَ قُرْآنًا وَقَالَ سَعْدُ بْنُ عِيَاضٍ الثُّمَالِيُّ (الْمِشْكَاةُ) الْكُوَّةُ بِلِسَانِ الْحَبَشَةِ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى (إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ) تَأْلِيْفَ بَعْضِهِ إِلَى بَعْضٍ (فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ) فَإِذَا جَمَعْنَاهُ وَأَلَّفْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ أَيْ مَا جُمِعَ فِيْهِ فَاعْمَلْ بِمَا أَمَرَكَ وَانْتَهِ عَمَّا نَهَاكَ اللهُ وَيُقَالُ لَيْسَ لِشِعْرِهِ قُرْآنٌ أَيْ تَأْلِيْفٌ وَسُمِّيَ الْفُرْقَانَ لِأَنَّهُ يُفَرِّقُ بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ وَيُقَالُ لِلْمَرْأَةِ مَا قَرَأَتْ بِسَلًا قَطُّ أَيْ لَمْ تَجْمَعْ فِيْ بَطْنِهَا وَلَدًا وَيُقَالُ فِيْ فَرَّضْنَاهَا أَنْزَلْنَا فِيْهَا فَرَائِضَ مُخْتَلِفَةً وَمَنْ قَرَأَ (فَرَضْنَاهَا) يَقُوْلُ فَرَضْنَا عَلَيْكُمْ وَعَلَى مَنْ بَعْدَكُمْ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (أَوْ الطِّفْلِ الَّذِيْنَ لَمْ يَظْهَرُوْا) لَمْ يَدْرُوْا لِمَا بِهِمْ مِنْ الصِّغَرِ وَقَالَ الشَّعْبِيُّ (غَيْرِأُوْلِي الإِرْبَةِ) مَنْ لَيْسَ لَهُ أَرَبٌ وَقَالَ طَاوُسٌ هُوَ الْأَحْمَقُ الَّذِيْ لَا حَاجَةَ لَهُ فِي النِّسَاءِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ لَا يُهِمُّهُ إِلَّا بَطْنُهُ وَلَا يَخَافُ عَلَى النِّسَاءِ.

مِنْ خِلَالِهٰ মেঘমালার মাঝ থেকে। বিদ্যুতের আলো। سَنَا بَرْقِهِবিনীত হওয়া। مُذْعِنِيْنَবিনীত হওয়া। বিনয়ী ব্যক্তিকে مُذْعِنٌবলা হয়। أَشْتَاتًا(দলে দলে) شَتَاتٌ-شَتّٰى-وَ-شَتٌّএকই অর্থে ব্যবহৃত হয়। সা’দ ইবনু আয়ায সুমালী বলেন, الْمِشْكَاةُহাবশী ভাষায় ’তাক’। ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, سُوْرَةٌ أَنْزَلْنَاهَا(এমন একটি সূরা) যার বর্ণনা ও ব্যাখ্যা আমি প্রদান করেছি। অন্য হতে বর্ণিত। সূরার সমষ্টিকে কুরআন নাম দেয়া হয়েছে। সূরার নামকরণ করা হয়েছে একটি অপরটি থেকে বিচ্ছিন্ন বলে। তারপর যখন পরস্পরকে একত্র করা হয়, তখন তাকে ’কুরআন’ বলা হয়। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃإِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَه وَقُرْاٰنَهُএর এক অংশকে অন্য অংশের সঙ্গে যুক্ত করা। فَإِذَا قَرَأْنَاه فَاتَّبِعْ قُرْاٰنَه তারপর যখন আমি তাকে একত্র করি ও সংযুক্ত করে দেই তখন তুমি অনুসরণ করবে সে কুরআনের অর্থাৎ যা একত্রিত করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে যে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন, সে কাজ করবে এবং যে কাজ থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকবে। বলা হয়, لَيْسَ لِشِعْرِهٰ قُرْاٰنٌঅর্থাৎ (তার কাব্যে সামঞ্জস্য) নেই। আর কুরআনকে ফুরকান এজন্য নাম দেয়া হয়েছে যে, তা হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য করে। আর বলা হয়, স্ত্রীলোকের জন্য مَا قَرَأَتْ بِسَلًا قَطُّঅর্থাৎ তার পেটে সন্তান আসেনি। আর বলে, فَرَّضْنَا (তাশদীদ যুক্ত অবস্থায়) অর্থাৎ আমি তাতে বিভিন্ন ফরয অবতীর্ণ করেছি। আর যাঁরা فَرَّضْنَاهَا (তাশদীদবিহীন) পড়েন তিনি এর অর্থ করেন, আমি তোমাদের এবং তোমাদের পরবর্তীদের উপর ফরয করেছি। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, أَوِالطِّفْلِ الَّذِيْنَ لَمْ يَظْهَرُوْا এর অর্থ সে সব বালক যারা অল্প বয়স্ক হওয়ার কারণে নারীদের ব্যাপারে বুঝে না। শাবী বলেন, غَيْرِأُوْلِي الْإِرْبَةِ যারা যৌন কামনামুক্ত, মুজাহিদ বলেন, যে তার পেট ব্যতীত অন্য কোন কিছুকে গুরুত্ব দেয় না, এবং যার ব্যাপারে নারীদের কোন আশংকা নেই, তাঊস বলেন, সে এমন নির্বোধ যার মহিলাদের ব্যাপারে কোন প্রয়োজন নেই।

(وَالَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ شُهَدَآءُ إِلَّآ أَنْفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ أَحَدِهِمْ أَرْبَعُ شَهٰدٰتٍم بِاللهِ لا إِنَّه” لَمِنَ الصّٰدِقِيْنَ).

যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নাই। (সূরাহ নূর ২৪/৬)


৪৭৪৫. সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ’উয়াইমির (রাঃ) ’আসিম ইবনু আদির নিকট আসলেন। তিনি আজ্লান গোত্রের সর্দার। ’উয়াইমির তাঁকে বললেন, তোমরা ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে কী বল, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষ দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে? এরপর তো তোমরা তাকেই হত্যা করবে অথবা সে কী করবে? তুমি আমার পক্ষ হতে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞেস কর। তারপর আসিম নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল .....। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের প্রশ্ন অপছন্দ করলেন। তারপর ’উয়াইমির (রাঃ) তাঁকে প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের প্রশ্ন না-পছন্দ করেছেন ও দূষণীয় মনে করেছেন। তখন উয়াইমির বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হব না। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য একটি পুরুষকে দেখতে পেলে সে কি তাকে হত্যা করবে? তখন তো আপনারা তাকে (কিসাস স্বরূপ) হত্যা করে ফেলবেন অথবা, সে কী করবে?

তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার ও তোমার স্ত্রী সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’আলা কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামী-স্ত্রী দু-জনকে ’লিয়ান’ করার নির্দেশ দিলেন; যেভাবে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তারপর ’উয়াইমির তার স্ত্রীর সঙ্গে লিয়ান করলেন। এরপরে বললেন, (এরপরও) যদি আমি তাকে রাখি, তবে তার প্রতি আমি যালিম হবো। তারপর তিনি তাকে ত্বলাক (তালাক) দিয়ে দিলেন। অতএব, তাদের পরবর্তী লোকদের জন্য, যারা পরস্পর ’লিয়ান’ করে- এটি সুন্নাতে পরিণত হল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, লক্ষ্য কর! যদি মহিলাটি একটি কালো ডাগর চক্ষু, বড় পাছা ও বড় পাওয়ালা বাচ্চা জন্ম দেয়, তবে আমি মনে করব, ’উয়াইমিরই তার সম্পর্কে সত্য বলেছে এবং যদি সে লাল গিরগিটির মত একটি লাল বর্ণের সন্তান প্রসব করে তবে আমি মনে করব, ’উয়াইমির তার সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে। এরপর সে এমন একটি সন্তান প্রসব করল, যার গুণাবলী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’উয়াইমির সত্যবাদী হওয়ার পক্ষে বলেছিলেন। তারপর সন্তানটিকে মায়ের দিকে সম্পর্কযুক্ত করে পরিচয় দেয়া হত। [৪২৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৮৬)

بَاب قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ :

إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ عُوَيْمِرًا أَتَى عَاصِمَ بْنَ عَدِيٍّ وَكَانَ سَيِّدَ بَنِيْ عَجْلَانَ فَقَالَ كَيْفَ تَقُوْلُوْنَ فِيْ رَجُلٍ وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُوْنَهُ أَمْ كَيْفَ يَصْنَعُ سَلْ لِيْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَتَى عَاصِمٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَكَرِهَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسَائِلَ فَسَأَلَهُ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَرِهَ الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا قَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللهِ لَا أَنْتَهِيْ حَتَّى أَسْأَلَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَجَاءَ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ رَجُلٌ وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُوْنَهُ أَمْ كَيْفَ يَصْنَعُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَنْزَلَ اللهُ الْقُرْآنَ فِيْكَ وَفِيْ صَاحِبَتِكَ فَأَمَرَهُمَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمُلَاعَنَةِ بِمَا سَمَّى اللهُ فِيْ كِتَابِهِ فَلَاعَنَهَا ثُمَّ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنْ حَبَسْتُهَا فَقَدْ ظَلَمْتُهَا فَطَلَّقَهَا فَكَانَتْ سُنَّةً لِمَنْ كَانَ بَعْدَهُمَا فِي الْمُتَلَاعِنَيْنِ ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْظُرُوْا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَسْحَمَ أَدْعَجَ الْعَيْنَيْنِ عَظِيْمَ الْأَلْيَتَيْنِ خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ فَلَا أَحْسِبُ عُوَيْمِرًا إِلَّا قَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أُحَيْمِرَ كَأَنَّهُ وَحَرَةٌ فَلَا أَحْسِبُ عُوَيْمِرًا إِلَّا قَدْ كَذَبَ عَلَيْهَا فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى النَّعْتِ الَّذِيْ نَعَتَ بِهِ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ تَصْدِيْقِ عُوَيْمِرٍ فَكَانَ بَعْدُ يُنْسَبُ إِلَى أُمِّهِ.

اسحاق حدثنا محمد بن يوسف حدثنا الاوزاعي قال حدثني الزهري عن سهل بن سعد ان عويمرا اتى عاصم بن عدي وكان سيد بني عجلان فقال كيف تقولون في رجل وجد مع امراته رجلا ايقتله فتقتلونه ام كيف يصنع سل لي رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك فاتى عاصم النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله فكره رسول الله صلى الله عليه وسلم المساىل فساله عويمر فقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كره المساىل وعابها قال عويمر والله لا انتهي حتى اسال رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك فجاء عويمر فقال يا رسول الله رجل وجد مع امراته رجلا ايقتله فتقتلونه ام كيف يصنع فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم قد انزل الله القران فيك وفي صاحبتك فامرهما رسول الله صلى الله عليه وسلم بالملاعنة بما سمى الله في كتابه فلاعنها ثم قال يا رسول الله ان حبستها فقد ظلمتها فطلقها فكانت سنة لمن كان بعدهما في المتلاعنين ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انظروا فان جاءت به اسحم ادعج العينين عظيم الاليتين خدلج الساقين فلا احسب عويمرا الا قد صدق عليها وان جاءت به احيمر كانه وحرة فلا احسب عويمرا الا قد كذب عليها فجاءت به على النعت الذي نعت به رسول الله صلى الله عليه وسلم من تصديق عويمر فكان بعد ينسب الى امه


Narrated Sahl bin Saud:

'Uwaimir came to `Asim bin `Adi who was the chief of Bani Ajlan and said, "What do you say about a man who has found another man with his wife? Should he kill him whereupon you would kill him (i.e. the husband), or what should he do? Please ask Allah's Messenger (ﷺ) about this matter on my behalf." `Asim then went to the Prophet (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! (And asked him that question) but Allah's Messenger (ﷺ) disliked the question," When 'Uwaimir asked `Asim (about the Prophet's answer) `Asim replied that Allah's Messenger (ﷺ) disliked such questions and considered it shameful. "Uwaimir then said, "By Allah, I will not give up asking unless I ask Allah's Messenger (ﷺ) about it." Uwaimir came (to the Prophet ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! A man has found another man with his wife! Should he kill him whereupon you would kill him (the husband, in Qisas) or what should he do?" Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah has revealed regarding you and your wife's case in the Qur'an "So Allah's Messenger (ﷺ) ordered them to perform the measures of Mula'ana according to what Allah had mentioned in His Book. So 'Uwaimir did Mula'ana with her and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! If I kept her I would oppress her." So 'Uwaimir divorced her and so divorce became a tradition after them for those who happened to be involved in a case of Mula'ana. Allah's Messenger (ﷺ) then said, "Look! If she (Uwaimir's wife) delivers a black child with deep black large eyes, big hips and fat legs, then I will be of the opinion that 'Uwaimir has spoken the truth; but if she delivers a red child looking like a Wahra then we will consider that 'Uwaimir has told a lie against her." Later on she delivered a child carrying the qualities which Allah's Messenger (ﷺ) had mentioned as a proof for 'Uwaimir's claim; therefore the child was ascribed to its mother henceforth.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর (كتاب التفسير) 65/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet (pbuh)