হাদীস সম্ভার ১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

আল্লাহ তাআলা বলেন,

إنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيماً

নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর ফিরিশতাগণও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। হে মু’মিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি অনুগ্রহ প্রার্থনা কর এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সূরা আহযাব ৫৬)


(১৬৮৬) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার দরুন তার উপর দশটি রহমত (করুণা) অবতীর্ণ করবেন।

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُمَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلاَةً صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْراً رواه مسلم

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما : أنه سمع رسول الله ﷺ يقولمن صلى علي صلاة صلى الله عليه بها عشرا رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৮৭) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা জুমআর দিন আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পড়। যেহেতু ক্ষণকাল পূর্বে জিবরীল তাঁর প্রতিপালক আযযা অজাল্লার নিকট থেকে আগমন ক’রে বললেন, ’(হে নবী!) পৃথিবীর বুকে যে কোন মুসলিম তোমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আমি তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করব এবং আমার ফিরিশতাবর্গ তার জন্য ১০ বার ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْثِرُوا الصَّلاةَ عَلَيَّ يَوْمَ الجُمْعَةِ فَإِنَّهُ أَتَانِيْ جِبْرِيْلُ آنِفًا عَنْ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ مَا عَلَى الأَرْضِ مِنْ مُسْلِمٍ يُصَلِّي عَلَيْكَ مَرَّةً وَاحِدَةً إِلَّا صَلَيْتُ أَنَا وَمَلَائِكَتِيْ عَلِيْهِ عَشْراً

وعن أنس رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة فإنه أتاني جبريل آنفا عن ربه عز وجل فقال ما على الأرض من مسلم يصلي عليك مرة واحدة إلا صليت أنا وملائكتي عليه عشرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৮৮) আনাস বিন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে, (তার বিনিময়ে) সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ দশটি রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি পাপ মোচন করেন এবং তাকে দশটি মর্যাদায় উন্নীত করেন।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلاَةً وَاحِدَةً صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ وَحُطَّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيئَاتٍ وَرُفِعَتْ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ

عن أنس بن مالك قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى علي صلاة واحدة صلى الله عليه عشر صلوات وحطت عنه عشر خطيئات ورفعت له عشر درجات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৮৯) আমের বিন রাবীআহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খুতবায় বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আমার উপর যত দরূদ পাঠ করবে, ফিরিশতা তার জন্য তত ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবেন। সুতরাং বান্দা চাহে তা কম করুক অথবা বেশী করুক।

عن عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَخْطُبُ يَقُولُ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً لَمْ تَزَلْ الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ مَا صَلَّى عَلَيَّ فَلْيُقِلَّ عَبْدٌ مِنْ ذَلِكَ أَوْ لِيُكْثِرْ

عن عامر بن ربيعة قال سمعت رسول الله ﷺ يخطب يقول من صلى علي صلاة لم تزل الملائكة تصلي عليه ما صلى علي فليقل عبد من ذلك أو ليكثر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯০) আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...যে ব্যক্তি যত বেশী আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি (বেহেশতী) মর্যাদায় তত বেশী আমার নিকটবর্তী হবে।

وعَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَنْ كاَنَ أَكْثَرُهُمْ عَلَي صَلَاةِ كَانَ أَقْرَبُهُمْ مِنِّي مَنْزِلَةً

وعن أبي أمامة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فمن كان أكثرهم علي صلاة كان أقربهم مني منزلة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯১) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি সব লোকের চাইতে আমার বেশী নিকটবর্তী হবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আমার উপর দরূদ পড়বে।

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَأَوْلَى النَّاسِ بِي يَومَ القِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلاَةً رواه الترمذي، وقال حديث حسن

وعن ابن مسعود أن رسول الله ﷺ قالأولى الناس بي يوم القيامة أكثرهم علي صلاة رواه الترمذي، وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯২) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর দরূদ পড়তে ভুল করল, সে আসলে জান্নাতের পথ ভুল করল।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ نَسِيَ الصَّلاةَ عَلَيَّ خَطِئَ طَرِيقَ الْجَنَّةِ

عن ابن عباس قال: قال رسول الله ﷺ من نسي الصلاة علي خطئ طريق الجنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯৩) আওস ইবনে আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমআর দিন। সুতরাং ঐ দিন তোমরা আমার উপর অধিকমাত্রায় দরূদ পড়। কেননা, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।’’ লোকেরা বলল, ’ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি তো (মারা যাওয়ার পর) পচে-গলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের দরূদ কিভাবে আপনার কাছে পেশ করা হবে?’ তিনি বললেন, ’’আল্লাহ পয়গম্বরদের দেহসমূহকে খেয়ে ফেলা মাটির উপর হারাম ক’রে দিয়েছেন। (বিধায় তাঁদের শরীর আবহমান কাল ধরে অক্ষত থাকবে।)

وَعَنْ أَوسِ بنِ أَوسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَومَ الجُمُعَةِ فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلاةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّقَالَ : قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيفَ تُعْرَضُ صَلاَتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرَمْتَ قَالَ : يَقُولُ بَلِيتَ قَالَإِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

وعن أوس بن أوس قال : قال رسول الله ﷺ إن من أفضل أيامكم يوم الجمعة فأكثروا علي من الصلاة فيه فإن صلاتكم معروضة عليقال : قالوا : يا رسول الله وكيف تعرض صلاتنا عليك وقد أرمت قال : يقول بليت قالإن الله حرم على الأرض أجساد الأنبياء رواه أبو داود بإسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯৪) মালিক বিন হাসান বিন মালিক বিন হুয়াইরিস তাঁর পিতা হতে, তিনি (হাসান) তাঁর (মালেকের) পিতামহ (মালিক বিন হুয়াইরিষ) হতে বর্ণনা করে বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে চড়লেন। প্রথম ধাপে চড়েই বললেন, ’’আমীন।’’ অতঃপর দ্বিতীয় ধাপে চড়ে বললেন, ’’আমীন’’ অনুরূপ তৃতীয় ধাপেও চড়ে বললেন, ’’আমীন।’’ অতঃপর তিনি (এর রহস্য ব্যক্ত করে) বললেন, ’’আমার নিকট জিবরীল উপস্থিত হয়ে বললেন, ’হে মুহাম্মাদ! যে ব্যক্তি রমযান পেল অথচ পাপমুক্ত হতে পারল না আল্লাহ তাকে দূর করেন।’ তখন আমি (প্রথম) ’আ-মীন’ বললাম। তিনি আবার বললেন, ’যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে অথবা তাদের একজনকে জীবিতাবস্থায় পেল অথচ তাকে দোযখে যেতে হবে, আল্লাহ তাকেও দূর করুন।’ এতে আমি (দ্বিতীয়) ’আ-মীন’ বললাম। অতঃপর তিনি বললেন, ’যার নিকট আপনার (নাম) উল্লেখ করা হয় অথচ সে আপনার উপর দরূদ পাঠ করে না, আল্লাহ তাকেও দূর করুন।’ এতে আমি (তৃতীয়) ’আমীন’ বললাম।

عن مَالِكُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِنْبَرَ فَلَمَّا رَقِيَ عَتَبَةً قَالَ: "آمِينَ": ثمَّ رقى أُخْرَى فقَالَ: "آمِينَ" ثُمَّ رَقِيَ عَتَبَةً ثَالِثَةً فَقَالَ: "آمين" ثمَّ قَالَ: "أَتَانِي جِبْرِيل صلى الله عَلَيْهِمَا فقَالَ يَا مُحَمَّدُ مَنْ أَدْرَكَ رَمَضَانَ فَلَمْ يغْفر لَهُ فَأَبْعَده الله فَقلت آمِينَ قَالَ وَمَنْ أَدْرَكَ وَالِدَيْهِ أَوْ أَحَدَهُمَا فَدخل النَّار فَأَبْعَده الله فَقلت آمين قَالَ وَمَنْ ذُكِرْتَ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ فَأَبْعَدَهُ الله قُلْ آمِيْن فَقُلْتُ آمِينَ

عن مالك بن الحسن بن مالك بن الحويرث عن أبيه عن جده رضي الله عنه قال صعد رسول الله صلى الله عليه وسلم المنبر فلما رقي عتبة قال: "آمين": ثم رقى أخرى فقال: "آمين" ثم رقي عتبة ثالثة فقال: "آمين" ثم قال: "أتاني جبريل صلى الله عليهما فقال يا محمد من أدرك رمضان فلم يغفر له فأبعده الله فقلت آمين قال ومن أدرك والديه أو أحدهما فدخل النار فأبعده الله فقلت آمين قال ومن ذكرت عنده فلم يصل عليك فأبعده الله قل آمين فقلت آمين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই অভিশাপ দিলেন যে, সেই ব্যক্তির নাক ধূলা-ধূসরিত হোক, যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হল, অথচ সে (আমার নাম শুনেও) আমার প্রতি দরূদ পড়ল না। (অর্থাৎ, ’স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম’ বলল না।)

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ رواه الترمذي وقال حديث حسن

وعن أبي هريرة قال : قال رسول الله ﷺ رغم أنف رجل ذكرت عنده فلم يصل علي رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯৬) উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আমার কবরকে উৎসব কেন্দ্রে পরিণত করো না (যেমন কবর-পূজারীরা উরস ইত্যাদির মেলা লাগিয়ে ক’রে থাকে)। তোমরা আমার প্রতি দরূদ পেশ কর। কারণ, তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের পেশকৃত দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।

وَعَنْه قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيداً وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

وعنه قال : قال رسول الله ﷺ لا تجعلوا قبري عيدا وصلوا علي فإن صلاتكم تبلغني حيث كنتم رواه أبو داود بإسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯৭) উক্ত রাবী হতে এটি বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন ব্যক্তি যখন আমার উপর সালাম পেশ করে, তখন আল্লাহ আমার মধ্যে আমার আত্মা ফিরিয়ে দেন, ফলে আমি তার সালামের জবাব দিই।

(এর ধরন আল্লাহই জানেন। অবশ্য এর অর্থ এ নয় যে, সরাসরি তিনি শুনতে পান বা তাঁর জবাব কেউ শুনতে পায়।)

وَعَنْه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلاَّ رَدَّ اللهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

وعنه : أن رسول الله ﷺ قال ما من أحد يسلم علي إلا رد الله علي روحي حتى أرد عليه السلام رواه أبو داود بإسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯৮) সুহাইল বলেন, একদা (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাতির ছেলে) হাসান বিন হাসান বিন আলী আমাকে কবরের নিকট দেখলেন। তিনি আমাকে ডেকে পাঠালেন। সেই সময় তিনি ফাতেমার বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি বললেন, ’এসো খানা খাও।’ আমি বললাম, ’খাবার ইচ্ছা নেই।’ অতঃপর তিনি বললেন, ’কী ব্যাপার যে, আমি তোমাকে কবরের পাশে দেখলাম?’ আমি বললাম, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম দিলাম।’ তিনি বললেন, ’যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সালাম দেবে।’

অতঃপর তিনি বললেন, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা আমার কবরকে ঈদ বানিয়ে নিয়ো না। তোমাদের ঘরকে কবর বানিয়ে নিয়ো না। তোমরা যেখানেই থাক, সেখান থেকেই আমার উপর দরূদ পাঠ কর। কারণ তোমাদের দরূদ আমার নিকট (ফিরিশতার মাধ্যমে) পৌঁছে যায়। আল্লাহ ইয়াহুদকে অভিশাপ করুন। কারণ তারা তাদের নবীগণের কবরসমূহকে মসজিদ (সিজদা ও নামাযের স্থান) বানিয়ে নিয়েছে। (এ ব্যাপারে এখানে) তোমরা এবং উন্দুলুসের লোকেরা সমান।

عَنْ سُهَيْلٍ قَالَ: رَآنِيَ الْحَسَنُ بْنُ الَحسَنِ بْنِ عَلِيّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عِنْدَ الْقَبْرِ فَنَادَانِي وَهُوَ فِي بَيْتِ فَاطِمَةَ يَتَعَشَّى فَقَالَ: هَلُمَّ إِلَى العِشَاءِ، فَقُلْتُ: لَا أُرِيْدُهُ فَقَالَ: مَالِي رَأيْتُكَ عِنْدَ الْقَبْرِ؟ فَقُلْتُ: سَلَّمْتُ عَلَى النَّبي ﷺ فَقَالَ:(إِذَا دَخَلْتَ الْمَسْجِدَ فَسَلَّمْ) ثُمَّ قَالَ: إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قاَلَ: (لَا تَتَّخِذُوْا قَبْرِيْ عِيْدًا وَلَا تَتَّخِذُوْا بُيُوْتَكُمْ قُبُوْرًا وَصَلُّوا عَلَيَّ، فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تُبَلَّغُنِي حَيْثُمَا كُنْتُمْ، لَعَنَ اللهُ الْيَهُوْدَ اِتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ) مَا أَنْتُمْ وَمن بِالْاَنْدَلُس إِلَّا سواء

عن سهيل قال: رآني الحسن بن الحسن بن علي بن أبي طالب عند القبر فناداني وهو في بيت فاطمة يتعشى فقال: هلم إلى العشاء، فقلت: لا أريده فقال: مالي رأيتك عند القبر؟ فقلت: سلمت على النبي ﷺ فقال:(إذا دخلت المسجد فسلم) ثم قال: إن رسول الله ﷺ قال: (لا تتخذوا قبري عيدا ولا تتخذوا بيوتكم قبورا وصلوا علي، فإن صلاتكم تبلغني حيثما كنتم، لعن الله اليهود اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد) ما أنتم ومن بالاندلس إلا سواء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯৯) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পৃথিবীতে মহান আল্লাহর ভ্রমণরত বহু ফিরিশতা রয়েছেন, যাঁরা আমার উম্মতের নিকট হতে আমাকে সালাম পৌঁছে দেন।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ لِلهِ عَزَّ وَجَلَّ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِي السَّلَامَ

عن عبد الله بن مسعود قال قال رسول الله ﷺ إن لله عز وجل ملائكة سياحين في الأرض يبلغوني من أمتي السلام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৭০০) আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম (আমার নাম উচ্চারিত হল), অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না।

وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ البَخِيلُ مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ رواه الترمذي وقَالَ حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحِيْحٌ

وعن علي قال : قال رسول الله ﷺ البخيل من ذكرت عنده فلم يصل علي رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৭০১) আবূ যার (রাঃ) বলেন, একদা বের হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। তিনি বললেন, তোমাদেরকে কি বলে দেব না, সবচেয়ে বড় বখীল কে?’’ সকলে বলল, ’অবশ্যই হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ’’যার নিকট আমার নাম উল্লেখ করা হল, অথচ সে (আমার নাম শুনেও) আমার প্রতি দরূদ পড়ল না, সেই হল সব চাইতে বড় বখীল।

و عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ خَرَجْتُ ذَاتَ يَوْمٍ فَأَتَيْتُ رَسُوْلَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَبْخَلَ النَّاسِ قَالُوْا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ مَنْ ذُكِرَت عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ فَذَلِكَ أَبْخَلَ النَّاسِ

و عن أبي ذر رضي الله عنه قال خرجت ذات يوم فأتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ألا أخبركم بأبخل الناس قالوا بلى يا رسول الله قال من ذكرت عنده فلم يصل علي فذلك أبخل الناس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৭০২) ফাযবালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি লোককে নামাযে প্রার্থনা করতে শুনলেন। সে কিন্তু তাতে আল্লাহর প্রশংসা করেনি এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরূদও পড়েনি। এ দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, লোকটি তাড়াহুড়ো করল। অতঃপর তিনি তাকে ডাকলেন ও তাকে অথবা অন্য কাউকে বললেন, যখন কেউ দু’আ করবে, তখন সে যেন তার পবিত্র প্রতিপালকের প্রশংসা বর্ণনা যোগে ও আমার প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ ক’রে দু’আ আরম্ভ করে, তারপর যা ইচ্ছা (যথারীতি) প্রার্থনা করে।

وَعَنْ فَضَالَةَ بنِ عُبَيْدٍ قَالَ : سَمِعَ رَسُولُ اللهِ ﷺ رَجُلاً يَدْعُو فِي صَلاَتِهِ لَمْ يُمَجِّدِ الله تَعَالَى، وَلَمْ يُصَلِّ عَلَى النَّبيِّ ﷺ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ عَجِلَ هَذَا ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ أَوْ لِغَيْرِهِ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِتَحْمِيدِ رَبِّهِ سُبْحَانَهُ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ ثُمَّ يُصَلِّي عَلَى النَّبيِّ ﷺ ثُمَّ يَدْعُو بَعْدُ بِمَا شَاءَ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ

وعن فضالة بن عبيد قال : سمع رسول الله ﷺ رجلا يدعو في صلاته لم يمجد الله تعالى، ولم يصل على النبي ﷺ فقال رسول الله ﷺ عجل هذا ثم دعاه فقال له أو لغيره إذا صلى أحدكم فليبدأ بتحميد ربه سبحانه والثناء عليه ثم يصلي على النبي ﷺ ثم يدعو بعد بما شاء رواه أبو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৭০৩) উমার (রাঃ) ও আলী (রাঃ) বলেন, ’প্রত্যেক দু’আ ততক্ষণ পর্যন্ত আসমান ও যমীনের মাঝে লটকে থাকে, (আকাশে ওঠে না বা আল্লাহর কাছে কবুল হয় না) যতক্ষণ না নবীর উপর দরূদ পাঠ করা হয়।’

عَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ وعلي رَضِيَ اللهُ عَنْهُما قالا : إِنَّ الدُّعَاءَ مَوْقُوْفٌ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ لَا يَصْعَدُ مِنْهُ شَيٌّء حَتَّى تُصَليِّ عَلَى نَبِيِّكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

عن عمر بن الخطاب وعلي رضي الله عنهما قالا : إن الدعاء موقوف بين السماء والأرض لا يصعد منه شيء حتى تصلي على نبيك صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৭০৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে সম্প্রদায়ই এমন কোন মজলিসে বসে যেখানে তারা মহান আল্লাহর যিকর করে না এবং নবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপর দরূদ পাঠ করে না, সেই সম্প্রদায়েরই ক্ষতিকর পরিণাম হবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে আযাব দেবেন, নচেৎ ইচ্ছা করলে মাফ করে দেবেন।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْه عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا الله تَعَالَى فِيهِ وَلَمْ يُصَلُّوْا عَلَى نَبِيّهم فِيهِ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِم ترة فَإِن شَاءَ عذبهم وَإِن شَاءَ غفر لَهُم

عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما جلس قوم مجلسا لم يذكروا الله تعالى فيه ولم يصلوا على نبيهم فيه إلا كان عليهم ترة فإن شاء عذبهم وإن شاء غفر لهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৭০৫) আবূ মুহাম্মাদ কা’ব ইবনে উজরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) আমাদের নিকট এলেন। আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনার প্রতি কিভাবে সালাম পেশ করতে হয় তা জেনেছি, কিন্তু আপনার প্রতি দরূদ কিভাবে পাঠাব?’ তিনি বললেন, ’’তোমরা বলোঃ

’আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।’

যার অর্থ, হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ তথা মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের উপর রহমত বর্ষণ কর; যেমন রহমত বর্ষণ করেছিলে ইব্রাহীমের পরিবারবর্গের উপর। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও অতি সম্মানার্হ। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিজনবর্গের প্রতি বরকত নাযেল কর; যেমন বরকত নাযেল করেছ ইব্রাহীমের পরিজনবর্গের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও মহা সম্মানীয়।

وَعَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ كَعْبِ بن عُجْرَةَ قَالَ : خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ ﷺ فَقُلْنَا : يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ عَلِمْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ قَالَقُولُوا : اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ إنَّكَ حَمِيدٌ مَجيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ إنَّكَ حَمِيدٌ مَجْيدٌ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن أبي محمد كعب بن عجرة قال : خرج علينا النبي ﷺ فقلنا : يا رسول الله قد علمنا كيف نسلم عليك، فكيف نصلي عليك ؟ قالقولوا : اللهم صل على محمد وعلى آل محمد كما صليت على آل إبراهيم إنك حميد مجيد اللهم بارك على محمد وعلى آل محمد كما باركت على آل إبراهيم إنك حميد مجيد متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 পরের পাতা »