মুআযযিন যা বলবে তা শুনে তার উত্তরেও তাই বলতে হয়। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ দ্বিতীয়বার বলে শেষ করলে তার উত্তরে নিম্নের দুআ বলা উত্তম।
وأنا أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمداً عبده ورسوله، رضيت بالله ربا وبمحمد رسولا وبالإسلام دينا
উচ্চারণঃ অ আনা আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, অ আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অ রাসূলুহ, রাযীতু বিল্লা-হি রাব্বীউ অ বিমুহাম্মাদির রাসূলাঁউ অবিলইসলামি দ্বীনা।
অর্থঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর দাস ও প্রেরিত রসুল। আল্লাহকে প্রতিপালক। বলে মেনে নিতে, মুহাম্মাদ মুক্তি কে নবীরূপে স্বীকার করতে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করতে আমি সম্মত ও তুষ্ট হয়েছি।
এই দুআ পড়লে গোনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। (মুঃ ১/২৯০, ইবনে খুযাইমাহ ১/২২০)।
মুআযযিন যখন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলে, তখন তার উত্তরে বলতে হয়, (لا حولَ ولا قوةَ إلا باللهِ) উচ্চারণ- লা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ- আল্লাহর তওফীক ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার (নড়া-সার) সাধ্য নেই। (কুঃ ১৮/১৫২, মু ১/২৮৮)
আসস্বালা-তু খাইরুম মিনান নাউম’ এর উত্তরে অনুরূপই বলতে হয়। আযান শেষ হলে নবী (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করতে হয়। (মুঃ ১/২৮৮) অতঃপর এই দুআ পাঠ করতে হয়,
اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاةِ الْقَائِمَةِ ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ ، وَابْعَثْهُ الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ الَّذِي وَعَدْتَهُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রাব্বা হা-যিহিদ দা’অতিত তা-ম্মাহ, অসসালা-তিল ক্বা-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল অসীলাতা অলফাযীলাহ, অবআসহু মাক্বা-মাম মাহমুদানিল্লাযী অআত্তাহ।
অর্থ- হে আল্লাহ এই পূর্ণাঙ্গ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠা লাভকারী নামাযের প্রভু! মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে তুমি অসীলা (জান্নাতের এক উচ্চ স্থান) ও মর্যাদা দান কর এবং তাকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌছাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাকে দিয়েছ।
এই দুআ পাঠ করলে পাঠকারী কিয়ামতের দিন তার সুপারিশ পাবে। (বুঃ ১/১৫২) এর মাঝে বা শেষে অতিরিক্ত কোন দুআর অংশ শুদ্ধ নয়। তাই এর উপর কোন প্রকার অতিরিক্ত করা উচিত নয়। (ইঃ গলীল ১/২৬১)।
আযান ও ইকামতের মাঝে দুআ কবুল হয়। তাই নিজের জন্য কিছু কল্যাণকর দুআ করা এ সময়ে দূষণীয় নয়। (ইঃ গলীল ১২৬২)।
ইকামতের জওয়াব আযানের মতই। ক্বদ ক্বা-মাতিস্ব স্বালা-হ’ এর উত্তরে আকামাহাল্লাহ----’ বলার বিষয়ে হাদীসটি যয়ীফ। তাই অনুরূপ (ক্বাদ কামাতিস্ব স্বালাহ) বলাই উচিত। (ইঃ গঃ ১/২৫৮)
তকবীরে তাহরীমা বলে দুই হাত তুলে বক্ষঃস্থলে হাত বেঁধে নিম্নের যে কোন দুআ পড়তে হয়;
১।
اللهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা বা-ইদ বাইনী অ বাইনা খাত্বা-য়্যা-য়্যা কামা বা-আত্তা বাইনাল মাশরিকি অল মাগরিব, আল্লা-হুম্মা নাক্কিনী মিনাল খাত্বা-য়্যা, কামা য়ুনাক্কাস সাওবুল আবয়্যাদু মিনাদ দানাস, আল্লাহুম্মাগসিল খাত্বা-য়্যা-য়্যা বিল মা-য়ি অসসালজি অলবারাদ।
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি আমার মাঝে ও আমার গোনাহসমূহের মাঝে এতটা ব্যবধান রাখ, যেমন তুমি পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে ব্যবধান রেখেছ। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে গোনাহসমূহ থেকে পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! তুমি আমার গোনাহসমূহকে পানি, বরফ ও করকি দ্বারা ধৌত করে দাও। (বুঃ ১৮৯, মুঃ ৪১৯)
২।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ: সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অ বিহামদিকা অ তাবারাকাসমুকা অ তাআলা জাদ্দুকা অ লাইলা-হা গায়রুক।
অর্থ- তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার নাম অতি বৰ্কতময়, তোমার মাহাত্ম্য অতি উচ্চ এবং তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। (আবু দাউদ)
৩।
اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবারু কাবীরা, অল হামদু লিল্লাহি কাসীরা, অ সুবহা-নাল্লাহি বুকরাতাউ অ আসীলা।
অর্থঃ আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহর অনেক অনেক প্রশংসা, আমি সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি। এই দুআটি দিয়ে নফল নামায শুরু করতে হয়। (মুঃ সিফাতু স্বলাতিন নাবী আলবনী ৮৭পৃঃ)
৪।
وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وما أنا من الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ له وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وأنا من الْمُسْلِمِينَ، اللهم أنت الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إلا أنت، أنت رَبِّي وأنا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لي ذُنُوبِي جميعا إنه لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إلا أنت، وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إلا أنت، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إلا أنت، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ في يَدَيْكَ وَالشَّرُّ ليس إِلَيْكَ،أنا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ- অজজাহতু অজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস সামা-ওয়া-তি অআরযা হানীফাউ অমা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী অনুসুকী অমাহয়্যা-য়্যা অমামা-তী লিল্লা-হি রাব্বিল আলামীন। লা শারীকা লাহু অবিযা-লিকা উমিরতু অআনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লা-হুম্মা আন্তাল মালিকু লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত। সুবহা-নাকা অবিহামদিকা আন্তা রাব্বী অ আনা আবদুক। যালামতু নাফসী অ’তারাফতু বিয়ামবী, ফাগফিরলী যামবী জামীআন ইন্নাহু লা য়্যাগফিরুয যুনুবা ইল্লা আন্ত। অহদিনী লিআহসানিল আখলা-কি লা য়্যাহদী লিআহসিনহা ইল্লা আন্ত। অস্বরিফ আন্নী সাইয়্যিআহা লা য়্যাস্বরিফু আন্নী সাইয়্যিআহা ইল্লা আন্ত। লাব্বাইকা অ সা’দাইক, অলখায়রু কুল্লুহু ফী য়্যাদাইক। অশ্শাররু লাইসা ইলাইক, আলমাহদীয়্যু মান হাদাইত, আনা বিকা অ ইলাইক। লা মানজা অলা মালজাআ মিনকা ইল্লা ইলাইক, তাবারাকতা অতাআ-লাইত, আস্তাগফিরুকা অ আতুবু ইলাইক।
অর্থঃ আমি একনিষ্ঠ হয়ে তার প্রতি মুখ ফিরিয়েছি যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই। তার কোন অংশী নেই। আমি এ সম্বন্ধেই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি আত্মসমর্পণকারীদের প্রথম। হে আল্লাহ! তুমিই বাদশাহ তুমি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করি। তুমি আমার প্রভু ও আমি তোমার দাস। আমি নিজের উপর অত্যাচার করেছি এবং আমি আমার অপরাধ স্বীকার করেছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত অপরাধ মার্জনা করে দাও, যেহেতু তুমি ছাড়া অন্য কেউ অপরাধ ক্ষমা করতে পারে না। সুন্দরতম চরিত্রের প্রতি আমাকে পথ দেখাও, যেহেতু তুমি ছাড়া অন্য কেউ সুন্দরতম চরিত্রের প্রতি পথ দেখাতে পারে না। মন্দ চরিত্রকে আমার নিকট হতে দূরে রাখ, যেহেতু তুমি ছাড়া অন্য কেউ মন্দ চরিত্রকে আমার নিকট থেকে দূর করতে পারে না। আমি তোমার আনুগত্যে হাজির এবং তোমার আজ্ঞা মানতে প্রস্তুত। যাবতীয় কল্যাণ তোমার হাতে এবং মন্দের সম্পর্ক তোমার প্রতি নয়। হিদায়াতপ্রাপ্ত সেই, যাকে তুমি হিদায়াত করেছ। আমি তোমার অনুগ্রহে আছি এবং তোমারই প্রতি আমার প্রত্যাবর্তন। তুমি বরকতময় ও মহিমময়, তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি। (মুঃ ১৫৩৪)
এই দুআটি ফরয ও নফল উভয় নামাযে পড়া চলে। (সিফাতু সালাতিন্নাবী ৮৫পৃঃ)
৫। নিম্নের দুআগুলি তাহাজ্জুদের নামাযে পড়া উত্তম। ‘সুবহা-নাকা’ (২নং দুআ) পড়ে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ৩ বার এবং আল্লাহু আকবার কাবীরা’ ৩ বার পাঠ করবে। (আবু দাউদ)
৬।
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ ، وَقَوْلُكَ الْحَقُّ ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ ، وَالنَّارُ حَقٌّ ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ ، وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ ، وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ ، وَبِكَ آمَنْتُ ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ ، وَبِكَ خَاصَمْتُ ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ وَلا إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু আন্তা নূরুস সামাওয়াতি অলআরযি অমান ফীহিন্ন। অলাকাল হামদু আন্তা ক্বাইয়্যিমুস সামাওয়াতি অলআরযি অমান ফীহিন্ন। অলাকাল হামদু আন্তা মালিকুস সামাওয়া-তি অলআরযি অমান ফীহিন্ন। অলাকাল হামদু আন্তাল হাক্ক, অ ওয়া'দুকাল হাক্কু, অক্বাওলুকাল হাক্কু, অলিক্বা-উকা হাক্ব, অলজান্নাতু হাক্ক, অন্না-রু হক্ক, অসসা-আতু হাক্ক, অন্নাবিয়্যুনা হাক্ক, অমুহাম্মাদুন হাক্ক। আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু অ আলাইকা তাওয়াক্কালতু অবিকা আ-মানতু অইলাইকা আনাবতু, অবিকা খা-স্বামতু অ ইলাইকা হা-কামতু আন্তা রাব্বুনা অ ইলাইকাল মাসীর। ফাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী। আন্তাল মুকাদ্দিমু অআন্তাল মুআখ্খিরু আন্তা ইলা-হী লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা অলা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিক।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমারই যাবতীয় প্রশংসা। তুমি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং উভয়ের মধ্যে অবস্থিত সকল কিছুর জ্যোতি। তোমারই সমস্ত প্রশংসা, তুমি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও উভয়ের মধ্যে অবস্থিত সকল কিছুর নিয়ন্তা, তোমারই সমস্ত প্রশংসা। তুমি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও উভয়ের মধ্যে অবস্থিত সকল কিছুর অধিপতি। তোমারই সমস্ত প্রশংসা, তুমিই সত্য, তোমার প্রতিশ্রুতিই সত্য, তোমার কথাই সত্য, তোমার সাক্ষাৎ সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, কিয়ামত সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ (%) সত্য। হে আল্লাহ! আমি তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার উপরেই ভরসা করেছি, তোমার উপরেই ঈমান (বিশ্বাস) রেখেছি, তোমার দিকে অভিমুখী হয়েছি, তোমারই সাহায্যে বিতর্ক করেছি, তোমারই নিকট বিচার নিয়ে গেছি। তুমি আমাদের প্রতিপালক, তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তনস্থল। অতএব তুমি আমার পুর্বের, পরের, গুপ্ত, প্রকাশ্য এবং যা তুমি অধিক জান সে সব পাপকে মাফ করে দাও। তুমিই প্রথম, তুমিই শেষ। তুমি আমার উপাস্য, তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং তোমার তওফীক ছাড়া পাপ থেকে ফিরার ও সৎকাজ করার (নড়া-সার) সাধ্য নেই। (বুঃ ৩/৩, মুঃ ১/৫৩২)।
اللَّهُمَّ رَبَّ جَبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنْ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মা রাব্বা জিবরাঈলা অমীকা-ঈলা অ ইসরা-ফীল। ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি অলআরয্ব, আ-লিমাল গায়বি অশশাহাদাহ। আন্তা তাহকুমু বাইনা ইবাদিকা ফীমা কা-নূ ফীহি য়্যাখতালিফুন। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হক্কি বিইযনিক, ইন্নাকা তাহদী মান তাশা-উ ইলা সিরা-ত্বিম মুসতাক্বীম।
অর্থ হে আল্লাহ! হে জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের প্রভু! হে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা! হে দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা! তুমি তোমার বান্দাদের মাঝে মীমাংসা কর, যে বিষয়ে ওরা মতভেদ করে। যে বিষয়ে মতভেদ করা হয়েছে সে বিষয়ে তুমি আমাকে তোমার অনুগ্রহে সত্যের পথ দেখাও। নিশ্চয় তুমি যাকে ইচ্ছা সরল পথ দেখিয়ে থাক। (মুসলিম)
৮। আল্লাহু আকবার” ১০বার, আলহামদু লিল্লা-হ’ ১০বার, সুবহা-নাল্লাহ’ ১০বার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ১০বার, 'আস্তাগফিরুল্লাহ’ ১০বার, আল্লা-হুম্মাগফির লী অহদিনী অরযুক্নী অআফিনী’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, হেদায়াত কর, রুজি ও নিরাপত্তা দাও) ১০ বার, এবং আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনায্বযাইকি য়্যাউমাল হিসাব’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি হিসাবের দিনে সংকীর্ণতা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি) ১০ বার। (আহমাদ, আবূ দাউদ ৭৬৬)
৯। আল্লাহু আকবার’ ৩ বার। অতঃপর,
ذو الملكوت والجبروت والكبرياء والعظمة
উচ্চারণ- যুল মালাকূতি অলজাবারুতি অলকিবরিয়া-য়ি, অলআযামাহ।
অর্থ- (আল্লাহ) সার্বভৌমত্ব, প্রবলতা, গর্ব ও মাহাত্ম্যের অধিকারী। (আবু দাউদ)
উপরোক্ত যে কোন একটি দুআ পাঠ করে বলবে;
أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، مِنْ هَمْزِهِ، وَنَفْخِهِ، وَنَفْثِهِ
উচ্চারণ- আউযু বিল্লা-হিস সামীইল আলীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম, মিন হামযিহী অনাফখিহী অনাফসিহ।
অর্থ- আমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান থেকে তার প্ররোচনা ও ফুৎকার হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউ দারাকুতনী, তিরমিয় হাকেম)।
অতঃপর নামাযী ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ বলে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পাঠ করবে। সূরা ফাতিহার শেষে কিরাআত অনুযায়ী স্বশব্দে বা নিঃশব্দে আমীন (কবুল কর) বলবে।
সূরা কিয়ামার শেষ আয়াত, (أَلَيْسَ ذَلِكَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَى) (অর্থাৎ যিনি এত কিছু করেন তিনি কি মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম নন?) পড়লে জওয়াবে বলবে-سبحانك فبلى (সুবহা-নাকা ফাবালা), অর্থাৎ তুমি পবিত্র, অবশ্যই (তুমি সক্ষম)।
সূরা আ’লার প্রথম আয়াত, (سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى) অর্থাৎ তোমার প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ঘোষণা কর) পাঠ করলে জওয়াবে বলবে, سبحان ربى الأعلى (সুবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা। অর্থাৎ আমি আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি)। (আবু দাউদ)
সূরা রহমানের (فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ) (অর্থাৎ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নেয়ামতকে অস্বীকার কর?) আয়াতটি পাঠ করলে জওয়াবে বলবে, (لا بشئ من نعمك ربنا نكذب فلك الحمد) উচ্চারণঃ-লা বিশাইইম মিন নিআমিকা রাব্বানা নুকাযযিবু, ফালাকাল হামদ্।।
অর্থঃ- তোমার নিয়ামতসমুহের কোন কিছুকেই আমরা অস্বীকার করি না হে আমাদের প্রতিপালক! (তিরমিযী, সিঃ সহীহাহ ২১৫০নং)
১।
سبحان ربي العظيم
উচ্চারণঃ-সুবহা-না রাব্বিয়াল আযীম।
অর্থ- আমি আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি, ৩ অথবা ততোধিকবার পাঠ করতে হয়। (আবু দাউদ, মুঃ আহমাদ)
২।
سبحان ربي العظيم وبحمده
উচ্চারণঃ সুবহা-না রাব্বিয়াল আযীম অবিহামদিহ।
অর্থঃ আমি আমার মহান প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি। ৩ বার। (আবু দাউদ, আহমদ)
৩।
سبوح قدوس رب الملائكة والروح
উচ্চারণঃ- সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালাইকাতি অররূহ।
অর্থঃ অতি নিরঞ্জন, অসীম পবিত্র ফিরিশতামন্ডলী ও জিবরীলের প্রভু (আল্লাহ)।
৪।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي
উচ্চারণঃ-সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা অবিহামদিকা, আল্লা-হুম্মাগফিরলী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করি, হে আমাদের প্রভু! তুমি আমাকে মাফ কর। (বুখারী, মুসলিম)
৫।
اللهم لك ركعت و بك أمنت ولك أسلمت وعليك توكلت انت ربي خشع سمعي وبصري ودمي ولحمي وعظمي و عصبي لله رب العالمين
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা লাকা রাকা’তু অবিকা আ-মানতু অলাকা আসলামতু অ আলাইকা তাওয়াক্কালতু আন্তা রাব্বী, খাশাআ সাময়ী, অ বাস্বারী অ দামী অ লাহমী অ আযমী অ আস্বাবী লিল্লা-হি রাব্বিল আলামীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রুকু করলাম, তোমারই প্রতি বিশ্বাস রেখেছি, তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, তোমারই উপর ভরসা করেছি, তুমি আমার প্রভু। আমার কর্ণ, চক্ষু, রক্ত, মাংস, অস্থি ও ধমনী বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য বিনয়াবনত হল। (নাসাঈ)
৬।
سبحان ذي الجبروت والملكوت والكبرياء والعظمة
উচ্চারণঃ-সুবহা-না যিল জাবারূতি অল মালাকূতি অল কিবরিয়া-ই অল আযামাহ।
অর্থঃ আমি প্রবলতা, সার্বভৌমত্ব, গর্ব ও মাহাত্মের অধিকারী (আল্লাহর) পবিত্রতা ঘোষণা করি। এই দুআটি তাহাজ্জুদের নামাযের রুকুতে পঠনীয়। (আবু দাউদ, নাসাঈ)
১। (ربنا لك الحمد)অথবা (ربنا ولك الحمد) অথবা (اللهم ربنا ولك الحمد)
উচ্চারণঃ রাব্বানা লাকাল হামদ্, অথবা রাব্বানা অলাকাল হামদ্ অথবা “আল্লাহুম্মা রাব্বানা অলাকাল হামদ।”
অর্থ হে আমাদের প্রভু! তোমারই নিমিত্তে যাবতীয় প্রশংসা।
২।
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ (مباركاً عليه كما يحب ربنا ويرضى)
উচ্চারণঃ-রাব্বানা অলাকাল হামদু হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যেবান মুবা-রাকান ফীহ (মুবা-রাকান আলাইহি কামা য়ুহিব্বু রাব্বুনা অ য়্যারয্বা।)
অর্থঃ আমাদের প্রভু! তোমারই যাবতীয় প্রশংসা, অগণিত পবিত্রতা ও বর্কতময় প্রশংসা (যেমন আমাদের প্রতিপালক ভালবাসেন ও সন্তুষ্ট হন।) (বুখারী, আবু দাউদ)
৩।
ربَّنا لك الحمدُ، مِلْءَ السَّمواتِ ومِلْءَ الأرضِ، ومِلْءَ ما شِئْتَ مِن شيءٍ بعدُ
উচ্চারণঃ- রাব্বানা অলাকাল হামদু মিলআস সামা-ওয়া-তি অমিলআল আরয্বি অ মিলআ মা শি’তা মিন শাইয়িন বা'দ।
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! তোমারই নিমিত্তে যাবতীয় প্রশংসা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ভরে এবং এর পরেও তুমি যা চাও সেই বস্তু ভরে।
৪।
ربَّنا لك الحمدُ، مِلْءَ السَّمواتِ وَالأرضِ، ومِلْءَ ما شِئتَ مِن شيءٍ بعدُ أهلَ الثناءِ والمجدِ، أحقُّ ما قال العبد،ُ وكلُّنا لك عبدٌ، اللهمَّ لا مانعَ لِما أعطَيتَ، ولا مُعطيَ لِمَا منَعتَ، ولا ينفَعُ ذا الجَدِّ منك الجَدُّ
উচ্চারণঃ- রাব্বানা লাকাল হামদু মিলআস সামাওয়া-তি অল আরয্বি অমিলআ মা শি’তা মিন শাইয়িন বা’দ, আহলাস সানা-য়ি অলমাজদ। আহাক্কু মা ক্বা-লাল আব্দ, অকুল্লুনা লাকা আব্দ, আল্লা-হুম্মা লা মা-নিআ লিমা আ’ত্বাইতা অলা মুত্বিআ লিমা মানা’তা অলায়্যানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ।
অর্থঃ হে আমাদের প্রভু! তোমারই নিমিত্তে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী পূর্ণ এবং এর পরেও যা চাও তা পূর্ণ যাবতীয় প্রশংসা। হে প্রশংসা ও গৌরবের অধিকারী। বান্দার সব চেয়ে সত্যকথা --আর আমরা প্রত্যেকেই তোমার বান্দা, হে আল্লাহ! তুমি যা প্রদান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা প্রদান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোন উপকারে আসবে না। (মুঃ ৪৭৭)
৫।
لربى الحمد لربي الحمد
উচ্চারণঃ লিরাব্বিয়াল হামদু, লিরাব্বিয়াল হামদ।
অর্থঃ আমার প্রভুর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, আমার প্রভুর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা।
এই দু'আ টি তাহাজ্জুদের নামাযে বারবার পড়া উত্তম। (আবু দাউদ, নাসাঈ)
১। سبحان ربي الأعلى (সুবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা) অর্থঃ আমি আমার মহান প্রভুর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করি। ৩ বার বা ততোধিক বার। (আবু দাউদ, মুঃ আহমদ)
২। سبحان ربي الأعلى وبحمده উচ্চারণঃ- সুবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা অবিহামদিহ। অর্থ- আমি আমার মহান প্রভুর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করি। ৩ বার। (আবু দাউদ, মুঃ আহমদ, দারাকুত্বনী)
৩। রুকুর ৩নং তসবীহ।
৪। রুকুর ৪নং তসবীহ।
৫।
اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فَأَحْسَنَ صُورَتَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাততু অ বিকা আ-মানতু অ লাকা আলামতু অ আন্তা রাব্বী, সাজাদা অজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু অ স্বাউওয়ারাহু ফাআহসানা সুওয়ারাহু অশাক্কা সামআহু অবাস্বারাহু ফাতাবা রাকাল্লা-হু আহসানুল খালিক্বীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য সিজদাবনত, তোমাতেই বিশ্বাসী, তোমার নিকটেই আত্মসমর্পণকারী, তুমি আমার প্রভু। আমার মুখমণ্ডল তাঁর উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হল, যিনি তা সৃষ্টি করেছেন, ওর আকৃতি দান করেছেন এবং আকৃতি সুন্দর করেছেন। ওর চক্ষু ও কর্ণকে উদগত করেছেন। সুতরাং সুনিপুণ স্রষ্টা আল্লাহ কত মহান! (মুসলিম)
৬।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلانِيَتَهُ وَسِرَّهُ
উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মাগফিরলী যামবী কুল্লাহ, দিক্বাহু অজিল্লাহ, অ আউওয়ালাহু অ আ-খিরাহ, অ আলা-নিয়্যাতাহু অসিল্লাহ।
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি আমার কম ও বেশী, পূর্বের ও পরের, প্রকাশিত ও গুপ্ত সকল প্রকার গোনাহকে মাফ করে দাও। (মুসলিম)
৭।
سَجَدَ لَكَ سَوَادِي وَخَيَالِي وَآمَنَ بِكَ فُؤَادِي ، أَبُوءُ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ ، هَذِهِ يَدِي وَمَا جَنَيْتُ عَلَى نَفْسِي
উচ্চারণঃ- সাজাদা লাকা সাওয়া-দী অ খিয়ালী অ আ-মানা বিকা ফুআদী, আবুউ বিনি'মাতিকা আলাইয়্যা। হা-যী য়্যাদী অমা জানাইতু আলা নাফসী।
অর্থঃ আমার দেহ ও মন তোমার উদ্দেশ্যে সিজদাবনত, আমার হৃদয় তোমার উপর বিশ্বাসী। আমি আমার উপর তোমার অনুগ্রহ স্বীকার করছি। এটা আমার নিজের উপর অত্যাচারের সাথে (তোমার জন্য) আমার আনুগত্য। (হাকেম, বাযযার, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১২৮)।
৮। তাহাজ্জুদের নামাযের সিজদায় নিমের দুআগুলি পাঠ করা উত্তম।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ
উচ্চারণঃ সুবহা-কাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত।
অর্থ- হে আল্লাহ! আমি তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করি, তুমি ছাড়া অন্য কোন সত্য মাবুদ নেই। (মুসলিম)
৯। রুকুর ৬নং তসবীহ।
১০।
اللهم اغفر لي ما أسررت وما أعلنت
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা আসরারতু অমা আ’লানতু।
অর্থ- হে আল্লাহ! আমার অপ্রকাশ্য ও প্রকাশ্য পাপসমূহ ক্ষমা করে দাও। (নাসাঈ, হাকেম)।
১১।
اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي لِسَانِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَمِنْ فَوْقِي نُورًا وَمِنْ تَحْتِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ شِمَالِىْ نُورًا وَمِنْ بَيْنِ يَدَىَّ نُورًا وَمِنْ خَلْفِي نُورًا وَاجْعَلْ فِي نَفْسِىْ نُورًا وَأَعْظِمْ لِي نُورًا
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মাজআল ফী কালবী নুরউ অফী লিসানী নুরীউ অফী সাময়ী নুরউ অফী বাস্বারী নুরউ অমিন ফাউক্বী নূরাউ অমিন তাহতী নূরাঁউ অ আঁই য়্যামীনী নূরউ অ আন শিমা-লী নূরউ অমিন বাইনি য়্যাদাইয়্যা নূরউ অমিন খালফী নুরাউ অজআল ফী নাফসী নুরাউ অ আ'যিম লী নুরা।
অর্থ-হে আল্লাহ! আমার হৃদয় ও রসনায় কর্ণ ও চক্ষুতে, ঊর্ধ্বে ও নিম্নে, ডাইনে ও বামে, সম্মুখে ও পশ্চাতে জ্যোতি প্রদান কর। আমার আত্মায় জ্যোতি দাও এবং আমাকে অধিক অধিক নূর দান কর। (মুসলিম ৭৬৩)
১২।
اللهُمَّ إنِّيْ أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযু বিরিয্বা-কা মিন সাখাত্বিক, অবিমুআফা-তিকা মিন উক্বূবাতিক, অ আউযু বিকা মিনকা লা উহসী সানা-আন আলাইকা আন্তা কামা আসনাইতা আলা নাফসিক।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার সন্তুষ্টির অসীলায় তোমার ক্রোধ থেকে, তোমার ক্ষমাশীলতার অসীলায় তোমার শাস্তি থেকে এবং তোমার সত্তার অসীলায় তোমার আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি তোমার উপর তোমার প্রশংসা গুনে শেষ করতে পারি না, যেমন তুমি নিজের প্রশংসা নিজে করেছ। (মুসলিম, ইবনে আবী শাইবাহ)
১।
اللهم اغفر لي وارحمني (واجبرني وارفعني) واهدني وعافني وارزقني
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী (অজবুরনী অরফা’নী) অহদিনী অ আফিনী অরযুকনী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, (আমার প্রয়োজন মিটাও, আমাকে উচু কর), পথ দেখাও, নিরাপত্তা দাও এবং জীবিকা দান কর। (সহীহ তিরমিযী ১৯০, সহীহ ইবনে মাজাহ ১/১৪৮, আবু দাউদ, হাকেম)।
২। (رَبِّ اغْفِرْ لِي ، رَبِّ اغْفِرْ لِي) (রাব্বিগফিরলী, রাব্বিগফিরলী)
অর্থ- হে আমার প্রভু! আমাকে ক্ষমা কর, হে আমার প্রভু! আমাকে ক্ষমা কর। (আবু দাউদ ১/২৩১, সহীহ ইবনে মাজাহ ১/১৪৮)
১।
سَجَدَ وَجْهِيَ للَّذِي خَلَقَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وبَصَرَهُ، بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ
উচ্চারণ- সাজাদা অজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু অশাক্বক্কা সামআহু অবাস্বরাহু বিহাউলিহী অকুউওয়াতিহ।
অর্থঃ আমার মুখমণ্ডল তার জন্য সিজদাবনত হল যিনি ওকে সৃষ্টি করেছেন এবং স্বীয় শক্তি ও ক্ষমতায় ওর চক্ষু ও কর্ণকে উদগত করেছেন। (আদা, সঃতিঃ ৪৭ ৪ নং, আহমদ ৬/৩০)।
আবু দাউদের বর্ণনায় আছে, এই দুআ সিজদায় একাধিকবার পাঠ করতে হয়।
২।
اللهمَّ اكتُبْ لي بهـا عندك أجراً ، وضَــعْ عنـي بها وِزْرا ، واجعلهـا لي عندك ذُخْراً ، وتقبـَّـلْها مني كما تقَبــَّلـتَها مـــن عبدِك داود
উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মাকতুব লী বিহা ইনদাকা আজরা, অয্ব' আন্নী বিহা বিযরা, অজআলহা লী ইন্দাকা যুখরা, অতাক্বাব্বালহা মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতাহা মিন আবদিকা দাউদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! এর (সিজদার) বিনিময়ে তোমার নিকট আমার জন্য পুণ্য লিপিবদ্ধ কর, পাপ মােচন কর, তোমার নিকট এ আমার জন্য জমা রাখ এবং এ আমার নিকট হতে গ্রহণ কর যেমন তুমি তোমার বান্দা দাউদ (4) থেকে গ্রহণ করেছ। (সঃ তিঃ ৮৭নং হাকেম ১/২১৯, ইবনে মাজাহ ১০৫৩ নং)।
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণঃ- আত-তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি অস্স্বালা-ওয়া-তু অত্বত্বাইয়্যিবা-তু, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু অরাহমাতুল্লা-হি অবারাকাতুহ, আসসালামু আলাইনা অ আলা ইবাদিল্লা-হিস স্বা-লিহীন, আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অ আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অরাসুলুহ।
অর্থঃ মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক যাবতীয় ইবাদত আল্লাহর নিমিত্তে। হে নবী! আপনার উপর সালাম, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বর্কত বর্ষণ হােক। আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাগণের উপর সালাম বর্ষণ হোক। আমি সাক্ষি দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আরো সাক্ষি দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর দাস ও প্রেরিত রসূল। (বুঃ ১১/১৩, মুঃ ১/৩০ ১)
১।
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহীমা অ আলা আ-লি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিউ অ আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা আলা ইবরাহীমা অ আলা আ-লি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন তুমি ইব্রাহীম ও তার বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ ও তার বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ কর, যেমন তুমি ইব্রাহীম ও তার বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। (বুঃ ৬/৪০৮)
২।
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ অ আলা আওয়া-জিহী অ যুররিয়্যাতিহী কামা স্বাল্লাইতা আলা আ-লি ইবরাহীম, অ বা-রিক আলা মুহাম্মাদিউ অ আলা আযওয়া-জিহী অ যুররিয়্যাতিহী কামা বারাকতা আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ, তাঁর পত্নীগণ ও তার বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর যেমন তুমি ইব্রাহীমের বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। এবং তুমি মুহাম্মাদ, তাঁর পত্নীগণ ও তাঁর বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ কর যেমন তুমি ইব্রাহীমের বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। (বুঃ ৬/ ৪০৭, মুঃ ১/৩০৬)