গায়ের মাহরাম মহিলার প্রতি ইচ্ছাপূর্বক দৃষ্টিপাত করা

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ ٣٠﴾ [النور: ٣٠]

“হে নবী! আপনি মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিচু করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্য পবিত্রতম। নিশ্চয় তারা যা করবে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত আছেন”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩০]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«فَزِنَا العَيْنِ النَّظَر»

“চোখের যিনা দৃষ্টিপাত”।[1]

অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যে সব স্ত্রীলোককে দেখা হারাম করে দিয়েছেন তাদেরকে দেখা হল চোখের যিনা। তবে শর‘ঈ অনুমোদন রয়েছে এমন সব প্রয়োজনে তাদের প্রতি তাকানো যাবে এবং যতটুকু দেখা দরকার তা দেখা যাবে। যেমন, বিবাহের জন্য কনে দেখা ও ডাক্তার কর্তৃক রুগিনীকে দেখা নিষিদ্ধ নয়।

পুরুষদের ন্যায় মহিলারাও বেগানা পুরুষের পানে কুমতলবে তাকাতে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ﴾ [النور: ٣١]

“হে নবী! আপনি বিশ্বাসী নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নীচু রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান হিফাযত করে”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]

অনুরূপভাবে দাঁড়ি-গোফ বিহীন সুন্দর ও সুশ্রী বালকদের দিকে কুমতলবে তাকানোও হারাম।

তদ্রূপ পুরুষের সতর পুরুষের দেখা এবং নারীর সতর নারী কর্তৃক দেখাও হারাম। আর যে সতর দেখা জায়েয নেই তা স্পর্শ করাও জায়েয নেই। এমনকি কোনো আবরণ যোগে হলেও জায়েয নেই।কিছু লোক শয়তানী ফেরেবে পড়ে পত্র-পত্রিকা ও সিনেমার ছবি দেখে থাকে। তাদের দাবী, ‘এসব ছবির কোনো বাস্তবতা নেই। সুতরাং এগুলো দেখলে দোষ হবে না’। অথচ এগুলোর ক্ষতিকর এবং যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী প্রভাব খুবই স্পষ্ট।

>
[1] সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৮৬।
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে