الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على رسول الله خاتم النبيين، وعلى آله وصحبه ومن والاه إلى يوم الدين.

হামদ ও সালাত।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের উলামায়ে কিরামের সর্বসম্মত অভিমত হলো, আল্লাহ তা‘আলার উসীলা বা নৈকট্য তালাশ করা একটি শরী‘আত-অনুমোদিত বিষয়। তাদের এ মতের অনুকুলে আয়াতে কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের সুদৃঢ় প্রমাণও তারা পেশ করেছেন।

কিন্তু কুরআন-হাদীস ও উম্মতের গ্রহণযোগ্য পূর্বসূরীদের থেকে বর্ণিত উসীলা বা তাওয়াসসুলের পদ্ধতি অনুধাবন করতে কোনো কোনো মুসলিম সমস্যায় নিপতিত হয়েছেন। ফলে তারা ‘উসীলা’র এমনসব অর্থ গ্রহণ করেছেন, যার সঙ্গে ইসলামের মৌলিক নীতি ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমোদিত উসীলার কোনো সাযুজ্য নেই। তাদের ঐ ভ্রান্ত মতের পক্ষে কিছু বানোয়াট ও দুর্বল হাদীসও তারা প্রমাণ রূপে পেশ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ বরং এ সংক্রান্ত আয়াতে কুরআনীর অপব্যাখ্যার মাধ্যমে নিজেদের মত প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও করেছেন।

বলা বাহুল্য, কিতাব ও সুন্নাহ’র কোনো ভাষ্য অনুধাবনের বিষয়ে উম্মতের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে আমাদের কর্তব্য হলো, সে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণের ব্যাখ্যা, অভিমত ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করা। কারণ, তারা হলেন অহী অবতরণকালের সমসাময়িক বা নিকটতম সময়ের ব্যক্তিবর্গ। ‘খাইরুল কুরূন’ বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন:

«خير الناس قرنى ثم الذين يلونهم ثم الذين يلونهم»

“মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো আমার সমকালীন লোকজন, তারপর তাদের সন্নিকটবর্তী সময়ের লোকজন, তারপর তাদের নিকটবর্তী কালের লোকজন”।[1]

নফসের অনুসরণ মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। কাজেই আল্লাহ ও রাসূলে বিশ্বাসী সকলেরই নফসের অনুসরণ থেকে সতর্কতার সঙ্গে দূরে থেকে সঠিক পথ প্রাপ্তির জন্য পূণ্যবান পূর্বসুরীগণের অনুগমন ও অনুসরণ করা উচিৎ।স্বীকার করতেই হবে, আলোচ্য বিষয়টি খানিকটা জটিল। ফলে এ নিয়ে মত ও অভিমতেরও যেমন অভাব নেই, তেমনি পদস্খলিত বিদ‘আত ও নফসপূজারীদের সংখ্যাও কম নয়। তাই আল্লাহর ওপর ভরসা করে এ বিষয়ে কলম ধরেছি। আশা করি কুরআন ও হাদীসে অবতীর্ণ এতদ্বিষয়ের প্রমাণাদি একত্রিত করবো। আল্লাহ আমাকে উদ্দেশ্যে বিশুদ্ধতা ও সিদ্ধান্তে সরলতা দান করুন। নিশ্চয় তিনি দয়ালু দাতা।

>
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৫২
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে