শারহু মাসাইলিল জাহিলিয়্যাহ ৯৯. দুনিয়া নিয়েই আনন্দে থাকা শাইখ ড. ছলিহ ইবনে ফাওযান আল ফাওযান ১ টি

জাহিলদের অন্তরে দুনিয়াই বড় বিষয়। যেমন তারা বলে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَقَالُوا لَوْلا نُزِّلَ هَذَا الْقُرْآنُ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيمٍ

তারা বলল, ‘এ কুরআন কেন দু‘জনপদের মধ্যকার কোন মহান ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ করা হল না? (সূরা যুখরূফ ৪৩:৩১)।


ব্যাখ্যা: জাহিলী সমস্যা হলো জাহিলদের অন্তর পার্থিব মোহে আচ্ছন্ন। যার নিকট পার্থিব চাকচিক্যই প্রধান সে জাহিলদের কাছে সম্মানিত। আর যার নিকট দুনিয়া প্রিয় নয় সে তাদের কাছে অপমানিত ও অবহেলিত। রিসালাতের ব্যাপারেও তারা কুমন্তব্য করে বলে, তা কেবল ধনীদের মাঝে থাকাই আবশ্যক, গরীবদের মাঝে নয়। অথচ তা আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়।

আর তারা বলে, আল্লাহ তা‘আলা আবূ তালেবের ইয়াতিম ভাতিজা অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া রিসালাত দেয়ার মত আর কাউকে পেল না? আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(وَقَالُوا لَوْلا نُزِّلَ هَذَا الْقُرْآنُ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيمٍ) [الزخرف:31]

তারা বলল, ‘এই কুরআন কেন দু‘জনপদের মধ্যকার কোন মহান ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ করা হল না? (সূরা যুখরূফ ৪৩:৩১)।

মক্কা ও তায়েফ এ দু’শহর রিসালাতের জন্য উপযোগী। মক্কার ওয়ালীদ ইবনু মুগীরাহ অথবা তায়েফের হাবীব ইবনু আমর আছ-ছাক্বাফী এ দু’জনের কোন একজন রিসালাত পাওয়ার উপযুক্ত ছিল। জাহিলদের কারো মতে, তায়েফের উরওয়া ইবনে মাসউদ রিসালাতের উপযুক্ত ছিল। জাহিলরা বলতো, এ দু’জনের কোন একজন রিসালাত পাওয়ার উপযুক্ত ছিল। ইয়াতিম মুহাম্মাদ কে রিসালাত দেয়া হলো অথচ জাহিলদের নিকট সে রিসালাতের উপযুক্ত নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(أَهُمْ يَقْسِمُونَ رَحْمَتَ رَبِّكَ) [الزخرف: 32]

তারা কি তোমার রবের রহমত ভাগ-বন্টন করে? (সূরা যূখরূফ ৪৩:৩২)।

অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার ক্রিয়া-কর্মে তারা সম্পৃক্ত হতে চায়। আর আল্লাহ তা‘আলার রহমতকে তারা বন্টন করতে চায়। তাই আল্লাহ তা‘আলার বন্টন নীতিকে তারা বিশ্বাস করে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ) [الأنعام: 124]

আল্লাহ ভালো জানেন, তিনি কোথায় তাঁর রিসালাত অর্পণ করবেন (সূরা আন‘আম ৬:১২৪)।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে