যা বান্দার ভাগ্যে-নসীবে লিখা হয়নি, তা সে কখনই পাবে না আর যা বান্দার নসীবে লেখা আছে, তা কখনই বাদ পড়বে না।

ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

وَمَا أَخْطَأَ الْعَبْدَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَهُ، وَمَا أَصَابَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَهُ

‘‘যা বান্দার ভাগ্যে-নসীবে লিখা হয়নি, তা সে কখনই পাবে না আর যা বান্দার নসীবে লেখা আছে, তা কখনই বাদ পড়বে না।

....................................................

ব্যাখ্যা: ইতিপূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে যে, তাকদীরে যা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, তা হবেই। তা ঠেকানো অসম্ভব। কবি কতই না সুন্দর বলেছেন।

ما قضى الله كائن لا محاله... والشقي الجهول من لام حاله

আল্লাহ তা‘আলা যা ফয়ছালা করেছেন, তাতো হবেই, তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। হতভাগ্য মূর্খ হলো সেই ব্যক্তি, যে নিজের অবস্থাকে দোষারোপ করে। অন্য এক কবি বলেছেন,

اقنع بما ترزق يا ذا الفتى... فليس ينسى ربنا نمله

إن أقبل الدهر فقم قائما... وإن تولى مدبرا نم له

হে যুবক! তোমার জন্য যে রিযিক বণ্টন করা হয়েছে, তা নিয়ে তুমি সন্তুষ্ট থাকো। আমাদের রব একটি পীপড়াকেও খাওয়াতে ভুলেন না। মহাকাল যখন বিপদাপদ নিয়ে আসে, তখন তুমি তাতে দৃঢ়পদ থাকো। আর যখন তা চলে যায়, তখন নির্বিঘ্নে নিদ্রায় যাও।