إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آمَنُوا

নিশ্চয় আল্লাহ মু’মিনদেরকে (দুনিয়া ও আখেরাতের সকল ক্ষতি থেকে) রক্ষা করেন।” (২২-সূরা আল মু'মিনূনঃ আয়াত-৩৮)

এ আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে জ্ঞান দান করে আলোকপাত করছেন, আমাদেরকে সতর্ক করছেন এবং আমাদেরকে শুভ সংবাদ দিচ্ছেন। আল্লাহ মু’মিনদের থেকে তাদের ঈমান (বিশ্বাস) অনুপাতেই মন্দ বিষয় দূর করেন। কাফেরদের ক্ষতি, শয়তানের কুমন্ত্রণা তাদের নিজেদের পাপ ও অন্যদের ক্ষতি এসব কিছুকে আল্লাহ প্রকৃত মু’মিনদের থেকে ফিরিয়ে রাখেন। যখন তাদের উপর বিপদ আসে, তখন এর বোঝা তাদের থেকে হাল্কা হয়ে যাবে। প্রত্যেক মুমিনেরই এ ঐশী রক্ষণাবেক্ষণে (এলাহী হেফাজতে) অংশ আছে। তবুও প্রত্যেকের ঈমানের স্তর অনুপাতেই এটা বিভিন্ন রকম হয়; কেউবা কম পাবে, কেউবা বেশি।

ঈমানের একটি ফল এ যে এটা সংকটের সময় মু’মিনকে সান্ত্বনা দেয়।

وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ

“আর যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে (রাখে) আল্লাহ্ তার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করে দেবেন।” (৬৪-সূরা তাগাবুনঃ আয়াত-১১)

এ আয়াতে সেই সংকটাপন্ন মুমিনের কথা বুঝায়, যে জানে যে এ বিপদ আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে এবং এটা আল্লাহর পক্ষ থেকেই লিখিত ছিল। সে সন্তুষ্ট এবং তার জন্য যা পূর্বেই নির্ধারিত করে রাখা হয়েছে সে তার প্রতি তার ইচ্ছাকে সমপর্ণ করে। এভাবে সংকটের মারাত্মক আঘাত তার উপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ সে জানে যে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে এবং সে তার ধৈর্যের জন্য পুরষ্কৃত হবে।