‘আলমুসলিমূন’ পত্রিকায় বলা হয়েছে যে, ১৯৯০ সালে সারা বিশ্বে বিশ লক্ষ লোক হতাশায় ভুগেছে। হতাশা এমন এক রোগ যা মানব জাতির সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক ধ্বংস সাধন করে। এটা প্রাচ্যের লোক আর পশ্চিমা লোককে আলাদা করে দেখে না (অর্থাৎ তাদের বাছ-বিচার ছাড়াই সকলকে সমভাবেই কষ্ট দেয় ও ধ্বংস করে)। এটা ধনী ও দরিদ্র লোককেও আলাদা করে দেখে না। এটা এমন রোগ যা সব ধরনের লোককে আক্রমণ করে ... এবং কিছু কিছু লোককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়।

হতাশা, সম্পদ, সন্ত্রান্ত বংশ ও ক্ষমতাকে চিনে না ও এদেরকে ভয় করে না। যাই হোক, এটা মু’মিনদের থেকে দূরে থাকে। কতিপয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে বিশ কোটি লোক বর্তমানে হতাশায় ভুগছে। সম্প্রতি এক গবেষণার ফলে দেখা যায় যে, কমপক্ষে প্রতি দশজনে একজন জীবনে কোন না কোন সময়ে এই মারাত্মক রোগে ভুগেছে। বিপদ শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বর্তমানে তরুণরাও হতাশার প্রতি সংবেদনশীল। এমনকি গর্ভস্থ ভ্রণও ঝুঁকির সম্মুখীন; কেননা, হতাশা তার সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় হিসেবে গর্ভপাত ঘটাতে পারে।