‘যার অন্তর আল্লাহ তা‘আলার বড়ত্ব ও মহত্ত্বের চেতনায় পূর্ণ, তার পক্ষে স্রষ্টার বিরুদ্ধাচরণ করা অসম্ভব। কারণ এ মহান সত্তার বিরুদ্ধাচরণ আর অন্যদের আদেশ লঙ্ঘন সমান নয়। যে নিজকে চিনতে পেরেছে, নিজের প্রকৃত অবস্থা জানতে পেরেছে এবং প্রতিটি মুহূর্তে ও প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসে স্বীয় দৈন্যতা আর তাঁর প্রতি তীব্র মুখাপেক্ষিতার বাস্তবতা অনুধাবন করতে পেরেছে, তার পক্ষে সেই মহান সত্তার বিরুদ্ধাচরণ এবং তাঁর নির্দেশ লঙ্ঘন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। নিজের করুণ দশা আর রবের অসীম ক্ষমতার উপলব্ধিই তাকে যাবতীয় পাপাচার ও স্রষ্টার বিরুদ্ধাচরণ থেকে ফিরিয়ে রাখে। ফলে সে যেকোনো মূল্যে প্রভুর বিরুদ্ধাচরণ থেকে বেঁচে থাকতে সচেষ্ট হয়। শাস্তির সতর্কবাণীতে তার বিশ্বাস যত দৃঢ় হয়, শাস্তি থেকে বাঁচতে তার চেষ্টাও তত প্রাণান্তকর হয়।’[1]

-ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহ.

[1]. মাদারিজুস সালিকীন : ১/১৪৪-১৪৫।