অজ্ঞতার কারণে অনেক মুসলিম ‘কারামত’-কে ওলী হওয়ার মানদন্ড বলে মনে করেন। তারা ভাবেন যার কারামত নেই তিনি ওলী নন এবং যার কারামত যত বেশি তিনি তত বড় ওলী। ধারণাটি একেবারেই ভিত্তিহীন। ইমাম আবূ হানীফা (রাহ)-এর পূর্ববর্তী আলোচনা থেকে আমরা দেখেছি যে, এ উম্মাতের সবচেয়ে বড় ওলী সাহাবীগণ। অথচ সাহাবীগণ থেকে তেমন কোনো কারামত বর্ণিত হয় নি। তাবিয়ী, তাবি-তাবিয়ী ও চার ইমাম থেকেও তেমন কোনো কারামত বর্ণিত হয় নি। পক্ষান্তরে পরবর্তী যুগের অনেক বুজুর্গ থেকে অনেক বেশি কারামত বর্ণিত হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে ঈমান, তাকওয়া, ফরয ও নফল ইবাদত সদা-সর্বদা পালন, কুরআন ও সুন্নাহের সর্বাত্মক অনুসরণই ওলী হওয়ার প্রমাণ ও চিহ্ন। কোনো মুসলিম যদি কুরআন-সুন্নাহ অনুসারে সঠিক ঈমান সংরক্ষণ করেন, হারাম ও নিষেধ বর্জন করেন, ফরয দায়িত্বগুলো আদায় করেন এবং যথাসম্ভব বেশি বেশি নফল ইবাদত আদায় করেন তবে তিনি আল্লাহর ওলী। এ সকল বিষয়ে যিনি যতুটুকু অগ্রসর হবেন তিনি ততটুকু আল্লাহর নৈকট্য বা বেলায়াত অর্জন করবেন। কারামত বা অলৌকিক কর্ম বিলায়াতের প্রমাণ বা মানদন্ড নয়। তবে কোনো ওলীকে আল্লাহ কারামত দিতে পারেন।