কেউ বলেছেন: কোনো তাবে‘ঈ যদি বলেন: ‘এটা সুন্নত’ তাহলে মাওকুফ গণ্য হবে, মারফূ‘ নয়। কারণ, তাবে‘ঈ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ পাননি, তাই তার সুন্নত বলার অর্থ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত নয়, বরং সাহাবিদের সুন্নত, অতএব মাওকুফ।

কেউ বলেছেন: কোনো তাবে‘ঈ যদি বলেন: ‘এটা সুন্নত’ তাহলে হুকমান মারফূ‘ হবে। তাদের সুন্নত বলার অর্থ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত, তবে তাদের এ কথা এক হিসেবে মুরসাল ও অপর হিসেবে মুনকাতি‘, কারণ সনদে সাহাবির উল্লেখ নেই।মোদ্দাকথা: কোনো তাবে‘ঈর ‘এটা সুন্নত’ বলা যদি হুকমান মারফূ‘ মানি তাহলে মুরসাল, যা একপ্রকার দুর্বল হাদিস, কারণ সনদ মুত্তাসিল নয়, তাই তার সাথে মুরসাল হাদিসের ব্যাবহার করা হবে। আর তাবে‘ঈর ‘এটা সুন্নত’ বলা যদি মাওকুফ মানি তাহলে সাহাবির কথা বা কর্ম হয়। সাহাবির কথা বা কর্মের হুকুম ‘মাওকুফে’র বর্ণনায় আসছে।[1]

[1] ১৫-নং পঙক্তি দেখুন। যার সারাংশ: তিনটি শর্তে সাহাবির কথা বা কর্ম দলিল হয়: ১. সাহাবি যদি ফকিহ হন। ২. সাহাবির কথা যদি দলিল বিরোধী না হয়। ৩.  সাহাবির কথা যদি অপর সাহাবির কথার বিপরীত না হয়। এ তিনটি শর্তে সাহাবির কথা ও কর্ম দলিল হিসেবে গণ্য হবে। অতএব সাহাবি ফকিহ না হলে তার কথা দলিল নয়। আবার ফকিহ সাহাবির কথা দলিল বিরোধী হলে গ্রহণযোগ্য নয়, তখন দলিল গ্রহণযোগ্য। ফকিহ সাহাবির কথা যদি দলিল বিরোধী না হয়, তবে অপর সাহাবির কথার বিপরীত, তাহলে প্রাধান্য দেওয়ার দিকটি বিবেচনা করব। অতএব তাবেঈর কথা ‘এটা সুন্নত’ যদি মাওকুফ মানি, এ তিনটি শর্তের ভিত্তিতে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব।