২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আলী (রা), হারূন (আ)... একই মাটির

৫ম শতকের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিক আহমাদ ইবনু আলী খতীব বাগদাদী বলেন.. আবূ ইসহাক ইবরাহীম ইবনুল হুসাইন ইবনু দাঊদ আল-কাত্তান ৩১১ হিজরীতে তার ছাত্র মুহাম্মাদ ইবনু ইসামঈলকে বলেছেন। আবূ ইসহাক বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবনু খালাফ আল-মারওয়াযী বলেছেন, আমাদেরকে মূসা ইবনু ইবরাহীম আল-মারওয়াযী বলেছেন, আমাদেরকে ইমাম মূসা কাযিম বলেছেন, তিনি তাঁর পিতা ইমাম জা’ফর সাদিক থেকে, তিনি তাঁর পিতামহদের সূত্রে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ বলেন:

خُلِقْتُ أَنَا وَهَارُوْنُ بْنُ عِمْرَانَ وَيَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا وَعَلِيُّ بْنُ أَبِيْ طَالِبٍ مِنْ طِيْنَةٍ وَاحِدَةٍ

‘‘আমি, হারূন ইবনু ইমরান (আঃ), ইয়াহইয়া ইবনু যাকারিয়া (আঃ) ও আলী ইবনু আবূ তালিব একই কাদা থেকে সৃষ্ট।’’[1]

লক্ষ্য করুন, এ সনদে রাসূল-বংশের বড় বড় ইমামদের নাম রয়েছে। কিন্ত মুহাদ্দিসগণ একমত যে, হাদীসটি জাল কথা। এ সনদের দুজন রাবী: মুহাম্মাদ ইবনু খালাফ ও তার উস্তাদ মূসা ইবনু ইবরাহীম উভয়ই জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত। এ দুজনের একজন হাদীসটি বানিয়েছে। তবে জালিয়াতির ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধি বেশি ছিল উস্তাদ মূসার।[2]

[1] খতীব বাগদাদী, তারীখ বাগদাদ ৬/৫৮।

[2] ইবনুল জাওযী, আল-মাউদূ‘আত ১/২৫৩-২৫৪; যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৬/১৩৫; ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৫/১৫৭; সুয়ূতী, আল-লাআলী ১/৩২০; ইবনু আর্রাক, তানযীহ ১/৩৫১; শাওকানী, আল-ফাওয়াইদ ২/৪৩৩।