হাদীসের নামে জালিয়াতি ১. ওহী ও হাদীস ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি

হাদীস বলতে সাধারণত রাসূলুল্লাহ -এর কথা, কর্ম বা অনুমোদনকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞানের আলোকে রাসূলুল্লাহ () যা বলেছেন, করেছেন বা অনুমোদন করেছেন তাকে হাদীস বলা হয়।

মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় ‘‘যে কথা, কর্ম, অনুমোদন বা বিবরণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বলে প্রচার করা হয়েছে বা দাবী করা হয়েছে’’ তাই ‘‘হাদীস’’ বলে পরিচিত। এছাড়া সাহাবীগণ ও তাবিয়ীগণের কথা, কর্ম ও অনুমোদনকেও হাদীস বলা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কর্ম, কথা বা অনুমোদন হিসেবে বর্ণিত হাদীসকে ‘‘মারফূ’ হাদীস’’ বলা হয। সাহাবীগণের কর্ম, কথা বা অনুমোদন হিসেবে বর্ণিত হাদীসকে ‘‘মাউকূফ হাদীস’’ বলা হয়। আর তাবিয়ীগণের কর্ম, কথা বা অনুমোদন হিসেবে বর্ণিত হাদীসকে ‘‘মাকতূ’ হাদীস’’ বলা হয়।[1]

লক্ষণীয় যে, যে কথা, কাজ, অনুমোদন বা বর্ণনা রাসূলুল্লাহ ()-এর বলে দাবী করা হয়েছে বা বলা হয়েছে একেই মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় ‘হাদীস’ বলে গণ্য করা হয়। তা সত্যই রাসূলুল্লাহর () কথা কিনা তা যাচাই করে নির্ভরতার ভিত্তিতে মুহাদ্দিসগণ হাদীসের বিভিন্ন প্রকারে ও পর্যায়ে বিভক্ত করেছেন। আমরা পরবর্তী আলোচনায় সেগুলো ব্যাখ্যা করব, ইনশা আল্লাহ।

[1] ইরাকী, যাইনুদ্দীন আব্দুর রাহীম ইবনুল হুসাইন (৮০৬হি), আত-তাকয়ীদ ওয়াল ঈদাহ, পৃ: ৬৬-৭০; ফাতহুল মুগীস, পৃ: ৫২-৬৩; সাখাবী, মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রাহমান (৯০২হি), ফাতহুল মুগীস ১/৮-৯, ১১৭-১৫৫; সুয়ূতী, জালালুদ্দীন আব্দুর রাহমান ইবনু আবী বাকর (৯১১হি), তাদরীবুর রাবী ১/১৮৩-১৯৪।