হাদীসের নামে জালিয়াতি ১. ওহী ও হাদীস ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি

কুরআন কারীমে বারংবার বলা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ তাঁর মহান রাসূলকে () দুটি বিষয় প্রদান করেছেন: একটি ‘কিতাব’ বা ‘পুস্তক’ এবং দ্বিতীয়টি ‘হিকমাহ’ বা ‘প্রজ্ঞা’।[1] এ পুস্তক বা ‘কিতাব’ হলো কুরআন কারীম, যা হুবহু ওহীর শব্দে ও বাক্যে সংকলিত হয়েছে। আর ‘হিকমাহ’ বা প্রজ্ঞা হলো ওহীর মাধ্যমে প্রদত্ত অতিরিক্ত প্রায়োগিক জ্ঞান যা ‘হাদীস’ নামে সংকলিত হয়েছে। কাজেই ইসলামে ওহী দুই প্রকার: কুরআন ও হাদীস। ইসলামের এ দুই মূল উৎসকে রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ওহীর জ্ঞানকে হুবহু নির্ভেজালভাবে সংরক্ষণের জন্য একদিকে কুরআন ও হাদীসকে হুবহু শাব্দিকভাবে মুখস্থ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত নয় এমন কোনো কথাকে মহান আল্লাহ বা তাঁর রাসূল ()-এর নামে বলতে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

[1] সূরা (২) বাকারা: ১২৯, ১৫১, ২৩১; সূরা (৩) আল-ইমরান: ১৬৪, সূরা (৪) নিসা: ১১৩; সূরা (৩৩) আহযাব: ৩৪; সূরা (৬২) জুমুআহ: ২ আয়াত।