১। পানিতে নামা, ডুব দেয়া ও সাঁতার কাটা

রোযা অবস্থায় যা বৈধ

কিছু কাজ আছে, যা রোযা অবস্থায় করা বৈধ নয় বলে অনেকের মনে হতে পারে, অথচ তা রোযাদারের জন্য করা বৈধ। সেই ধরনের কিছু কাজের কথা নিম্নে আলোচনা করা হচ্ছেঃ-

১। পানিতে নামা, ডুব দেয়া ও সাঁতার কাটা

রোযাদারের জন্য পানিতে নামা, ডুব দেওয়া ও সাঁতার কাটা, একাধিক বার গোসল করা, এসির হাওয়াতে বসা এবং কাপড় ভিজিয়ে গায়ে-মাথায় জড়ানো বৈধ। যেমন পিপাসা ও গরমের তাড়নায় মাথায় পানি ঢালা, বরফ বা আইসক্রিম চাপানো দোষাবহ নয়।[1]

মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রোযা রেখে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর অপবিত্র অবস্থায় ফজর হত। অতঃপর তিনি গোসল করতেন।[2]

আবূ বাক্র বিন আব্দুর রহমান নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর কিছু সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সাহাবী) বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-কে দেখেছি, তিনি রোযা রেখে পিপাসা অথবা গরমের কারণে নিজ মাথায় পানি ঢেলেছেন।[3]

রোযা রাখা অবস্থায় ইবনে উমার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিজের দেহের উপর রেখেছেন।[4]

অবশ্য সাঁতার কেটে খেলা করা মকরূহ। কারণ, তাতে রোযা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই। কিন্তু যার কাজই হল ডুবরীর অথবা প্রয়োজনের তাকীদে পানিতে বারবার ডুব দিতে হয়, সে ব্যক্তি পেটে পানি পৌঁছনো থেকে সাবধান থাকতে পারলে তার রোযার কোন ক্ষতি হবে না।[5]

[1] (ফুসূলুন ফিস্-সিয়ামি অত্-তারাবীহি অয্-যাকাহ ১৬পৃঃ, তাযকীরু ইবাদির রাহমান, ফীমা অরাদা বিসিয়ামি শাহরি রামাযান ৪৬পৃঃ, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৩০, ফাসিঃ ৪৭পৃঃ, সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ৫৮নং)

[2] (বুখারী ১৯২৫, মুসলিম ১১০৯নং)

[3] (আহমাদ ৩/৪৭৫, আবূ দাউদ ২৩৬৫নং, মালেক, মুঅত্তা)

[4] (ইবনে আবী শাইবাহঃ ৯২১২নং)

[5] (৭০ মাসআলাহ ফিস্-সিয়ামঃ ৫৮নং)