ইহরাম বেঁধে মিনায় রওয়ানা হওয়া এবং সেখানেই রাত্রি যাপন করা।

১০০- হজ্জের ইহরাম বাঁধার আগে আমাদের করণীয় কাজ কী কী ?

গোসল করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া ও গায়ে সুগন্ধি মাখা। তবে কুরবানীকারীরা ১লা যিলহজ্জ থেকে কুরবানীর পূর্ব পর্যন্ত চুল-নখ কাটবেন না।

১০১- হজ্জের ইহরাম কোথা থেকে বাঁধতে হয়?

নিজ নিজ ঘর বা বাসস্থান থেকেই ইহরাম বাঁধবেন। মক্কায় অবস্থানকারীরাও নিজ নিজ ঘর থেকে ইহরাম বাঁধবেন। ইফরাদ ও কেরান হাজীগণ যারা আগে থেকেই ইহরাম পরা অবস্থায় আছেন, তাঁরা ইহরাম অবস্থায়ই থাকবেন। ইহরামের পোষাক পরার পর হজ্জের নিয়ত করে ফেলবেন।

১০২- কিভাবে হজ্জের নিয়ত করব? নিয়তের পর কি পড়তে হবে?

হজ্জের জন্য মনে মনে নিয়ত করবেন এবং মুখেও বলবেন لَبَّيْكَ حَجًّا অথবা বলবেন اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ حَجًّا শেষ হলে তালবিয়াহ পড়তে থাকবেন। তালবিয়াহ হলঃ

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَু لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ

অতঃপর দলে দলে মিনার উদ্দেশ্যে চলতে থাকবেন গাড়ীতে হোক বা পায়ে হেঁটে হোক।

সূর্যোদয়ের পর থেকে যুহরের নামাযের আগেই রওয়ানা দেয়া মুস্তাহাব। অর্থাৎ যুহরের নামাযের আগেই মিনায় চলে যাওয়া উত্তম।

১০৪- মিনাতে সালাতগুলো কিভাবে আদায় করতে হবে?

চার রাকআত বিশিষ্ট ফরয নামাযগুলো দু’রাকআত করে পড়তে হবে। এটাকে কসর করা বলা হয়। সে নামাযগুলো হলো যুহর, আসর ও এশা। হজ্জের সময় মিনা, আরাফা ও মুয্দালিফায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার ভিতরের ও বাইরের সকল লোককে নিয়ে এ সালাতগুলো কসর করে পড়েছিলেন, এটা সুন্নাত। এ ক্ষেত্রে তিনি মুকীম বা মুসাফিরের মধ্যে কোন পার্থক্য করেননি। অর্থাৎ মক্কার লোকদেরকেও চার রাকআত করে পড়তে বলেননি। (ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া ও ফাতাওয়া ইবনে বায) তবে মনে রাখতে হবে যে, ফজর ও মাগরিবের ফরয নামায অর্থাৎ দুই এবং তিন রাকআত বিশিষ্ট নামায কখনো কসর হয় না। মিনাতে প্রত্যেক সালাত ওয়াক্তমত আদায় করবেন, জমা করবেন না। অর্থাৎ যুহর-আসর একত্রে এবং মাগরিব-এশা একত্রে পড়বেন না। এমনকি মুসাফির হলেও না।

১০৫- আজকের দিনের মিনায় রাত্রিযাপনের হুকুম কি? মিনায় অবস্থান কতক্ষণ পর্যন্ত?

মিনায় আজকের রাত্রি যাপন মুস্তাহাব বা সুন্নাত। যেহেতু আগামীকাল আরাফার দিন, সেহেতু আজকের রাতকে বলা হয় ‘‘আরাফার রাত’’। এ রাতে সূর্য উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত মিনাতেই অবস্থান করা সুন্নাত।

১০৬- যদি কেউ অযু-গোসল ছাড়াই ইহরাম বেঁধে ফেলে তবে তার হুকুম কি?

ইহরাম জায়েয হবে। তবে সুন্নাত আমলের সাওয়াব পাবে না।

১০৭- ৮ই যিলহজ্জ অর্থাৎ তারভিয়ার দিন হাজীরা সাধারণত কি ধরনের ভুল করে থাকে?

(১) ৮ই যিলহজ্জ তারিখে ইহরাম বেঁধে তাওয়াফ ও সাঈ করে মিনায় রওয়ানা দেয় এবং দশ তারিখে তাওয়াফ করে আর সাঈ করে না। এটা ভুল। শুদ্ধ হলো ইহরাম বাঁধার পর তাওয়াফ ছাড়া মিনায় রওয়ানা দেবেন।

(২) কেউ কেউ সূর্যোদয়ের আগে মিনায় রওয়ানা দেয়। এটাও ভুল।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে