কারো পক্ষে কুরআন মুখস্থ কোন প্রকারে সম্ভব না হলে, অথবা ফরয হওয়ার পর তৎপর মুখস্থ করার সুযোগ না হলে সে মুখস্থ করার পূর্বের নামাযগুলোতে ক্বিরাআতের স্থানে ‘সুবহা-নাল্লাহ্‌, অলহামদু লিল্লা-হ্‌, অলা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌, অল্লা-হু আকবার, অলাহাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্‌’ বলবে। (আবূদাঊদ, সুনান ৮৩২ নং, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক, ত্বাবারানীরানী, মু’জাম, ইবনে হিব্বান, সহীহ, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩০৩নং)

আল্লাহর রসূল (ﷺ) নামায ভুলকারী সাহাবীকে বলেছিলেন, “অতঃপর যদি তোমার কুরআন মুখস্থ থাকে, তাহলে তা পাঠ কর। নচেৎ তাহ্‌মীদ (আলহামদু লিল্লা-হ্‌), তাকবীর (আল্লা-হু আকবার) ও তাহ্‌লীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌) পড়।” (আবূদাঊদ, সুনান ৮৬১ নং, তিরমিযী, সুনান)

সুতরাং কুরআন মুখস্থ হয় না বলে বা কুরআন মুখস্থ নেই বলে এই ওজরে নামায মাফ নয়। তাসবীহ্‌-তাহ্‌লীল পড়েও নামায পড়তে হবে এবং তার সাথে চেষ্টা থাকবে মহান আল্লাহর মহাবাণী মুখস্থ করার।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে