নবী মুবাশ্‌শির (ﷺ) নামাযে বহু প্রকার দুআ (প্রার্থনা) করতেন। এক এক সময়ে এক এক প্রকার দুআ তিনি পাঠ করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতেন। সাহাবাগণকে ‘তাহিয়্যাত’ শিখানোর পর বলেছিলেন, “এরপর তোমাদের মধ্যে যার যা ইচ্ছা ও পছন্দ সেই দুআ বেছে নিয়ে দুআ করা উচিৎ।” (বুখারী ৮৩৫, মুসলিম, মিশকাত ৯০৯নং) অবশ্য সেই দুআ অপেক্ষা আর কোন্‌ দুআ অধিকতর পছন্দনীয় হতে পারে, যা তিনি নিজে পড়েছেন বা অপরকে শিখিয়েছেন? তাঁর ঐ সকল দুআকে ‘দুআয়ে মাসূরাহ্‌’ বলা হয়, যা নিম্নরুপ:-

اَللّهًمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَ مِنَ الْمَغْرَمِ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল মা’সামি অ মিনাল মাগরাম।

অর্থ- হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পাপ ও ঋণ হতে পানাহ চাচ্ছি। (বুখারী, মুসলিম, প্রভৃতি, মিশকাত ৯৩৯নং)

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি মা আমিলতু অ মিন শার্রি মা লাম আ’মাল।

অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার কৃত (পাপের) অনিষ্ট হতে এবং অকৃত (পুন্যের) মন্দ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (নাসাঈ, সুনান ১৩০৬)

اَللّهُمَّ حَاسِبْنِيْ حِسَاباً يَسِيْراً।

উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মাহা-সিবনী হিসা-বাই য়্যাসীরা।

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি আমার সহ্‌জ হিসাব গ্রহণ করো। (আহমাদ, মুসনাদ ৬/৪৮,হাকেম, মুস্তাদরাক)

اَللّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ، أَحْيِنِيْ مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْراً لِّيْ وَتَوَفَّنِيْ إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْراً لِّيْ، اَللّهُمَّ وَ أَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، وَ أَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ وَالْعَدْلِ فِي الْغَضَبِ وَالرِّضى، وَ أَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنى، وَ أَسْأَلُكَ نَعِيْماً لاَّ يَبِيْدُ، وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لاَّ تَنْفَدُ وَلاَ تَنْقَطِعُ، وَ أَسْأَلُكَ الرِّضى بَعْدَ الْقَضَاءِ، وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلى وَجْهِكَ، وَالشَّوْقَ إِلى لِقَائِكَ، فِيْ غَيْرِ ضَرَّآءَ مُضِرَّةٍ، وَلاَ فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ، اَللّهُمَّ زَيِّنَّا بِزِيْنَةِ الإِيْمَانِ وَاجْعَلْناَ هُدَاةً مُهْتَدِيْنَ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা বিইলমিকাল গাইবা অক্বুদরাতিকা আলাল খালক্ব, আহ্‌য়িনী মা আলিমতালহায়্যাতা খাইরাল লী, অতাওয়াফফানী ইযা কা-নাতিল অফা-তু খাইরাল লী। আল্লা-হুম্মা অ আসআলুকা খাশয়্যাতাকা ফিল গাইবি অশশাহা-দাহ্‌। অ আসআলুকা কালিমাতালহা ক্বি অলআদলি ফিল গাযাবি অররিযা। অ আসআলুকাল ক্বাসদা ফিল ফাক্বরি অলগিনা। অ আসআলুকা নাঈমাল লা য়্যাবীদ। অ আসআলুকা ক্বুর্রাতা আইনিল লা তানফাদু অলা তানক্বাতি’। অ আসআলুকার রিযা বা’দাল ক্বাযা-ই, অ আসআলুকা বারদাল আইশি বা’দাল মাউত। অ আসআলুকা লাযযাতান নাযারি ইলা অজহিক, অশশাওক্বা ইলা লিক্বা-ইক, ফী গাইরি যার্রা-আ মুযির্রাহ্‌, অলা ফিতনাতিম মুযিল্লাহ্‌। আল্লা-হুম্মা যাইয়িন্না বিযীনাতিল ঈমান, অজ্‌আলনা হুদা-তাম মুহ্‌তাদ্বীন।

অর্থ- হে আল্লাহ! তোমার অদৃশ্যের জ্ঞানে এবং সৃষ্টির উপর শক্তিতে আমাকে জীবিত রাখ যতক্ষণ জীবনকে আমার জন্য কল্যাণকর জান এবং আমাকে মৃত্যু দাও যদি মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়। হে আল্লাহ আর আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে তোমার ভীতি চাই, ক্রোধ ও সন্তুষ্টিতে সত্য ও ন্যায্য কথা চাই, দারিদ্র ও ধনবত্তায় মধ্যবর্তিতা চাই, সেই সম্পদ চাই যা বিনাশ হয় না। সেই চক্ষুশীতলতা চাই যা নিঃশেষ ও বিচ্ছিন্ন হয় না। ভাগ্য-মীমাংসার পরে সন্তুষ্টি চাই, মৃত্যুর পরে জীবনের শীতলতা চাই, তোমার চেহারার প্রতি দর্শনের স্বাদ চাই, তোমার সাক্ষাতের প্রতি আকাঙ্খা চাই, বিনা কোন কষ্ট ও ক্ষতিতে, কোন ভ্রষ্টকারী ফিতনায়। হে আল্লাহ! আমাদেরকে ঈমানের সৌন্দর্যে সুন্দর কর এবং আমাদেরকে হেদায়াতকারী ও হেদায়াতপ্রাপ্ত কর। (নাসাঈ১৩০৮, আহমাদ৪/ ৩৬৪)

اَللّهُمَّ إِنِّييْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْماً كَثِيْراً وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসী রাঁ উঅলা য়্যাগ্‌ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা ফাগ্‌ফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা অরহামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রাহীম।

অর্থ- হে আল্লাহ! আমি নিজের উপর অনেক অত্যাচার করেছি এবং তুমি ভিন্ন অন্য কেহ্‌ গুনাহসমূহ মাফ করতে পারে না। অতএব তোমার তরফ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার উপর দয়া কর। নিশ্চয় তুমি মহা ক্ষমাশীল বড় দয়াবান। (বুখারী, মুসলিম)

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الشَّرِّ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ، وَأَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَّأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَأَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ مَا سَألَكَ عَبْدُكَ وَ رَسُوْلُكَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَكَ مِنْهُ عَبْدُكَ وَ رَسُوْلُكَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَ أَسْأَلُكَ مَا قَضَيْتَ لِيْ مِنْ أَمْرٍ أَنْ تَجْعَلَ عَاقِبَتَهُ لِيْ رُشْداً।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাইন্নীআসআলুকা মিনাল খাইরি কুল্লিহীআ’ জিলিহী অ আ-জিলিহী মা আলিমতু মিনহু অমা লাম আ’লাম। অ আউযু বিকা মিনাশ শার্রি কুল্লিহী আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহী মা আলিমতু মিনহু অমা লাম আ’লাম, অ আসআলুকাল জান্নাতা অমা ক্বার্রাবা ইলাইহা মিন ক্বাউলিন আউআমাল। অ আঊযু বিকা মিনান্না-রি অমা ক্বার্রাবা ইলাইহা মিন ক্বাউলিন আউআমাল। অ আসআলুকা মিনাল খাইরি মা সাআলাকা আব্‌দুকা অ রাসূলুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম। অ আঊযু বিকা মিন শার্রি মাসতাআ-যাকা মিনহু আব্‌দুকা অরাসূলুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম। অ আসআলুকা মা ক্বাযাইতা লী মিন আমরিন আন তাজ্‌আলা আ-ক্বিবাতাহু লী রুশ্‌দা।

অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার জানা ও অজানা, অবিলম্বিত ও বিলম্বিত সকল প্রকার কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং আমার জানা ও অজানা, অবিলম্বিত ও বিলম্বিত সকল প্রকার অকল্যাণ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তোমার নিকট জান্নাত এবং তার প্রতি নিকটবর্তীকারী কথা ও কাজ প্রার্থনা করছি, এবং জাহান্নাম ও তার প্রতি নিকটবর্তীকারী কথা ও কাজ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি তোমার নিকট সেই কল্যাণ ভিক্ষা করছি যা তোমার দাস ও রসূল মুহাম্মদ (ﷺ) তোমার নিকট চেয়েছিলেন। আর সেই অকল্যাণ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি যা থেকে তোমার দাস ও রসূল মুহাম্মদ (ﷺ) তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। যে বিষয় আমার উপর মীমাংসা করেছ তার পরিণাম যাতে মঙ্গলময় হয় তা আমি তোমার নিকট কামনা করছি। (মুসলিম, সহীহ আহমাদ ৬/১৩৪, ত্বায়ালিসী)

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা অ আঊযু বিকা মিনান্না-র।

অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট জান্নাত চাচ্ছি এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাঊদ, সহীহ ইবনে মাজাহ্‌ ২/৩২৮)

اَللّهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবা-দাক।

অর্থ:- হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে সেদিনকার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো। (মুসলিম, মিশকাত ৯৪৭নং)

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ يَا الله بِأَنَّكَ الْوَاحِدُ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ أَنْ تَغْفِرَ ليِْ ذُنُوِبْي إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইয়া-ল্লা-হু বিআন্নাকাল ওয়া-হিদুল আহাদুস স্বামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ অলাম ইউলাদ অলাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ, আন তাগ্‌ফিরা লী যুনূবী, ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রাহীম।

অর্থ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, হে এক, একক, ভরসাস্থল আল্লাহ! যিনি জনক নন জাতকও নন এবং যাঁর সমকক্ষ কেউনেই, তুমি আমার গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দাও, নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল দয়াবান।

এই দুআটি এক ব্যক্তি তাশাহ্‌হুদে পাঠ করেছিল। মহানবী (ﷺ) তা শুনে বললেন, “ওকে ক্ষমা করা হল, ওকে ক্ষমা করা হল।” (অর্থাৎ, আল্লাহ ওর দুআ কবুল করে নিয়েছেন।) (আবূদাঊদ, সুনান ৯৮৫নং, সহিহ,নাসাঈ, সুনান ১২৩৪নং, আহমাদ, মুসনাদ, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক)

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدُ، لاَ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيْعُ السَّموَاتِ وَالأَرْضِ،

يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ। إِنِّيْ أَسْاَلُكَ الْجَنَّةَ وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআ লু কা বিআন্না লাকালহাম্‌দ, লা ইলা-হা ইল্লা আন্তাল মান্না-নু বাদীউস সামা-ওয়া-তি অল আরয্ব, ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম, ইয়্যাহাই য়্যু ইয়া কায়্যূম। ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা অআঊযু বিকা মিনান্না-র।

অর্থ, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এই অসীলায় যে, সমস্ত প্রশংসা তোমারই, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। তুমি পরম অনুগ্রহদাতা, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আবিষ্কর্তা, হে মহিমাময় এবং মহানুভব, হে চিরঞ্জীব অবিনশ্বর! আমি তোমার নিকট বেহেশ্‌ত প্রার্থনা করছি এবং দোযখ থেকে পানাহ চাচ্ছি।

এক ব্যক্তি তাশাহ্‌হুদে এই দুআ পাঠ করছিল। তা শুনে নবী (ﷺ) সাহাবাগণকে বললেন, “তোমরা কি জান, ও কি (বাক্য) দিয়ে দুআ করল?” তাঁরা বললেন, ‘আল্লাহ এবং তাঁর রসূলই জানেন।’ তিনি বললেন, “সেই সত্তার কসম! যাঁরহাতে আমার প্রাণ আছে। ও তো আল্লাহর নিকট তাঁর ইসমে আ’যম (বৃহত্তম নাম) দ্বারা প্রার্থনা করেছে; যা দ্বারা দুআ করলে তিনি কবুল করেন ও যা দ্বারা তাঁর কাছে চাইলে তিনি দিয়ে থাকেন।” (আবূদাঊদ, সুনান ১৪৯৫, নাসাঈ, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ, ত্বাবারানীরানী, মু’জাম, প্রমুখ)

মুআয বলেন, একদা আল্লাহর রসূল (ﷺ) আমারহাত ধরে বললেন, “মুআয! আমি তোমাকে অবশ্যই ভালোবাসি।” আমি বললাম, আমিও আপনাকে ভালোবাসি, হে আল্লাহর রসূল! এরপর তিনি বললেন, “সুতরাং প্রত্যেক নামাযের পশ্চাতে তুমি এই দুআ বলতে ছেড়ো না,

اَللُّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা আইন্নী আলা যিক্‌রিকা অশুকরিকা অহুসনি ইবা-দাতিক।

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার যিক্‌র (স্মরণ), শুক্‌র (কৃতজ্ঞতা) এবং সুন্দর ইবাদত করতে সাহায্য দান কর। (আহমাদ, মুসনাদ ৫/২৪৪, ২৪৫, ২৪৭, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ১৩০২ নং)

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلى أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَ عَذَابِ الْقَبْرِ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল বুখলি অ আউযু বিকা মিনাল জুবনি অ আউযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল উমুরি অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতুদ্দুন্‌য়্যা অ আযা-বিল ক্বাব্‌র।

অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট কার্পণ্য ও ভীরুতা থেকে পানাহ চাচ্ছি, স্থবিরতার বয়সে কবলিত হওয়া থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আর দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। (বুখারী, মিশকাত ৯৬৪নং)

اللّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْر।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফির লী অতুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আন্তাত তাউওয়াবুল গাফূর।

অর্থ:- আল্লাহ গো! তুমি আমাকে ক্ষমা কর এবং আমার তওবা গ্রহণ কর। নিশ্চয় তুমি তওবাগ্রহণকারী, বড় ক্ষমাশীল।

এই দুআটি তিনি নামাযের শেষাংশে ১০০ বার পাঠ করতেন। (আহমাদ, মুসনাদ ৫/৩৭১, ইবনে আবী শাইবা, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৬০৩নং)

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল কুফরি অলফাক্বরি অআযা-বিল ক্বাবর।

অর্থ:- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট কুফরী, দারিদ্র ও কবরের আযাব থেকে পানাহ চাচ্ছি। (হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩৫, নাসাঈ, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ, তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ২৩৩পৃ:)

اَللّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ

أَعْلَمُ بِهِ مِنِّيْ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لآ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখখারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু অমা আসরাফতু অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী, আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অ আন্তাল মুআখখিরু লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত।

অর্থ - হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মার্জনা কর, যে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি, যা অতিরিক্ত করেছি এবং যা তুমি অধিক জান। তুমি আদি তুমিই অন্ত। তুমি ব্যতীত কেউসত্য উপাস্য নেই।

এই দুআটি সবার শেষে পাঠ করে তিনি সালাম ফিরতেন। (মুসলিম, সহীহ ৭৭১নং)