গম্বুজ ও মাজার নির্মাণ হারাম হওয়ার প্রমাণে ৬টি সহীহ হাদীস
প্রথম হাদীস: গম্বুজ নির্মাণকারীরা সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি:
আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, উম্মে হাবীবা ও উম্মে সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হাবাশায় একটি গির্জা দেখেছিলেন, সেখানে কিছু ছবি ছিল। তাঁরা সেই ব্যাপারটি নবী ﷺ-কে জানালেন। নবী ﷺ বললেন:
“নিশ্চয়ই তাদের মাঝে যখন কোনো নেক লোক মারা যেত, তখন তারা তার কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করত এবং সেখানে ছবি তৈরি করত। এরা আল্লাহর নিকট কিয়ামতের দিন সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি।”
[সহীহ বুখারী: ৪২৭]
দ্বিতীয় হাদীস: মাজারকে মসজিদে পরিণতকারীদের প্রতি আল্লাহর লা’নত:
আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর মৃত্যুর সময় অসুস্থ অবস্থায় বলেছিলেন:
“ইয়াহূদী ও নাছারাদের প্রতি আল্লাহর লা’নত, কারণ তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছিল।”
আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: “এই কারণেই নবী ﷺ-এর কবর প্রকাশ্যে করা হয়নি, কারণ আশঙ্কা ছিল এটি যেন মসজিদে পরিণত না হয়।”
[সহীহ বুখারী: ১৩৯০]
তৃতীয় হাদীস: কবরকে মসজিদ বানানোর স্পষ্ট নিষেধ:
জুন্দুব ইবনু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
আমি নবী ﷺ-কে মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে বলতে শুনেছি: “জেনে রাখো, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবী ও সৎ ব্যক্তিদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছিল। তোমরা কবরকে মসজিদে পরিণত করো না। আমি তোমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করছি।”
[সহীহ মুসলিম: ৫৩২]
চতুর্থ হাদীস: শাসকের দায়িত্ব — মাজারসমূহ ভেঙে সমান করে ফেলা।
আবু হাইয়্যাজ আল-আসাদী বলেন,
আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বললেন, “আমি কি তোমাকে সেই কাজের জন্য প্রেরণ করব না, যেই কাজের জন্য রসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে পাঠিয়েছিলেন?
তা হলো — কোনো মূর্তি দেখলে তা ভেঙে ফেলবে, আর কোনো উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দেবে।”
[সহীহ মুসলিম: ৯৬৯]
পঞ্চম হাদীস: কবরের উপর নির্মাণ করা নিষিদ্ধ:
জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
“রসূলুল্লাহ ﷺ নিষেধ করেছেন যে, কবর পাকা করা, তার উপর বসা বা তার উপর ভবন নির্মাণ করা।”
[সহীহ মুসলিম: ৯৭০]
ষষ্ঠ হাদীস: কবরকে মসজিদ বানানোদের বলা হয়েছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ:
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি: “মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো তারা, যাদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে, এবং যারা কবরকে মসজিদ বানাবে।”
[মুসনাদ আহমাদ: ৩৮৪৪]
আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও নিরাপত্তা চাই।