৭. ২. প্রেরিতগণ বিষয়ক অশোভন তথ্যাদি / ৭. ২. ১. যিহূদার চৌর্যবৃত্তি ও বিশ্বাসঘাতকতা

৭. ২. প্রেরিতগণ বিষয়ক অশোভন তথ্যাদি

খ্রিষ্টধর্মীয় বিশ্বাসে যীশুর প্রেরিত বা সাহাবীরা নবী ছিলেন। কিন্তু নতুন নিয়মে তাঁদের বিষয়ে অনেক অশোভন কথা লেখা হয়েছে। কয়েকটা নমুনা দেখুন।

৭. ২. ১. যিহূদার চৌর্যবৃত্তি ও বিশ্বাসঘাতকতা

যীশুর বার জন প্রেরিত বা সাহাবীর একজন ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা/ এহুদা (Judas Iscariot)। যীশু তাঁকেও মৃতকে জীবিত করা-সহ সকল প্রকার অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেন: ‘‘পরে তিনি তাঁর বারো জন সাহাবীকে কাছে ডেকে তাঁদেরকে নাপাক-রূহদের উপরে ক্ষমতা দিলেন, যেন তাঁরা তাদেরকে ছাড়াতে এবং সমস্ত রকম রোগ ও অসুস্থতা থেকে সুস্থ্য করতে পারেন। ... তোমরা অসুস্থদেরকে সুস্থ করো, মৃতদেরকে উত্থাপন করো, কুষ্ঠ রোগীদেরকে পাক-পবিত্র করো, বদ-রূহে পাওয়া ব্যক্তি থেকে বদ-রূহ ছাড়াও...।’’ (মথি ১০/১-৮, মো.-১৩)

বিস্ময়কর বিষয় হলো, যীশুর সাহচর্যে থেকে এত অলৌকিক কর্ম দর্শন, যীশুর প্রেম ও উপদেশ গ্রহণ ও সকল অলৌকিক ক্ষমতা লাভের পরেও এ সাহাবীর মধ্যে কোনোরূপ ঈমানই আসে নি। এমনকি যীশুর প্রতি স্বাভাবিক আন্তরিকতা বা প্রেমও জন্ম নেয়নি। তিনি মাত্র ৩০টা রৌপ্যমুদ্রার বিনিময়ে যীশুকে ইহুদিদের হাতে সমর্পণ করেন। এরপর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। (মথি ২৬/১৪-১৬; ৪৭-৫০; ২৭/৩-৫) যোহন (১২/৪-৬)  লেখেছেন যে, যীশুর এ সাহাবী চোর ছিলেন। তাঁর নিকটে টাকার থলি থাকত আর তার মধ্যে যা রাখা হত সবই তিনি হরণ করতেন।