এখনেও দুটি শব্দ রয়েছে: ‘রাসূল’ ও ‘হূ’, অর্থাৎ তাঁর (আল্লাহর) রাসূল। আরবী ‘রাসূল’ (رَسُول) শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রেরিত, প্রেরণকৃত, দূত, প্রতিনিধি, বার্তাবাহক (Messenger, emissary, envoy, delegate, apostle) ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় রাসূল অর্থ আল্লাহর মনোনিত ও নির্বাচিত ব্যক্তি যাকে আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে তাঁর বাণী ও নির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং তা মানুষের কাছে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সকল মনোনিত মানুষকে আল্লাহ দুটি নামে আখ্যায়িত করেছেন ‘নবী’ ও ‘রাসূল’। উভয় শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ ও পার্থক্য আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে ‘আরকানুল ঈমান’-এর মধ্যে আলোচনা করব, ইনশা আল্লাহ।

এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে আল্লাহর রাসূল হিসেবে বিশ্বাসের সাক্ষ্য প্রদান করা ঈমানের ভিত্তি। কুরআন কারীমের অসংখ্য আয়াত ও অগণিত হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল এবং নবী। উভয় পদমর্যাদাই তাঁর জন্য প্রযোজ্য।

নবী-রাসূলগণের প্রেরণে উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা দেখব যে, নবী-রাসূলগণের প্রেরণ মানব জাতির প্রতি আল্লাহর প্রেম ও করুণার মহান নিদর্শন। আর এই করুণার সর্বশেষ প্রকাশ মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে রাসূল ও নবী হিসেবে প্রেরণ।

তাহলে আমরা দেখতে পাই যে, একজন মানুষকে মুসলিম হতে হলে তাকে তাওহীদের বিশ্বাসের সাথে সাথে সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করতে হবে এবং সাক্ষ্য দিতে হবে যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তিনি তাঁর মনোনিত ও নির্বাচিত বার্তাবাহক।