ঈমান-চোর শিক্ষা-ব্যবস্থাও যুবকের নৈতিকতার পথে এক শ্রেণীর কাটা-স্বরূপ। শিক্ষাঙ্গনে যুবক-যুবতীর অবাধ মিলামিশা, প্রেম-ভালোবাসা ও যৌন-স্বাধীনতা যুবক ছাত্রের চরিত্র হনন করে। ইসলাম-বিরোধী সিলেবাস ও পাঠ্য-পুস্তক যুবকের ঈমান ধ্বংস করে। মগজ-ধোলাই হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠ-ব্যাখ্যায়। মনের কোণে নাস্তিক্যবাদ দানা বেঁধে ওঠে। শিরায়উপশিরায় ইসলাম-বিতৃষ্ণা ও মুসলিম বিদ্বেষ প্রবাহমান হয়ে যায়। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। তবে ঐ জাতীয় শিক্ষার ফলে শিক্ষিত হওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু চরিত্রবাণ মুসলিম হওয়া যায় না। দুনিয়ার চাকা চালানো যায় বটে, কিন্তু আখেরাতের চাকা অচল হয়ে যায়।

হে যুবক বন্ধু আমার! শিক্ষা গ্রহণ করা ফরয; কিন্তু যে শিক্ষায় তোমার দ্বীন ও ঈমান লুটা যায় তা শিক্ষা করা হারাম। যে শিক্ষা না শিখলে তোমার পরকাল বরবাদ হয় সে শিক্ষা শিখাই তোমার জন্য ফরয, বাকী তো তোমার গরজ। জ্ঞান-বিজ্ঞানে তুমি সমৃদ্ধ হও, প্রযুক্তি ও প্রকৌশলে তুমি চির উন্নত হও, কিন্তু তা বলে তার পশ্চাতে সময় নেই’ এর ওজুহাতে ফরয শিক্ষা ত্যাগ করে বসে দুনিয়া আবাদ ও আখেরাত বরবাদ করে দিও না।

শিক্ষা লাভ করে যাও, চাকুরীর আশা থাক চাই না থাক। শিক্ষার মাঝে লুকিয়ে আছে তোমার সভ্যতা, তোমার উন্নতি। শিক্ষার মাধ্যমেই তুমি লাভ করবে উচ্চ আসন, পদমর্যাদা এবং অম্লান গৌরব। তবে হ্যা, স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা বহাল রেখে চল এবং ঈমান হারিয়ে দিও না এই কামনাই করি। দেশমাতার প্রশংসা কর, দেশের ভক্তি থাকুক তোমার হৃদয়ে। তবে জাতীয়তাবাদের অন্ধপক্ষপাতিত্ব যেন তোমার মাঝে না থাকে। পক্ষান্তরে মাথা নত কর একমাত্র আল্লাহর সম্মুখে, অন্য কিছুর সম্মুখে নয়। বন্দনা ও বন্দেগী কর কেবল তারই, অন্য কিছুর নয়। আর মনেপ্রাণে এ বিশ্বাস রেখে যে, ভাগ্যবিধাতা একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা, তার কোন সৃষ্টি নয়।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে