প্রশ্ন: শরীয়তে কোন আমল কখন বিদ‘আত বলে গণ্য হবে? বিদ‘আত প্রয়োগ কি শুধু ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে? নাকি ইবাদত এবং আদান-প্রদান তথা লেনদেনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য?

উত্তর: শরীয়তে বিদ‘আত হলো: প্রতিটি সেই ইবাদত, মানুষ নতুনভাবে যা আবিষ্কার করেছে, অথচ কুরআন ও হাদীসে এর কোনো অস্তিত্ব নেই এবং সুপথপ্রাপ্ত চার খলিফার আমলেও নেই।

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد» متفق على صحته

“যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনের মধ্যে নতুন কোনো জিনিস সৃষ্টি করবে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয় তা প্রত্যাখ্যাত।[1]

তিনি আরও বলেছেন :

«من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد» أخرجه مسلم في صحيحه

“যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করবে যা আমার শরিয়ত সমর্থন করে না তা প্রত্যাখ্যাত।”[2]

তিনি ইরবাদ ইবন সারিয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এর হাদীসে আরো বলেন:

«عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين من بعدي تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ وإياكم ومحدثات الأمور؛ فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة»

“তোমাদের উপর ওয়াজিব হলো: তোমরা আমার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা এবং আমার পর সুপথপ্রাপ্ত খলীফাদের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা, এবং তা দন্ত দ্বারা দৃঢ়তার সাথে ধারণ করা। আর তোমরা (দ্বীনে) নব রচিত কর্মসমূহ হতে সাবধান থাক! কেননা প্রতিটি নব রচিত কর্ম হচ্ছে বিদ‘আত এবং সকল বিদ‘আত হচ্ছে ভ্রষ্টতা।”[3] এ অর্থে আরও বহু হাদীস রয়েছে।আরবী ভাষায় বিদ‘আত প্রযোজ্য হয় প্রতিটি সেই নব আবিষ্কৃত জিনিসের উপর যার কোনো পূর্ব নমুনা নেই। কিন্তু তা (নব আবিষ্কৃত জিনিস) দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত না হলে এর সাথে নিষেধের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। পক্ষান্তরে লেনদেনের ক্ষেত্রে যা শরীয়ত সমর্থিত তা শর‘য়ী বন্ধন এবং যা এর পরিপন্থী তা বাতিল বন্ধন হিসাবে প্রযোজ্য, একে শরীয়তে বিদ‘আত বলা যাবে না, কারণ তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

>
[1] বুখারী ও মুসলিম।

[2] মুসলিম শরীফ হাদীস নং ১৭১৮।

[3] আহমাদ ১৬৬৯৫, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিযী ২৬৭৬ এবং ইবনে মাজাহ ৪২।
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে