আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করি:

«يَا رَسُولَ اللَّهِ، عَلَى النِّسَاءِ جِهَادٌ ؟ قَالَ: «نَعَمْ، عَلَيْهِنَّ جِهَادٌ لَا قِتَالَ فِيهِ، الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ».

“হে আল্লাহর রাসূল, নারীদের ওপর কি জিহাদ আছে? তিনি বললেন: হ্যাঁ, তাদের ওপর জিহাদ আছে, তাতে মারামারি নেই, হজ ও উমরা”[1]।[2]

>
[1] আহমদ, হাদীস নং ২৩৯৪১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৯০১; সহীহ ইবন খুযাইমাহ, হাদীস নং ২৮৭৭।

[2] শিক্ষণীয় বিষয়: ২ ও ৩ নং ফাতওয়ার বিষয় এক, দু’টি প্রশ্নই করেছেন আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা। ফাতওয়া দু’টি থেকে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়:

ক. জিহাদের মর্যাদা, সাওয়াব ও ফযীলত নারী-পুরুষ সবার নিকট প্রসিদ্ধ ছিল।

খ. ইসলামের প্রথম যুগে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সর্বোত্তম আমল ও ফযীলত লাভ করার ক্ষেত্রে আগ্রহী ছিল।

গ. ইসলাম তার অনুসারীদের উপর সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পণ করে না, নারীদের থেকে জিহাদ রহিত করা তার এক দৃষ্টান্ত।

ঘ. মুসলিমরা বীরের জাতি। জান্নাতের জন্য তাদের নারীরাও নিজেকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।

ঙ. মাবরুর হজ ফযীলতপূর্ণ ও নারীদের জন্য জিহাদ সমতুল্য। -অনুবাদক।