৬৭ : ১
تَبٰرَكَ الَّذِیۡ بِیَدِهِ الۡمُلۡكُ ۫ وَ هُوَ عَلٰی كُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرُۨ ۙ﴿۱﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১. বরকতময় তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব(১) যাঁর হাতে; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
(১) এখানে রাজত্ব বলে আকাশ ও পৃথিবী এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কর্তৃত্ব বোঝানো হয়েছে। [কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১) মহা মহিমান্বিত তিনি সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁর হাতে[1] এবং তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
[1] تَبَارَكَ শব্দটি بَرَكة থেকে এসেছে। এর শাব্দিক অর্থ হল বর্ধনশীল ও বেশী হওয়া। কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন, সৃষ্টিকুলের গুণাবলীর বহু ঊর্ধ্বে ও উচ্চে। تَفَاعل এর স্বীগা (আরবী ব্যাকরণ অনুযায়ী) অনেক ও আধিক্য বুঝাতে ব্যবহার হয়। ‘‘সর্বময় কর্তৃত্ব বা রাজত্ব যাঁর হাতে’’ অর্থাৎ, সব রকমের শক্তি এবং আধিপত্য তাঁরই। তিনি যেভাবে চান বিশ্বজাহান পরিচালনা করেন। তাঁর কাজে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। তিনি ভিখারীকে বাদশাহ, আর বাদশাহকে ভিখারী, ধনীকে গরীব এবং গরীবকে ধনী বানান। তাঁর কৌশল ও ইচ্ছায় কারো হস্তক্ষেপ চলে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ২
الَّذِیۡ خَلَقَ الۡمَوۡتَ وَ الۡحَیٰوۃَ لِیَبۡلُوَكُمۡ اَیُّكُمۡ اَحۡسَنُ عَمَلًا ؕ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡغَفُوۡرُ ۙ﴿۲﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২. যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? তিনি পর্যক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২) যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন তোমাদেরকে পরীক্ষা করবার জন্য; কে তোমাদের মধ্যে কর্মে সর্বোত্তম?[1] আর তিনি পরাক্রমশালী, বড় ক্ষমাশীল।
[1] روح (আত্মা) একটি এমন অদৃশ্যমান বস্তু যে, যে দেহের সাথে তার সম্পর্ক বহাল থাকে, তাকে জীবিত বলা হয়। আর যে দেহ হতে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়, তাকে মৃত্যুর শিকার হতে হয়। জীবনের পর রয়েছে মৃত্যু। আল্লাহ তাআলা ক্ষণস্থায়ী এই জীবনের ব্যবস্থা এই জন্য করেছেন, যাতে তিনি পরীক্ষা করতে পারেন যে, এই জীবনের সদ্ব্যবহার কে করে? যে এ জীবনকে ঈমান ও আনুগত্যের কাজে ব্যবহার করবে, তার জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান এবং যে এর অন্যথা করবে, তার জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ৩
الَّذِیۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰی فِیۡ خَلۡقِ الرَّحۡمٰنِ مِنۡ تَفٰوُتٍ ؕ فَارۡجِعِ الۡبَصَرَ ۙ هَلۡ تَرٰی مِنۡ فُطُوۡرٍ ﴿۳﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আসমান। রহমানের সৃষ্টিতে আপনি কোন খুঁত দেখতে পাবেন না; আপনি আবার তাকিয়ে দেখুন, কোন ত্রুটি দেখতে পান কি?(১)
(১) মূল ব্যবহৃত শব্দটি হলো فطور যার অর্থ ফাটল, ছিদ্র, ছেড়া, ভাঙা-চোরা। [কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) তিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবে না;[1] আবার তাকিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি?[2]
[1] অর্থাৎ, তাতে কোন অসামঞ্জস্য, কোন বক্রতা এবং কোন ত্রুটি ও খুঁত নেই। বরং তাকে একেবারে সোজা ও সমতল বানানো হয়েছে; যা এ কথা প্রমাণ করে যে, এ সবের সৃষ্টিকর্তা হলেন কেবল একজন, একাধিক নয়।
[2] কখনো কখনো এমন হয় যে, দ্বিতীয়বার ভালভাবে লক্ষ্য করলে কোন ঘাটতি বা দোষ-ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। তাই মহান আল্লাহ আহবান করছেন যে, তোমরা বারবার দৃষ্টিপাত করে দেখ, তাতে কোন ছিদ্র বা ফাটল পাও কি না?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ৪
ثُمَّ ارۡجِعِ الۡبَصَرَ كَرَّتَیۡنِ یَنۡقَلِبۡ اِلَیۡكَ الۡبَصَرُ خَاسِئًا وَّ هُوَ حَسِیۡرٌ ﴿۴﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. তারপর আপনি দ্বিতীয়বার দৃষ্টি ফেরান, সে দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে আপনার দিকে ফিরে আসবে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) অতঃপর তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। [1]
[1] এখানে আবার তাকীদ করার উদ্দেশ্য হল, নিজের মহাশক্তি এবং একত্বকে আরো বেশী স্পষ্ট করা।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ৫
وَ لَقَدۡ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡیَا بِمَصَابِیۡحَ وَ جَعَلۡنٰهَا رُجُوۡمًا لِّلشَّیٰطِیۡنِ وَ اَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابَ السَّعِیۡرِ ﴿۵﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. আর অবশ্যই আমরা নিকটবর্তী আসমানকে সুশোভিত করেছি প্ৰদীপমালা দ্বারা(১) এবং সেগুলোকে করেছি শায়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।
(১) مَصَابِيح শব্দের অর্থ প্রদীপমালা। এখানে নক্ষত্ররাজি বোঝানো হয়েছে। [বাগভী; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং ওগুলোকে করেছি শয়তানদের প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র স্বরূপ[1] এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি।
[1] এখানে নক্ষত্র সৃষ্টির দু’টি উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমতঃ আসমানের সৌন্দর্যবর্ধন। কেননা, তা প্রদীপের মত দীপ্তিমান সুন্দর দেখা যায়। দ্বিতীয়তঃ শয়তানদল যখন আসমানের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন একে উল্কারূপে তাদের উপর নিক্ষেপ করা হয়। এর তৃতীয় উদ্দেশ্য যেটাকে অন্যত্র বর্ণনা করা হয়েছে তা হল, তার দ্বারা সমুদ্রে ও স্থলে পথ ও দিক নির্ণয় করা হয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ৬
وَ لِلَّذِیۡنَ كَفَرُوۡا بِرَبِّهِمۡ عَذَابُ جَهَنَّمَ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۶﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. আর যারা তাদের রবকে অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি; এবং তা কত মন্দ ফিরে যাওয়ার স্থান!
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) আর যারা তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি, আর তা বড় নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল!
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ৭
اِذَاۤ اُلۡقُوۡا فِیۡهَا سَمِعُوۡا لَهَا شَهِیۡقًا وَّ هِیَ تَفُوۡرُ ۙ﴿۷﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৭. যখন তাদেরকে সেখানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা জাহান্নামের বিকট শব্দ শুনবে(১), আর তা হবে উদ্বেলিত।
(১) মূল ইবারতে شَهِيق শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যা গাধার ডাকের মত আওয়াজ বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এ বাক্যের অর্থ এও হতে পারে যে, এটা খোদ জাহান্নামের শব্দ। [ফাতহুল কাদীর, কুরতুবী] যেমন পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, “জাহান্নামের দিকে যাওয়ার পথে এসব লোক দূরে থেকেই তার ক্রোধ ও প্রচণ্ড উত্তেজনার শব্দ শুনতে পাবে।” [সূরা আল-ফুরকান: ১২] আবার এও হতে পারে যে, জাহান্নাম থেকে এ শব্দ আসতে থাকবে, ইতিমধ্যেই যেসব লোককে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছে তারা জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকবে। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে, এ জাহান্নামীরা জাহান্নামের মধ্যে হাঁপাতে, গোঙ্গাতে এবং হাসফাস করতে থাকবে।” [সূরা হূদ; ১০৬]
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) যখন তারা তাতে নিক্ষিপ্ত হবে, তখন জাহান্নামের গর্জন শুনবে, আর তা উদ্বেলিত হবে। [1]
[1] شَهِيْقٌ সেই শব্দকে বলা হয়, যা গাধার মুখ থেকে সর্বপ্রথম বের হয়। এটা বড়ই বিদঘুটে আওয়াজ। কিয়ামতের দিন জাহান্নামও গাধার মত চিৎকার করবে এবং আগুনের উপর রাখা ফুটন্ত হাঁড়ির মত উদ্বেলিত হতে থাকবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ৮
تَكَادُ تَمَیَّزُ مِنَ الۡغَیۡظِ ؕ كُلَّمَاۤ اُلۡقِیَ فِیۡهَا فَوۡجٌ سَاَلَهُمۡ خَزَنَتُهَاۤ اَلَمۡ یَاۡتِكُمۡ نَذِیۡرٌ ﴿۸﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. রোষে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে, যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তাদেরকে রক্ষীরা জিজ্ঞেস করবে, তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আসেনি?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) রোষে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে,[1] যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখনই তাদেরকে তার রক্ষীরা জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসেনি?’[2]
[1] ক্রোধে ও রাগে তার একাংশ অন্যাংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এ জাহান্নাম কাফেরদেরকে দেখে বড় ক্রোধান্বিত হবে। (ক্রোধান্বিত হওয়ার) এই অনুভূতি মহান আল্লাহ তার মধ্যে সৃষ্টি করে দেবেন। আর এ কাজ তাঁর জন্য কঠিন নয়।
[2] যার কারণে তোমাদেরকে আজ জাহান্নামের আস্বাদ গ্রহণ করতে হল?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ৯
قَالُوۡا بَلٰی قَدۡ جَآءَنَا نَذِیۡرٌ ۬ۙ فَكَذَّبۡنَا وَ قُلۡنَا مَا نَزَّلَ اللّٰهُ مِنۡ شَیۡءٍ ۚۖ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ كَبِیۡرٍ ﴿۹﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. তারা বলবে, হ্যাঁ, অবশ্যই আমাদের কাছে সতর্ককারী এসেছিল, তখন আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলাম, আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি, তোমরা তো মহাবিভ্রান্তিতে রয়েছ।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) তারা বলবে, ‘অবশ্যই আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল, কিন্তু আমরা তাদেরকে মিথ্যাবাদী গণ্য করেছিলাম এবং বলেছিলাম, আল্লাহ কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা তো মহা বিভ্রান্তিতে রয়েছ।’[1]
[1] অর্থাৎ, আমরা পয়গম্বরদেরকে সত্যজ্ঞান করার পরিবর্তে তাঁদেরকে মিথ্যাজ্ঞান করেছিলাম। আসমানী কিতাবসমূহকে একেবারে অস্বীকার করেছিলাম। এমনকি আল্লাহর পয়গম্বরদেরকে আমরা বলেছিলাম যে, তোমরা বড়ই ভ্রষ্টতার মধ্যে আছ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৬৭ : ১০
وَ قَالُوۡا لَوۡ كُنَّا نَسۡمَعُ اَوۡ نَعۡقِلُ مَا كُنَّا فِیۡۤ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ ﴿۱۰﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. আর তারা বলবে, যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসী হতাম না।(১)
(১) অর্থাৎ আমরা যদি সত্যানুসন্ধিৎসু হয়ে নবীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতাম অথবা নবীগণ আমাদের সামনে যা পেশ করেছেন তা আসলে কি বুদ্ধি-বিবেক খাটিয়ে তা বুঝার চেষ্টা করতাম। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ তাদের অপরাধের ব্যাপারে নিজেদের উপর দোষ স্বীকার করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত ফয়সালা করা হবে না।” [আবু দাউদ: ৪৩৪৭, মুসনাদে আহমাদ: ৫/২৯৩]
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) এবং তারা আরো বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা জ্ঞান করতাম, তাহলে আমরা জাহান্নামীদের দলভুক্ত হতাম না।’[1]
[1] অর্থাৎ, যদি আমরা মনোযোগ সহকারে তাঁদের কথা শুনতাম এবং তাঁদের উপদেশ গ্রহণ করতাম, অনুরূপ আল্লাহর দেওয়া বিবেক-বুদ্ধি দিয়েও যদি চিন্তা ও বুঝার চেষ্টা করতাম, তাহলে আজ আমরা জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান