৪৫ : ২
تَنۡزِیۡلُ الۡكِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الۡعَزِیۡزِ الۡحَكِیۡمِ ﴿۲﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
২. এ কিতাব মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহর কাছ থেকে নাযিলকৃত।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২) এ গ্রন্থ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৪৫ : ৩
اِنَّ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ لَاٰیٰتٍ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ؕ﴿۳﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৩. নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনে মুমিনদের জন্য রয়েছে বহু নিদর্শন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩) নিশ্চয় আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে বিশ্বাসীদের জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৪৫ : ৪
وَ فِیۡ خَلۡقِكُمۡ وَ مَا یَبُثُّ مِنۡ دَآبَّۃٍ اٰیٰتٌ لِّقَوۡمٍ یُّوۡقِنُوۡنَ ۙ﴿۴﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৪. আর তোমাদের সৃষ্টি এবং জীব-জন্তুর বিস্তারে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্য, যারা নিশ্চিত বিশ্বাস স্থাপন করে;
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪) তোমাদের সৃষ্টিতে এবং জীব-জন্তুর বংশবিস্তারে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে,
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৪৫ : ৫
وَ اخۡتِلَافِ الَّیۡلِ وَ النَّهَارِ وَ مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ رِّزۡقٍ فَاَحۡیَا بِهِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَا وَ تَصۡرِیۡفِ الرِّیٰحِ اٰیٰتٌ لِّقَوۡمٍ یَّعۡقِلُوۡنَ ﴿۵﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫. আর রাত ও দিনের পরিবর্তন এবং আল্লাহ্ আকাশ হতে যে রিযিক (পানি) বর্ষণ করেন, অতঃপর তিনি তা দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন তাতে এবং বায়ুর পরিবর্তনে অনেক নিদর্শন রয়েছে, এমন সম্প্রদায়ের জন্য যারা বোঝে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫) বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য রাত ও দিনের পরিবর্তনে, যে বৃষ্টি বর্ষণ দ্বারা পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর তিনি পুনর্জীবিত করেন তাতে[1] এবং বায়ুর পরিবর্তনে। [2]
[1] আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং মানুষ ও জীব-জন্তুর সৃষ্টিতে, দিবারাত্রির আগমন-প্রত্যাগমনে এবং আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে মৃত ভূমিকে পুনরায় জীবিত করে তোলা ইত্যাদি সহ সারা বিশ্বজাহানে এমন অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে, যা আল্লাহর একত্ব ও তাঁর প্রতিপালকত্বকে প্রমাণ করে।
[2] অর্থাৎ, কখনো হাওয়া উত্তর ও দক্ষিণমুখী হয়, কখনো পূর্ব ও পশ্চিমমুখী, কখনো সমুদ্রের হাওয়া আবার কখনো মরুর লু হাওয়া, কখনো হাওয়া রাতে চলে আবার কখনো দিনে, কোন হাওয়া বৃষ্টিবাহী, কোন হাওয়া ফলপ্রসূ, কোন হাওয়া আত্মার খোরাক (অক্সিজেন)। আবার কোন হাওয়া সব কিছুকে ঝলসে দেয়, কোন হাওয়া শুধু ধুলোবালির ঝড় বয়ে আনে। এত প্রকারের হাওয়াও প্রমাণ করে যে, এই বিশ্বজাহানের কেউ পরিচালক আছেন এবং তিনি একজনই। দু’জন বা তার অধিক নন। সমস্ত এখতিয়ারের মালিক তিনি একাই। এতে তাঁর কোন শরীক নেই। সর্বপ্রকার কর্তৃত্ব কেবল তাঁরই হাতে। অন্য কারো হাতে সামান্য পরিমাণও কিছুর এখতিয়ার নেই। এই অর্থেরই আয়াত হল সূরা বাক্বারার ১৬৪নং আয়াতটি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৪৫ : ৬
تِلۡكَ اٰیٰتُ اللّٰهِ نَتۡلُوۡهَا عَلَیۡكَ بِالۡحَقِّ ۚ فَبِاَیِّ حَدِیۡثٍۭ بَعۡدَ اللّٰهِ وَ اٰیٰتِهٖ یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬. এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমরা আপনার কাছে তিলাওয়াত করছি যথাযথভাবে। কাজেই আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতের পরে তারা আর কোন বাণীতে ঈমান আনবে?(১)
(১) অর্থাৎ আল্লাহর সত্ত্বা ও তার ইবাদতের ক্ষেত্রে “ওয়াহদানিয়াত” বা একত্বের সপক্ষে স্বয়ং আল্লাহর পেশকৃত এসব যুক্তি-প্রমাণ সামনে আসার পরও যখন এসব লোক ঈমান গ্ৰহণ করছে না। তখন এমন কি জিনিস আর আসতে পারে যার কারণে ঈমানের সম্পদ তাদের ভাগ্যে জুটবে? আল্লাহর কালামই তো সেই চূড়ান্ত বস্তু যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি এই নিয়ামত লাভ করতে পারে। আর একটি অদেখা সত্য সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস সৃষ্টির জন্য সর্বাধিক যুক্তি সঙ্গত যেসব দলীল-প্রমাণ পেশ করা সম্ভব তা এই পবিত্ৰ কালামে পেশ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ অস্বীকার করতেই বদ্ধপরিকর থাকে তাহলে করতে থাকুক। তার অস্বীকৃতির ফলে প্রকৃত সত্যের কোন পরিবর্তন হবে না [দেখুন: তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬) এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে আবৃত্তি করছি, সুতরাং আল্লাহর আয়াতের পরিবর্তে ওরা আর কোন্ বাণীতে বিশ্বাস করবে? [1]
[1] অর্থাৎ, আল্লাহর নাযিল করা এই কুরআন, যাতে রয়েছে তাঁর একত্ববাদের বহু প্রমাণাদি, যদি তারা এর উপরও ঈমান না আনে, তবে আল্লাহর কথাকে বাদ দিয়ে কার কথার উপর এবং তাঁর নিদর্শনাবলীকে ছেড়ে আর কোন্ এমন নিদর্শন আছে যার উপর তারা ঈমান আনবে? بَعْدَ اللهِ অর্থ, بَعْدَ حَدِيْثِ اللهِ وَبَعْدَ آيَاتِهِ এখানে কুরআনকে হাদীস আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যেমন, ﴿اللهُ نَزَّلَ أَحْسَنَ الْحَدِيْثِ﴾ (الزمر: ২৩) আয়াতে এসেছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৪৫ : ৭
وَیۡلٌ لِّكُلِّ اَفَّاكٍ اَثِیۡمٍ ۙ﴿۷﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৭. দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী পাপীর(১),
(১) কোন কোন বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, এই আয়াত নদর ইবনে হারেছ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, কোন কোন বর্ণনা থেকে হারেছ ইবন কালদাহ সম্পর্কে, আবার কোন এক বর্ণনা থেকে আবু জাহল ও তার সঙ্গীদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হওয়ার কথা জানা যায়। আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করার জন্য প্রকৃতপক্ষে কোন ব্যক্তি বিশেষকে নির্দিষ্ট করার প্রয়োজন নেই। كل শব্দ ব্যক্ত করছে যে, যে কেউ এসব বিশেষণে বিশেষিত, তার জন্যই দুর্ভোগ- একজন হোক অথবা তিন জন। [কুরতবী, বাগভী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, [1]
[1] أَفَّاكٍ অর্থ, كَذَّابٍ (চরম মিথ্যুক) আর أَثِيْمٍ অর্থ, বড় পাপী। وَيْلٌ মানে ধ্বংস অথবা জাহান্নামের একটি উপত্যকার নাম।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৪৫ : ৮
یَّسۡمَعُ اٰیٰتِ اللّٰهِ تُتۡلٰی عَلَیۡهِ ثُمَّ یُصِرُّ مُسۡتَكۡبِرًا كَاَنۡ لَّمۡ یَسۡمَعۡهَا ۚ فَبَشِّرۡهُ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿۸﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৮. সে আল্লাহর আয়াতসমূহ শোনে যা তার কাছে তিলাওয়াত করা হয়, তারপর সে ঔদ্ধত্যের সাথে অটল থাকে যেন সে তা শোনেনি। অতএব, আপনি তাকে সুসংবাদ দিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির;
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৮) যে আল্লাহর আয়াতের আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে; যেন সে তা শোনেইনি।[1] সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।
[1] অর্থাৎ, কুফরীর উপর অটল থাকে এবং সত্যের মোকাবেলায় নিজেদের জ্ঞানকে বড় মনে করে এবং এই অহংকারের কারণে শোনা সত্ত্বেও তারা এমন ভান করে, যেন শোনেইনি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৪৫ : ৯
وَ اِذَا عَلِمَ مِنۡ اٰیٰتِنَا شَیۡئَۨا اتَّخَذَهَا هُزُوًا ؕ اُولٰٓئِكَ لَهُمۡ عَذَابٌ مُّهِیۡنٌ ؕ﴿۹﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৯. আর যখন সে আমাদের কোন আয়াত অবগত হয়, তখন সে সেটাকে পরিহাসের পাত্র রূপে গ্ৰহণ করে। তাদেরই জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) যখন আমার কোন আয়াত সে অবগত হয়, তখন তা নিয়ে সে পরিহাস করে।[1] ওদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।
[1] অর্থাৎ, একে তো তারা কুরআনকে মন দিয়ে শোনেই না এবং (শোনার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও) যদি কোন কথা তাদের কানে পড়ে যায় অথবা কোন কথা তাদের জ্ঞানে এসে যায়, তবে সেটাকে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপের বিষয় বানিয়ে নেয়। আর এটা করে তাদের ছোট জ্ঞান ও অবুঝ হওয়ার কারণে অথবা কুফরী ও অবাধ্যতার উপর অটল থাকার কারণে অথবা অহংকারের কারণে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান৪৫ : ১০
مِنۡ وَّرَآئِهِمۡ جَهَنَّمُ ۚ وَ لَا یُغۡنِیۡ عَنۡهُمۡ مَّا كَسَبُوۡا شَیۡئًا وَّ لَا مَا اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اَوۡلِیَآءَ ۚ وَ لَهُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿ؕ۱۰﴾
-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
১০. তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম; তাদের কৃতকর্ম তাদের কোন কাজে আসবে না, তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে অভিভাবক স্থির করেছে ওরাও নয়। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১০) ওদের পশ্চাতে রয়েছে জাহান্নাম;[1] ওদের কৃতকর্ম ওদের কোন কাজে আসবে না [2] এবং ওরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে অভিভাবক স্থির করেছে, তারাও নয়।[3] আর ওদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।
[1] অর্থাৎ, যারা এই আচরণের মানুষ, তাদের জন্য কিয়ামতে রয়েছে জাহান্নাম।
[2] অর্থাৎ, দুনিয়াতে যে মাল তারা অর্জন করেছে, যে সন্তান-সন্ততি এবং দল-বলের জন্য তারা অহংকার প্রদর্শন করে থাকে, এ সব কিছুই কিয়ামতের দিন তাদের কোনই উপকারে আসবে না।
[3] যাদেরকে দুনিয়াতে নিজেদের আলিয়া, অভিভাবক, বন্ধু, সাহায্যকারী এবং উপাস্য বানিয়ে রেখেছিল, সেদিন তারা তাদের নজরেই পড়বে না। তারা সাহায্য আর কি করবে?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান