بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
সূরাঃ ৬৮/ আল-কলম | Al-Qalam | سورة القلم আয়াতঃ ৫২ মাক্কী
৬৮ : ৫১ وَ اِنۡ یَّكَادُ الَّذِیۡنَ كَفَرُوۡا لَیُزۡلِقُوۡنَكَ بِاَبۡصَارِهِمۡ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكۡرَ وَ یَقُوۡلُوۡنَ اِنَّهٗ لَمَجۡنُوۡنٌ ﴿ۘ۵۱﴾
و ان یكاد الذین كفروا لیزلقونك بابصارهم لما سمعوا الذكر و یقولون انهٗ لمجنون ﴿۵۱﴾
• আর কাফিররা যখন উপদেশবাণী শুনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়ে ফেলবে, আর তারা বলে, ‘এ তো এক পাগল’।

-আল-বায়ান

• কাফিররা যখন কুরআন শুনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়ে ফেলবে। আর তারা বলে, ‘‘সে তো অবশ্যই পাগল।’’

-তাইসিরুল

• কাফিরেরা যখন কুরআন শ্রবণ করে তখন তারা যেন উহাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়ে ফেলে দিবে এবং বলবে ‘‘এতো এক পাগল’’।

-মুজিবুর রহমান

• And indeed, those who disbelieve would almost make you slip with their eyes when they hear the message, and they say, "Indeed, he is mad."

-Sahih International

৫১. আর কাফিররা যখন কুরআন শোনে তখন তারা যেন তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা আপনাকে আছড়ে ফেলবে এবং বলে, এ তো এক পাগল।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫১) অবিশ্বাসীরা যখন উপদেশবাণী (কুরআন) শ্রবণ করে, তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছাড় দিয়ে ফেলে দেয়,[1] এবং বলে, ‘এ তো এক পাগল।’ [2]

[1] অর্থাৎ, যদি তোমার জন্য আল্লাহর প্রতিরোধ, প্রতিরক্ষা ও হিফাযত না হত, তাহলে কাফেরদের হিংসা দৃষ্টির কারণে তুমি বদ নজরের শিকার হয়ে পড়তে। অর্থাৎ, তাদের কুদৃষ্টি তোমাকে লেগে যেত। ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) এর এই অর্থই বলেছেন। তিনি আরো লিখেছেন যে, এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, বদনজর লেগে যাওয়া এবং আল্লাহর হুকুমে অন্যের উপর তার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া সত্য। যেমন, অনেক হাদীস থেকেও তা প্রমাণিত। যেমন অনেক হাদীসে এ থেকে বাঁচার জন্য দু’আও বর্ণিত হয়েছে। আর তাকীদ করে বলা হয়েছে যে, যখন তোমাদেরকে কোন জিনিস ভাল লাগবে, তখন ‘মা শা-আল্লাহ’ অথবা ‘বা-রাকাল্লাহ’ বলবে। যাতে সে জিনিসে যেন বদনজর না লাগে যায়। অনুরূপ কাউকে যদি কারো বদনজর লেগে যায়, তাহলে তাকে গোসল করিয়ে তার পানি ঐ ব্যক্তির উপর ঢালতে হবে, যাকে তার বদনজর লেগেছে। (বিস্তারিত জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ তফসীর ইবনে কাসীর এবং অন্যান্য হাদীস গ্রন্থ) কেউ কেউ বলেন, এর অর্থ হল, ওরা তোমাকে রিসালাতের প্রচার-প্রসার থেকে ফিরিয়ে দিত।

[2] অর্থাৎ, হিংসার কারণে এবং এই উদ্দেশ্যেও যাতে লোকেরা এই কুরআন দ্বারা প্রভাবিত না হয়; বরং এ থেকে দূরে থাকে। অর্থাৎ, চক্ষু দ্বারাও কাফেররা নবী (সাঃ)-এর ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করত, জিহ্বা দ্বারাও তাঁকে কষ্ট দিত এবং তাঁর অন্তরকে ব্যথিত করত।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৬৮ : ৫২ وَ مَا هُوَ اِلَّا ذِكۡرٌ لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۵۲﴾
و ما هو الا ذكر للعلمین ﴿۵۲﴾
• আর এ কুরআন তো সৃষ্টিকুলের জন্য শুধুই উপদেশবাণী।

-আল-বায়ান

• অথচ এ কুরআন বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ ছাড়া অন্য কিছুই নয়।

-তাইসিরুল

• কুরআনতো বিশ্ব জগতের জন্য উপদেশ।

-মুজিবুর রহমান

• But it is not except a reminder to the worlds.

-Sahih International

৫২. অথচ তা(১) তো কেবল সৃষ্টিকুলের জন্য উপদেশ।

(১) এখানে তা’ বলে অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে কুরআন বোঝানো হয়েছে। তবে কোন কোন মুফাসসির বলেন, এখানে ‘তা’ বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বোঝানো হয়েছে। অথচ দুটি অর্থই এখানে হতে পারে। কুরআন যেমন সমস্ত সৃষ্টিজগতের জন্য উপদেশ তেমনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সমস্ত সৃষ্টিজগতের জন্য উপদেশ ও সম্মানের পাত্র। [কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫২) অথচ তা তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশই। [1]

[1] যখন প্রকৃত ব্যাপার হল এই যে, এ কুরআন মানব-দানবের জন্য হিদায়াত ও পথপ্রদর্শক স্বরূপ এসেছে, তখন তাকে যে নিয়ে এসেছে এবং তার যে বর্ণনাকারী সে পাগল কিভাবে হতে পারে?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ ৫১ থেকে ৫২ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 5 6