-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫১. কাজেই তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহে মিথ্যারোপ করবে?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫১) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫২. উভয় উদ্যানে রয়েছে প্ৰত্যেক ফল দুই দুই প্রকার।(১)
(১) এখানে প্রথমোক্ত উদ্যানদ্বয়ের বিশেষণে (مِنْ كُلِّ فَاكِهَةٍ زَوْجَانِ) বলে ব্যক্ত করা হয়েছে যে, এগুলোতে সর্বপ্রকার ফল থাকবে। এর বিপরীতে শেষোক্ত উদ্যানদ্বয়ের বর্ণনায় শুধু فَاكِهَة বলা হয়েছে। زَوْجَان এর অর্থ এই যে, প্রত্যেক ফলের দুটি করে প্রকার হবে - শুষ্ক ও আর্দ্র। অথবা সাধারণ স্বাদযুক্ত ও অসাধারণ স্বাদযুক্ত। অথবা, উভয় বাগানের ফলই হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্টপূর্ণ। এক বাগানে গেলে গাছের শাখা প্রশাখায় প্রচুর ফল দেখতে পাবে। অপর বাগানে গেলে সেখানকার ফলের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন দেখতে পাবে। অথবা, এর প্রতিটি বাগানের এক প্রকারের ফল হবে তার পরিচিত। তার সাথে সে দুনিয়াতেও পরিচিত ছিল-যদিও তা স্বাদে দুনিয়ার ফল থেকে অনেক শ্রেষ্ঠ হবে। আর আরেক প্রকার ফল হবে বিরল ও অভিনব জাতের-দুনিয়ায় যা সে কোন সময় কল্পনাও করতে পারেনি। [দেখুন: ইবন কাসীর; কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫২) উভয় (বাগানে) রয়েছে প্রত্যেক ফল দুই প্রকার। [1]
[1] অর্থাৎ, স্বাদ ও মজার দিক দিয়ে প্রতিটি ফল হবে দুই প্রকার। আর তা হবে বিশেষ অনুগ্রহের অতিরিক্ত একটি চিত্র। কেউ কেউ বলেছেন, এক প্রকার হবে শুকনো ফলের এবং অপরটি হবে টাটকা ফলের মজা।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৩. কাজেই তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহে মিথ্যারোপ করবে?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৩) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৪. সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে এমন ফরাশে যার অভ্যন্তরভাগ হবে পুরু রেশমের। আর দুই উদ্যানের ফল হবে কাছাকাছি।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৪) সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায়,[1] দুই বাগানের ফল হবে তাদের নিকটবর্তী। [2]
[1] অর্থাৎ, উপরের কাপড়টা সর্বদাই (ভিতরে ব্যবহূত) আস্তরের তুলনায় উত্তম ও সুন্দর হয়। এখানে শুধু আস্তরের আলোচনা করা হয়েছে। তার মানে হল, উপরের কাপড়টা এর চাইতে আরো অনেক অনেক উত্তম হবে।
[2] ফল এত নিকটবর্তী হবে যে, বসে বসে এমন কি শুয়ে শুয়েও তা পাড়তে পারবে। {قُطُوْفُهَا دَانِيَةٌ} (الحاقة ২৩)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৫. কাজেই তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহে মিথ্যারোপ করবে?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৫) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৬. সেসবের মাঝে রয়েছে বহু আনত নয়না, যাদেরকে আগে কোন মানুষ অথবা জিন সম্পর্শ করেনি।(১)
(১) طمث শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর এক অর্থ হয়েযের রক্ত। যে নারীর হায়েয হয়, তাকে طامت বলা হয়। কুমারী বালিকার সাথে সহবাসকেও طمث বলা হয়। এখানে এই অর্থই বোঝানো হয়েছে। আয়াতের দ্বিবিধ অর্থ হতে পারে। (এক) যেসব নারী মানুষের জন্যে নির্ধারিত তাদেরকে ইতিপূর্বে কোন মানুষ এবং যেসব নারী জিনদের জন্য নির্ধারিত তাদেরকে ইতিপূর্বে কোন জিন স্পর্শ করেনি। (দুই) দুনিয়াতে যেমন মাঝে মাঝে মানব নারীদের উপর জিন ভর করে বসে, জান্নাতে এরূপ কোন সম্ভাবনা নেই। [কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর; ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৬) সে সবের মাঝে রয়েছে বহু আনত নয়না;[1] যাদেরকে তাদের পূর্বে কোন মানুষ অথবা জ্বিন স্পর্শ করেনি। [2]
[1] যাদের চোখের দৃষ্টি তাদের নিজ নিজ স্বামী ছাড়া অন্য কারো উপর পড়বে না এবং তাদেরকে নিজ নিজ স্বামীই সর্বাধিক উত্তম ও সুন্দর লাগবে।
[2] অর্থাৎ, কুমারী ও নব-যুবতী ও অবিবাহিতা হবে। এই আয়াত ও এর পূর্বের কিছু আয়াত থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যে জ্বিনরা মু’মিন হবে, তারাও মু’মিন মানুষদের মত জান্নাতে যাবে এবং তাদের জন্য সেখানে তা-ই থাকবে, যা অন্যান্য ঈমানদারদের জন্য থাকবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৭. কাজেই তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহে মিথ্যারোপ করবে?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৭) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৮. তারা যেন পদ্মরাগ ও প্রবাল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৮) তারা (সৌন্দর্যে) যেন পদ্মরাগ ও প্রবালসদৃশ। [1]
[1] অর্থাৎ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে পদ্মরাগ এবং শুভ্রতামিশ্রিত রক্তবর্ণের দিক দিয়ে হবে প্রবালের মত। যেমন অনেক সহীহ হাদীসেও তাদের স্বচ্ছ রূপ-সৌন্দর্যের কথা এই ভাষায় ব্যক্ত করা হয়েছে, يَُرَى مُخُّ سُوْقِهِنَّ مِنْ وَرَآءِ الْعَظْمِ وَاللَّحْمِ ‘‘তাদের দেহের রূপ-স্বচ্ছতার কারণে তাদের পদনালীর মজ্জা হাড় ও মাংসের বাহির থেকে পরিদৃষ্ট হবে।’’ (বুখারীঃ সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, মুসলিমঃ জান্নাত অধ্যায়) অপর আর একটি বর্ণনায় এসেছে (রসূল (সাঃ) বলেছেন,) ‘‘জান্নাতের স্ত্রীরা এত সুন্দরী ও সুদর্শনা হবে যে, যদি তাদের মধ্যে কোন একজন পৃথিবীবাসীদের প্রতি উঁকি দেয়, তবে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যস্থলের সম্পূর্ণ অংশটা উজ্জ্বল হয়ে যাবে এবং সুগন্ধিতে ভরে যাবে। আর তাদের মাথার ওড়না এত মূল্যবান হবে যে, তা দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে তার থেকেও শ্রেয় হবে।’’ (বুখারীঃ জিহাদ অধ্যায়)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৫৯. কাজেই তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহে মিথ্যারোপ করবে?
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৯) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ান-আল-বায়ান
-তাইসিরুল
-মুজিবুর রহমান
-Sahih International
৬০. ইহসানের প্রতিদান ইহসান ছাড়া আর কী হতে পারে?(১)
(১) নৈকট্যশীলদের উদ্যানদ্বয়ের কিছু বিবরণ পেশ করার পর বলা হয়েছে যে, ইহসান বা সৎকর্মের প্রতিদান উত্তম পুরস্কারই হতে পারে, এছাড়া অন্য কোন সম্ভাবনা নেই। [ইবন কাসীর; কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬০) উত্তম কাজের জন্য উত্তম পুরস্কার ব্যতীত আর কি হতে পারে? [1]
[1] প্রথম إحسان ‘ইহ্সান’ এর অর্থ, সৎকর্ম ও আল্লাহর আনুগত্য। আর দ্বিতীয় إحسان ‘ইহসান’এর অর্থ, তার প্রতিদান। অর্থাৎ, জান্নাত ও তার নিয়ামতসমূহ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান